১। ফড়িঙ হবো উড়বো বনে-হবে প্রজাপতি?
উড়বে নাকি আমার সাথে-ঠিক কি মতিগতি!
সবুজ বনে তুমি আমি-উড়বো পাশাপাশি
আহা দেখবে লাগবে ভালো-সুখে ভাসাভাসি।
আরো কিছু ছবি আবার নিয়ে হাজির হলাম -এই ছবিগুলো আমাদের গ্রামের ছবি। গ্রামের বাড়িতে গেলে ছবি তোলার উপকরণের অভাব হয় না। যা দেখি সুন্দর এবঙ ভাল লাগে আমার তাতেই ক্লিক পড়ে যায় অটো। আমি প্রকৃতি পাগল মানুষ-যদিও প্রকৃতির কাছে আজো যাওয়া হয়নি। দেশের কিছুই আজো দেখা হয়নি। ইচ্ছা থাকলেও উপায় হয় না। ছেলে হইলে ভালা হইতো নিজের ইচ্ছা মতো বউ পোলাপান নিয়া ঘুরতাম কিন্তু হইছে উল্টা জামাই পোলাপান নিয়ে ঘুরতে ইচ্ছে থাকা সত্বেও পারি না ঘুরতে কারণ আমি তো মেয়ে । সমুদ্র দেখি নাই এইডা বিশ্বাস হয়-আজিব লাগে আমার কাছেও। আচ্ছা যাই হোক। ভাল লাগলে আপনাদের আমারও ভাল লাগবে। আর আমার কাছে দেশের প্রতিটি ছবিই যেনো একেকটা কবিতার মতোই মনে হয়। সব আছে এখানে ছন্দ অন্ত্যমিল মাত্রা লয়। আর লেখাগুলো মন থেকে এমনিতে আছে বিরক্ত হলে মুছে দিবো নে। অকে
২। মিষ্টি ছেলেবেলা মিষ্টি মেয়েবেলা-যারা ফেলে এসেছো অতীত উচ্ছ্বাস-উল্লাস। দেখো তাকিয়ে, মুগ্ধ হও আবারো-ধরে নাও এটা তুমি এবং তোমার ছেলেবেলা/মেয়েবেলা। ওদের দৃষ্টিতেই না হয় স্মৃতি রোমন্থনে ফিরে যাই সেই কৈশোর-শৈশববেলায়। ফ্রেমে বেঁধে রাখি ওদের আনন্দ ক্ষণগুলো-দুষ্টামিপনাগুলো। একদিন ওরাও শৈশব হারাবে ঠিক আমাদের মতোই-তখন দেয়ালে টানানো ছবিতে চোখ রেখে ফিরে যাবে ফের শৈশবে। আহা...... কত উচ্ছ্বাস রেখে এসেছি সেই সেই দিনগুলোতে। তবে তুমি নিজেকে কখনো বুড়ো ভেবো না- মনটা না হয় রেখে দিয়ো সেই শৈশবের মতই। এখনো তুমি অবাক হও আর মুগ্ধ হওয়ার ক্ষমতা রাখো। তুমি মুগ্ধ হও মরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত। জীবন বড় সুখের সুন্দর, শুধু উপভোগ করতে জানতে হয়।
৩। ধান কুঁড়ানির দল দেখো ঐ-ঘুরছে ধানের মাঠে
মন বসে না ঘরে তাদের-নিত্য কর্ম পাঠে।
সোনার আলো ঝরছে চারদিক-আমার সোনার দেশে
ধানের ছড়া হাতে নিয়ে-ধান কুঁড়ানি যায় হেসে।
নতুন ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণে-মাতাল হলো পাড়া
সন্ধ্যা হলেই থাকে তাদের -ঘরে ফেরার তাড়া।
৪। ই যে তুই আকাশ ছুঁয়ে আছিস নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে-কালের সাক্ষী হয়ে, নীল ছুঁয়ে আছিস-তোর কি কখনো একলা লাগে না। তুই তো বড়ও হয়েছিস আমার সাথে সাথে-কিন্তু আমি আজো আকাশ ছুঁতে চাইনি। আমার স্বপ্নগুলো তোর আকাশছোঁঁয়া ছিল না-তবু দেখলি কেমন স্বপ্নহীন বেঁচে আছি-স্বপ্ন আছে বুকে কিন্তু তোর মতো ছুঁতে পারে না বাস্তব। তোকে দেখেই শিখি নিথর দাঁড়িয়ে থাকা কতটা কষ্টকর। কি রোদ কি ঝড় তুই আছিস অনঢ় তোর জায়গায়। বড্ড ভাল বাসিরে তোকে। তোকে নিয়ে কত কবিতা আছে জানিস আর আমাকে নিয়ে নেই কোন গল্প-কাব্য কিংবা উপন্যাস। তোকে নিয়ে বিচারআচারও হয়েছে, সে গল্প কি তুই জানিস-শুনবি হাহাহাহা- বিচার মানি তয় তালগাছ আমার
৫। ভালবাসার ফিসফিসানী- না না খিলখিল হাসি । না না জীবনের বোঝাপড়া - হ্যা পাশা পাশি বসে কিছু সময় চলুক না তবে ভালবাসা-প্রেম তুমি যা-ই বলো। তুমি তো যন্ত্র মানব শুধু দূরে থাকতেই জানো-দেখো তাকিয়ে এমন মুখোমুখি হয়েছিলে কভু? নাকি বেসেছিলো ভাল আমায়-মুগ্ধ হয়েছিলে অধরের ঝরে পড়া হাসিতে। তুমি কি গো-টাকা চিনো! ভালবাসা বুঝো না চিনো না। । এসো তবে এমন বসে নিশ্চুপ কাটাই কিচ্ছুক্ষণ। নাকি সব বাস্তব বলে বা ন্যাকামী বলে ছুঁড়ে দিবে এ মোহময় কথাগুলোও-ধ্যত্তেরি ছাই-যাও ভাগো .......
