রাজধানী ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার সড়ক পথে যোগাযোগের দূরত্ব কমিয়ে আনতে ২০০৫ সালে কাপাসিয়া বানার নদীর উপর ফকির মজনুশাহ্ সেতু তৈরি করা হয়।ওই সেতুর কারণে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার সড়ক পথে দূরত্ব কমে আসে প্রায় ৬০ কিলোমিটার। কিন্তু ৪১ কিলোমিটার সরু খানা খন্দে ভরা রাস্তার কারণে ওই সুবিধার বারো আনাই অধরা থেকে যাচ্ছে কিশোরগঞ্জসহ ওই রুটে চলাচলকারী পার্শ্ববর্তী জেলার বাসিন্দাদের। বর্তমানে আশার কথা হলো গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে সড়ক নেটওর্য়াক স্থাপন করতে সালনা-কাপাসিয়া-টোক-মঠখোলা আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ২৪৫ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরে প্রশস্তকরণ ও মজবুতীকরণে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রেরণ করেন গাজীপুর সড়ক বিভাগ। যাচাই বাছাই শেষে দ্রুততম সময়ে সড়কটির উন্নয়ন করা হলে কিশোরগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী জেলা ও এলাকার জনসাধারণের জীবন মান ও অর্থনৈতিক স্বক্ষমতার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। গাজীপুর থেকে কিশোরগঞ্জ-সালনা-কাপাসিয়া মঠখোলা আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ মহাসড়ক বাস্তবায়নে ২৪৫ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরে মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। মহাসড়কটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার সড়ক পথে দূরত্ব কমে আসবে প্রায় ৬০ কিলোমিটার।১৮ ফুট প্রশস্ত, যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক ও ভারী যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। অপ্রস্থতার কারণে একটি গাড়ি সড়কের পাশে থামিয়ে বা গতি কমিয়ে অপরটিকে সাইড দেয়। তাছাড়া বর্ষায় আর ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটিতে নানা গর্ত ও খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের গাজীপুর সড়ক বিভাগ ২৪৫ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরে প্রশস্তকরণ ও মজবুতীকরণে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিকল্পনাধীন উন্নয়ন প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে আর তাতে এলাকাবাসীর দুঃখ কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
↧