Quantcast
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে ঘুরে আসুন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লী

ভ্রমন ভালোবাসেনা এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। শহরের কর্মব্যস্ত জীবন থেকে একটু স্বস্তি  পেতে কে না চায়। আর এই স্বস্তির জায়গাটা যদি হয় কোন পাহাড়, পর্বত এলাকা তাহলে তো কথাই নেই। তেমনি একটা জায়গা রাঙ্গামাটি। পার্বত্য জেলা রাঙামাটির রূপ-সৌন্দর্যের সাথে কারো যে হয় না তুলনা। পাহাড়-নদী-ঝরনার অনন্য মিশেলে গড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি পার্বত্য রাঙ্গামাটি। কাপ্তাই লেকের বুকে ভেসে আছে রাঙ্গামাটির ছোট্ট জেলা শহর। শহরের আশপাশে তো বটেই, গোটা জেলার পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের ছটা। এখানকার জায়গাগুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে সাজে ভিন্ন ভিন্ন রূপে। এই সৌন্দর্যকে পুঁজি করেই রাঙ্গামাটি হয়ে উঠতে পারে অর্থনৈতিকভাবে অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র। কেবল পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে রাঙ্গামাটি থেকে বছরে আয় হতে পারে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি বা ২০ কোটি ডলার। এই জনপদে রয়েছে- হ্রদ, ঝরনা, জলপ্রপাত, অরণ্য, উপজাতি, মেঘ পাহাড়, পাহাড়ের পর পাহাড়, পাহাড়িয়া আঁকাবাঁকা পথ। ষড়ঋতুর বাংলাদেশের এই রাঙামাটি একেক ঋতুতে একেক রূপ ধারণ করে। গ্রীষ্মে এখানের হ্রদে সন্ধ্যায় ইঞ্জিনচালিত বোটে উঠলে মন চলে যায় চাঁদের দেশে। হেমন্তে নব সাজে সেজে ওঠে পাহাড়ের অরণ্যে গাছপালা, যেনই তখন হয়ে ওঠে সর্বত্র সবুজের সমারোহ। রাঙ্গামাটিতে রয়েছে উপজাতীয় জাদুঘর। পুরো জেলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি আর ইতিহাস সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা মিলবে এই জাদুঘরে। এটি খোলা থাকে সোম থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। ভ্রমণ উপজাতীয় জাদুঘর থেকে কাছেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ স্থান রাজবন বিহার। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নানান আচার অনুষ্ঠান দেখতে পাওয়া যায় এখানে। রাজবন বিহারের পাশেই কাপ্তাই লেকের ছোট্ট একটি দ্বীপ জুড়ে রয়েছে চাকমা রাজার বাড়ি। নৌকায় লেক পাড়ি দিয়ে সেখানে যাওয়া যায়। রাজবাড়ির আঙিনায় পর্যটকদের যেতে বাধা নেই। শীত মৌসুম জুড়ে যেন উৎসব লেগে থাকে এই ছোট্ট পাহাড়ি শহরটিতে। ১০টি ভাষাভাষীর ১১টি জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি ও কৃষ্টির স্বাদ নিতে হলে শীত মৌসুমেই রাঙ্গামাটি সফর করা ভাল। রাঙামাটি শহরের বাইরে রয়েছে আরণ্যক পিকনিক স্পট, বালুখালী কৃষি ফার্ম, পেদাতিংতিং ও টুকটুক ইকো ভিলেজ। অনিন্দ্যসুন্দর প্রকৃতির মধ্যে গড়ে ওঠা এক আবাস রাইন্যা টুগুন ইকো রিসোর্ট। এটি শুধু রিসোর্ট নয়, এখানে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, স্থানীয় সংস্কৃতি, লোকজ পরিবেশের পাশাপাশি আধুনিক সুবিধায় মুগ্ধ করে পর্যটকদের। সকালের সূর্য যখন উঁকি দেয় তখন সোনালি আলোকছটায় লেকের পানির বর্ণিল রূপ ফুটে ওঠে। পাহাড় আর হ্রদের সাথে যেন এখানে সূর্যের দারুণ মিতালী। পড়ন্ত বিকেলের আলোকরশ্মি লেকের পানিতে আরো মোহনীয় হয়ে ওঠে। পাল্টে যায় লেকের পরিবেশ। এছাড়াও রাঙ্গামাটিতে ঘুরে দেখার মতো রয়েছে ডিসি বাংলো, পলওয়েল পর্যটন, বনবিথী, বেতার কেন্দ্র, টেলিভিশন উপকেন্দ্র, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। অপরূপ শোভাময় পার্বত্য জেলা রাঙামাটি হতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র।


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>