অক্টোবর ২১, ২০১৬
রাত ০২:২৮
ড্রয়ারটা খুলতেই মনে পরলো, একসময় নিয়মিত ডায়েরি লিখতাম। কয়েকটা পাতা নেড়েচেড়ে... ডায়েরির লেখককে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম। ২০০৬ সাল, দশটা বছর কতো দ্রুত পেরিয়ে গেছে!
পুরোনো কিছু গানের খাতা... কিছু চিঠি... ছবি... এলোমেলো কাগজপত্র। ধুলোয় মলিন, পুরোনো গন্ধ সবকিছুতেই। ডায়েরিগুলো বের করে রাখলাম, পড়বো সময় হলে।
ঘুমাবার আগে ঘরের আলো বন্ধ করে জানালায় দাঁড়াই... দেখি সামনেটা চাঁদের হাসিতে ভাসছে। এই চাঁদ... কোনদিন পুরোনো হয়নি... হয়না!
গিটারটা নিয়ে বারান্দায় এসে বসলাম কিছুক্ষণ... আবার ঘরে রেখে বাইরে আসি। ভালো লাগে না। কখনও কখনও অমৃতেও অরুচি হয় আমাদের... হয় না?
খোলা একটা উঠোন ছিলো আগে। এবার এসে দেখি জায়গাটায় আপার ঘর... একমাত্র বোনটা কাছে থাকে, ভালো লাগে। আম্মার খেয়াল আমার মতোই গুরুত্ব দিয়ে রাখার মতো একজন মানুষ তো আছে... ভরসা লাগে মনে!
আপার ঘরটা এ বাড়ির গাম্ভীর্য কমায়নি একবিন্দুও। এই রাতের আকাশ, দেয়ালের পাশাপাশি জটলাধারি গাছগুলো, বাতাস, বিদ্যুতের খুটির খুটিনাটিতে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে সে।
রাত বাড়লে পৃথিবী একটু রহস্যময়ী হতে ভালোবাসে... আমি গেটের সামনে এসে দাঁড়াই।
আর তিনদিন থাকবো বাংলাদেশে... টাঙ্গাইলে কালই শেষ রাত। ওই পেছনে আমার ঘর, জানালা, হাসনাহেনা-মেহগিনি, অন্ধকারে এই গম্ভীর পরিবেশ... তিন বছরের অধিক সময়ের দূরত্ব, এর আবেদন ম্লান করেনি এতোটুকুও!
কানে গোঁজা হেডফোনে নতুন গান বাজে, "...ভেসে যাচ্ছি চোখে আলো জ্বেলে, জাহাজীর মতো একা!"