Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

দেশি কোম্পানির বিদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা

$
0
0

জনসংখ্যা বৃ‌দ্ধির সা‌থে পাল্লা দি‌য়ে বাড়‌ছে ব্যবসার প‌রি‌ধি। ত‌বে ব্যবসা শুরু করা যতটা সহজ, ব্যবসাক্ষেত্রে টিকে থাকা কিন্তু ততটা সহজ নয়। এ  ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই আপনাকে  টিকে থাকতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন কিছু কৌশল। ব্যবসার অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা  খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, তবে শুরুর আগেই তো আর অভিজ্ঞতা আসবে না; এ  জন্য আগে শুরুটা তো হোক। বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও তাদের উৎপাদিত পণ্য আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছে তাদের বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত করে দেওয়ার উপায় খুঁজছে সরকার। খোদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। এরই মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে কীভাবে তাদের সে বিনিয়োগের পথ তৈরি করে দেওয়া যায় সে লক্ষ্যে একটি নীতিমালা তৈরির বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি ওই নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা নিরূপণের জন্য ছয় সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। নীতিমালা প্রণয়নে ছয় সদস্যের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তার সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী জনৈক সদস্য। সদস্য হিসেবে অর্থ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন। সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকবেন বিনিয়োগ বোর্ডের উপপরিচালক পদের একজন কর্মকর্তা। এই কমিটি প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে একটি নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ করবে। এক মাসের মধ্যে কমিটি এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিবে। বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে এফডিআই (ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট) আকর্ষণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক মানে পৌঁছে গেছে। এ ছাড়া ব্যয় হ্রাস, কান্ট্রি অব অরিজিনের সুবিধা গ্রহণ, বিভিন্ন বিশেষ কাঁচামাল সোর্সিংয়ের সুবিধা গ্রহণ, পণ্যের গ্রাহকের সঙ্গে ভৌগোলিক নৈকট্য নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি নানাবিধ কারণে বাংলাদেশি কোম্পানির বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রয়োজনীয়তা দেখা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিদেশে বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ বাংলাদেশে প্রেরিত হবে এবং দেশ লাভবান হবে। তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিমেন্ট, কাগজ, খাদ্য ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক কোম্পানির সঙ্গে দক্ষতার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। বাংলাদেশের অনেক কোম্পানি এখন তাদের পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকাসহ পাশের রাষ্ট্রগুলোয় বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছে। দেশের তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা গুজরাটে শিল্প-কারখানা করার বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কাছে ইতিমধ্যে প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। তানজানিয়া, কেনিয়া, উগান্ডাসহ বেশ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের বেশকিছু কোম্পানি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কৃষি খামারে ক্ষুদ্র আকারে বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে দেশি কোনো কোম্পানির বিদেশে মূলধন স্থানান্তরের সুযোগ নেই। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনসাপেক্ষে দেশি কোম্পানি বিদেশে মূলধন স্থানান্তর করতে পারে। কয়েক বছরে বাংলাদেশ বেশকিছু কোম্পানিকে শর্তসাপেক্ষে বিদেশে কোম্পানি খোলা ও মূলধন স্থানান্তরের অনুমোদন দিয়েছে। অর্থনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীরা অবশ্য দেশি কোম্পানির বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে। কয়েক বছর আগে বিদেশে বিনিয়োগের একটি প্রক্রিয়া শুরু হলেও বিভিন্ন দফতরের রক্ষণশীল নীতির কারণে সে প্রক্রিয়া আর এগোয়নি। এখন রিজার্ভ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বিধায় নতুন করে বিধি প্রণয়ন করে বিদেশে বিনিয়োগের দ্বার উন্মোচনের সময় এসেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। অর্থনীতিকে বড় করে তোলার এই প্রচেষ্টায় সফল হতে হলে বিদেশের বাজারে বিনিয়োগ করা সময়ের দাবি।


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>