স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর এবারই প্রথমবারের মতো ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে ঢাকায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী কর্তৃক বর্বরোচিত হামলার সেই বিয়োগান্তক ঘটনার স্মরণে এ দিবস পালিত হবে। একইসঙ্গে এই দিনটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির (আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস) জন্য চলতি মার্চ মাসেই জাতিসংঘকে চিঠি দেয়া হচ্ছে। এবার ২৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ সংলগ্ন স্থানে ‘রক্তাক্ত ২৫ মার্চ গণহত্যা ইতিবৃত্ত’ শিরোনামে আলোক চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। এছাড়া প্রতিটি জেলা, উপজেলায় ২৫ তারিখ এ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও গণহত্যা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘গণহত্যা দিবস’ পালন হতে যাচ্ছে। ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করতে যাচ্ছে। এ স্বল্প সময়ের মধ্যে এবার কাঙ্ক্ষিত ব্যাপক কর্মসূচীতে এ দিবস পালন করা সম্ভব না হলেও বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ইতিহাসে এ ঘটনা মাইলফলক হয়ে থাকবে। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর জিয়াউর রহমান, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন। তারা এটার উদোগ নেইনি। আমরা যেমন একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন করি এর পেছনে ইতিহাস রয়েছে। অনেকে সেদিন শহীদ হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস পালন করা হলেও এর পেছনে কোন ইতিহাস নেই। দিবস পালন করতে হয় সে হিসেবেই তা পালন করা হয়। ৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিকভাবে কেন গণহত্যা দিবস পালন করা উচিত, কেননা এই দিনের ঘটনা বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের মানুষের মনে একটি শোকের ছায়া এনে দেয়। তাই বর্তমান সরকারের আমলে এই দিনটিকে ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে যা বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়।
↧