হিমালয়ের মেরা পর্বত শিখর জয় করলেন বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের সদস্য শায়লা পারভীন। ১৫ অক্টোবর নেপাল সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিটে এ তরুণী ২১ হাজার ২২৭ ফুট উচ্চতার এ পর্বতের শীর্ষে আরোহণ করেন। তার সঙ্গে ছিলেন দুইবারের এভারেস্ট বিজয়ী বাংলাদেশি এম এ মুহিত ও কাজী বাহলুল মজনু। তবে এ অভিযানে থেকেও মেরা পর্বতের শিখরে পৌঁছতে পারেননি দলের আরেক সদস্য সাদিয়া সুলতানা। চার সদস্যের এ দলের নেতৃত্ব দেন এম এ মুহিত। ২০১৫ সালে বিএমটিসিরই এক অভিযানে মাউন্ট কায়াজো রি বেইজ ক্যাম্পে গিয়েছিলেন শায়লা পারভীন। এবছর ‘নেহরু ইন্সটিটিউট অব মাউন্টেইনিয়ারিং’ হতে বেসিক মাউন্টেইনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করে আসেন তিনি।
অভিযানপূর্ব অভিজ্ঞতার উল্লেখে শায়লা পারভীন বলেন ‘গত বছর এই সময়ই কায়াজো রি বেইজ ক্যাম্প যাই; ১৫,৫০০ ফুট পর্যন্ত উঠি। এর আগে দেশের পাহাড়গুলোতে যাওয়া হয়েছে। মাউন্ট কায়াজো রি বেইজ ক্যাম্প থেকে আসার পরে আমি বেসিক ট্রেনিং করি। সেখানেও মোটামুটি আরেকটু উপরে উঠি; ১৫,৮০০ ফিট। এটা ছিল এ বছরের মে মাসে। তখনও ভাবিনি যে এ বছরই আমার আবার এতো উচ্চতায় যাওয়ার সুযোগ হবে। পারিবারিক অনুমতিরও একটা ব্যাপার ছিল। যখন আমি আমার বাবাকে বলি, সে কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না। এরপরও মোটামুটি আম্মু-আব্বুর কথা উপেক্ষা করেই আমি যাই।’
অভিযানের অপর নারী সদস্য সাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘এইবারের অভিযানটি আমার জন্য বিশেষ একটি অভিযান ছিল। কারণ ২০০৫ সালে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব হতে প্রথম যে অভিযানটিতে আমি যাই, সেটি ছিল এই মেরাতেই। আবার ২০১৬-তে এই অভিযানে যাওয়াটা তাই বিশেষ কিছু।’
৭ অক্টোবর লুকলা হতে অভিযাত্রী দলটি তাদের ট্রেকিং শুরু করে এবং ১২ অক্টোবর মেরা বেইজ ক্যাম্পে পৌঁছান। ‘সাধারণত পর্বতে বলা হয় একই দিনে ৫০০ মিটারের উপরে হাইট গেইন না করতে। একটা পর্যায়ে ছাত্রা লা পাসে আমাদের ১২০০ মিটার ক্রস করতে হয়। ঐ দিন আমি একটু উদ্বিগ্ন ছিলাম যে বিথী(শায়লা পারভীন) কি ঐ দিন অসুস্থ হয় কিনা। এই উচ্চতায় অনেকেই অসুস্থ হয়। কিন্তু সে একবারেই অসুস্থ হয়নি’ উল্লেখ করেন অভিযানের দলনেতা এম এ মুহিত। তাদেরকে স্বাগত জানাই আমরা এই বাংলার জনতা।
↧
মেরা পর্বত শিখরে উড়ল বাংলাদেশের পতাকা
↧