দেশের সুষম উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ হুমকিস্বরূপ। এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করে। এজন্য সরকার বিপথগামী কোনো সদস্য জঙ্গিবাদের পথ থেকে ফিরে এলে আইনি সহায়তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে যেটা জঙ্গীবাদ দমনে একটি বিরাট পদক্ষেপ। জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের গৃহীত বেশ কিছু পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার একটি দিক এটি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কিছু সফল অভিযানে শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নেতাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্য গ্রেপ্তার ও নিহত হয় এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এসব অভিযানের ফলে বর্তমানে জঙ্গি তৎপরতা বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। জঙ্গি দমনে এ সাফল্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গিবাদবিরোধী ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জঙ্গি সদস্য ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে এবং তাদের মোটিভেশন ও সহযোগিতার মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সন্দেহভাজন নিখোঁজ ব্যক্তি ও পলাতক জঙ্গিদের সঠিক তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গেছে। অনেকে তাদের গৃহে ফিরে এসেছে। একাদশ আসেম সম্মেলন ও ৭১তম জাতিসংঘ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের নেতারাও বাংলাদেশের জঙ্গিবাদবিরোধী অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এখন দরকার জঙ্গিবাদবিরোধী ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, মসজিদের ইমাম, আলেম সমাজ, শিক্ষক-ছাত্রসমাজ, অভিভাবক, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদ ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। আর এ জন্য সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবিলার জন্য একটি যুগোপযোগী Standard Operating Procedure (SOP) তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
↧