৬। সন্ধ্যা নামছে.....দেখো পশ্চিমাকাশ ছেয়ে গেছে রক্ত আভায়। এসো মুগ্ধতার প্রার্থনায় হই রত। নীড়ে ফেরা পাখির ভিড়ে তোমার দৃষ্টি কি রাখবে এবেলা? গোধূলিয়ার লালাভায় কেমন স্বপ্নময় হয়ে উঠেছে মনের ভূবন। ধীরে ধীরে আঁধারে ছেয়ে যাবে পৃথিবী। নেমে আসবে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলার নিশি। গোধূলিয়া বেলা মনে কষ্ট দেয় যেমন তেমনি শান্তি বয়ে আনে-এবেলাতেই পরিবারে আপনজনেরা আবার একসাথে হয় মিলিত। সুখ দু:খ নিয়ে আলোচনা সভা কিংবা একসঙ্গে বসে খাওয়ার পারিবারিক সুখের মিটিং পর্ব তো রাতে এসেই সবাই মুগ্ধতার স্পর্শ পায়। রাত কেটে যাবে স্বপ্নময় হবে মনের ভূবন আবারো। দিবাকর পূর্বাশার আলো নিয়ে নতুন করে পথ দেখাবে আবার। এই তুমি কেনো কিছুতেই মুগ্ধ হও না? ধ্যত্তেরি ছাই-যাও ভাগো........
৭। তুই যে আমার গোলাপ জবা-কিংবা সবুজ পুঁই
ইচ্ছে লাগে মুখটি গুঁজে-তোর বুকেতে শুই।
পুঁইয়ের ফুলে দিবি নাকি-নাকের নথ বানিয়ে
ওরে বন্ধু তোর প্রেমেতে-ভাসিয়ে যা নিয়ে।
পুঁইয়ের মতো সজীবতায়-সাজাবি মনের ঘর
তুই যে আমার পরাণ পাখি-নোস তো-রে আমার পর
৮। একটি সূযার্স্ত তোমায় দিলাম। তুমি ভেসে যাও গোধূলিয়া আভায়। নীড়ে ফিরে যাও- স্বপ্ন ময় হোক তোমার নিঝুম আঁধার রাত্রি। শুধু স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে চলে এসো । আমার মন আগল খোলা রাখি শুধু তোমার জন্য। তুমি আর আমি একটি সূর্যাস্ত শেষে বাঁধি ঘর ভালবাসায় আর নতুন আলোর অপেক্ষায় থাকি একটি রাত্রি।
৯। আমি কিছুই না-না জীবনের কোন অবজেক্স সাবজেক্ট। আমার প্রাণ আছে -কথা নেই। আমি কুঁড়ি হয়ে বৃক্ষের বক্ষ ফুঁড়ে জেগে উঠি-অল্প আয়ূ। আমিও তোমাদের মতো ঝরে পড়ার জন্য জন্মি। আমি তোমাদের মাঝে সজীবতা এনে দেই । দেই শুদ্ধ অক্সিজেন যাতে তোমরা নি:শ্বাস টেনে ছেড়ে দিতে পারো -বাঁচতে পারো স্বাচ্ছন্দ্যে। এই যে আমার ঝরে যাবার সময় হয়ে এলো। এখনো তোমরা আমাকে ভালবাসো-আমার দেহের রঙ তোমাদের চোখ জুড়ায়-আমি যখন সবুজ ছিলাম তখন তোমরা মুগ্ধ হয়েছিলে এবঙ এখনো ঝরে যাওয়ার প্রাক্কালের যে কাচা হলুদ কমলা বাসন্তি রঙে সেজে আছি এতেও তোমরা মুগ্ধ হচ্ছো। এখানেই আমার স্বার্থকতা-আমার জায়গা নিয়ে নিবে নতুন কুঁড়ি। তোমরাও পারো অন্যের সেবা আর মুগ্ধতার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে। অমর হতে পারো তোমরাও। যদি একটু স্বার্থ ত্যাগ করতে জানতে বুঝতে..
১০। আঁকাবাঁকা মেঠোপথে ক্রিং ক্রিং বেল বাজিয়ে চলছে তিন চাকার গাড়ি। ঝাঁকিতে ঝাঁকিতে শান্তি বুঝি উড়ে গেলো যাত্রীর -তবুও তো সময় বেঁচে যায়। তোমার নিমন্ত্রণ রইল-এমন মেঠোপথে রিক্সা চড়বে নাকি পাশে বসে আমার? তোমরা তো শহরবাসী-হুশ করে মার্সিডিস চালাও-আমার বাপু এসবে দম বন্ধ হবার যোগাড়-আমি এমন স্নিগ্ধ হাওয়াতে খোলামেলা যানেই শান্তি আর স্বস্তি পাই আর ঝাঁকি সেতো ব্যায়াম হয় হাহাহা- ঠোঁট উল্টিয়ে যতই অবহেলা করো-আমাদের ভিতর এখনো যন্ত্র প্রবেশ করেনি-মনে অঢেল প্রশান্তি নিয়ে বেঁচে থাকি মুগ্ধতাতে।