তখনও সাঁঝবাতিগুলি জ্বলে নি;
আকাশ ভরা মেঘের কালোয়
নিভু নিভু আলোর সন্ধ্যা।
থমকে দাঁড়িয়ে পড়ি –
ব্যালকনির বিষন্ন কোণে আত্মগত একাকী
এক দুঃখ উদাসী – দুচোখে তার
যেন না-বলা হাজারো ব্যথার বন্যা।
তখনও পাখিদের ঝাঁক নীড়ে ফেরে নি
বৃক্ষের বুক বসন্ত-দোলা -
রাত্রির কালো তাতে
নিভে যাবার নিঃশ্বাস ফেলে নি।
অথচ সে উড়িয়েছে যেন আঁচল
ফুরিয়ে যাবার অশ্রুত রাগে,
গভীর গোপন রোদনের বাতাসে।
অতঃপর সাঁঝবাতিগুলো রাঙ্গালো চোখ
আঁধারের অদম্য শীতল অধরে।
আর বৃষ্টি নেমে এলো।
ভিজে গেল বৃক্ষের বুক, পাখিদের আবেগী নীড়।
তবুও ব্যালকনির দুঃখটুকু নড়ল না!
যেন নীরব প্রতিবাদ, যাবতীয় লব্ধ বঞ্চনার।
ভিজে চলল অবিরাম…
আর ভিজলাম আমি, এক ঠাঁয়, নির্বাক।
জগতের তাবত হাহাকারে যে আমি
আমার নিষন্ন বিধুর আমিকে দেখি!
-----------------------------------
উদাসীন
১৯/০৩/২০১৭