রাজধানীতে সবুজের সমারোহ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বলধা গার্ডেন। অবস্থান ঢাকার ওয়ারীতে। ছোট এই বোটানিক্যাল গার্ডেনে ৮০০ প্রজাতির ১৮ হাজার গাছ রয়েছে। বৃক্ষপ্রেমীরা যে কোন এক ছুটির দিনে ঘুরে আসতে পারেন এখানে। বলধা গার্ডেনের আয়তন ৩ একর। এর প্রতিষ্ঠাতা গাজীপুরের বলধার জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নানারকম ফুলগাছ ও দুর্লভ উদ্ভিদ এনে তিনি লাগান । শাপলা পুকুর এখানকার প্রধান আকর্ষণ। নীল, লাল, সাদা, হলুদ জাতের শাপলায় ভরা বেশ কয়েকটি শাপলা হাউজ দেখতে পাবেন। এছাড়া রয়েছে বিরল প্রজাতির দেশি-বিদেশি ক্যাকটাস, অর্কিড, এনথুরিয়াম, ভূজ্জপত্র, বকুল, ক্যামেলিয়া, আশোক, আফ্রিকান টিউলিপ, আমাজান লিলিসহ নানা প্রজাতির গাছগাছালি।
দেশ বিদেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিদের স্মৃতি জড়িয়ে আছে বলধা গার্ডেনের সাথে। এই উদ্যান এক সময় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। নিয়মিত গান বাজনার আসর বসতো এখানে। কর্মব্যস্ত জীবনে একটু প্রশান্তি পেতে পরিবার নিয়ে এখানে আসতেন গণ্যমান্য অনেকেই। বলধা গার্ডেনের দু’টি অংশ। একটি সাইকী আর অন্য সিবলী। সাইকী অর্থ আত্মা ও সিবলী অর্থ প্রকৃতির দেবী। সিবলী অংশের জয় হাউজে বসে এখানকার ক্যামেলিয়া ফুলের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন তার ‘ক্যামেলিয়া’ কবিতাটি।
কীভাবে যাবেন:
গুলিস্তান থেকে রিকশায় চলে যেতে পারেন বলধা গার্ডেন। ভাড়া নেবে ৩০/৪০ টাকা। অথবা গাবতলি থেকে যাত্রাবাড়ীর দিকে ৮ নম্বর বলাকায় ,৩৬ নম্বর আর্ক পরিবহনের বাসে চড়ে রাজধানী সুপার মার্কেটে নামবেন । এখান থেকে হাটখোলা রোড ধরে পাঁচ মিনিট হাঁটলেই যাওয়া যায় বলধা গার্ডেন।
প্রবেশ মূল্য:
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১০ টাকা। অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪ টাকা। শিক্ষার্থী ও গবেষণাকারীদের জন্য ৫ টাকা।
সময়সূচী:
সপ্তাহের প্রতিদিনই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে উদ্যানটি। তবে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত চলে মধ্যাহ্ন বিরতি। আসুন ঘুরে আসি দূর্লভ উদ্ভিদের সমারোহ বলধা গার্ডেন থেকে।
↧
দূর্লভ উদ্ভিদের সমারোহ বলধা গার্ডেনে
↧