শহুরে জীবনের একঘেয়েমী থেকে রেহাই পেতে বিনোদনের কোন বিকল্প নেই। আর সেই বিনোদন যদি হয় কোন এক মনোরম পরিবেশে তাহলে তো মন্দ হয়না। সে রকম একটা জায়গার নাম কড়ইতলি। ময়মনসিংহ জেলার সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার কড়ইতলি স্থলবন্দর এলাকায় মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে পিকনিট স্পট। আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী সমিতি ও ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ পিকনিট স্পটটিতে একসময় থাকা-খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এখন আর সেই সমস্যা নেই। এখানে বেড়াতে আসলে কোনো টিকিট নেয়া হয় না। পিকনিক স্পটেরও কোনো ভাড়া নেয়া হয় না। ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন হালুয়াঘাটের কড়ইতলি স্থলবন্দর এলাকায় পিকনিক স্পটকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে থাকার জন্য বাংলো ও খাওয়ার জন্য বনবিলাস রেস্টুরেন্ট। প্রাকৃতিক বাগানের পাশাপাশি নতুন করে তৈরি করা হয়েছে ফুলের বাগান এবং দর্শনার্থীদের বসার স্থায়ী ব্যবস্থা। এখানে ২০/৩০ জনের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। আগামীতে দু’শ’ লোকের থাকার ব্যবস্থা করা হবে এবং একটি টাওয়ার নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ টাওয়ারের মাধ্যমে ভারতসহ পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে দর্শনার্থীরা। ময়মনসিংহ শহর থেকে হালুয়াঘাটের দূরত্ব ৫২ কি.মি.। হালুয়াঘাটের বাস ভাড়া জনপ্রতি ৫০টাকা। হালুয়াঘাট উপজেলা সদর থেকে ছয় কি.মি দূরে কড়ইতলি স্থলবন্দর। ঢাকা থেকে সরাসরি আসার জন্য শ্যামলী বাংলা বাস সার্ভিসও চালু রয়েছে। ১৯৮৯ সালে কড়ইতলি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সাল থেকে কড়ইতলি স্থলবন্দরে গড়ে তোলা হয়েছে পিকনিক স্পট। কড়ইতলি বন্দর ও পিকনিক স্পটে যেতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজি রয়েছে। পিকনিক স্পটে যেতে রিজার্ভ করে অটোরিকশা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, সিএনজি ১৫০ থেকে দু’শ’ টাকা কিংবা জনপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা ভাড়া নেয়া হয়। অবসরের ফাঁকে এ ধরণের জায়গায় ঘুরে আসলে একদিকে যেমন জায়গা সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ হবে তেমনি কাজে আসবে গতি।
↧