Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

শেষের পথে স্বপ্নের আরও দুই সেতু

$
0
0

আরও এক ধাপ সময় কমছে পূর্বাঞ্চল ট্রেনের। চলতি মাসেই ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দ্বিতীয় ভৈরব ও তিতাস রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হতে যাচ্ছে। এ দুটি সেতুর কাজ শেষ হলেই ট্রেন চলাচলে আরও ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় কমে আসবে। একইভাবে ডাবল লাইনে ক্রসিং ছাড়াই ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের সময় এবং যাত্রী হয়রানিও কমবে। বাড়বে ট্রেনের সংখ্যাও। এ দুটি সেতু পুরোপুরি চালু হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে। এর আগে ১ মার্চ থেকে আন্তনগর সব ট্রেনের ৫ থেকে ৬৫ মিনিট পর্যন্ত সময় কমানোর আদেশ জারি করে টাইম টেবিল বইয়ের সময়সূচি সংশোধন করা হয়। এ নিয়ে চলাচলরত ভ্রমণকারীদের সময় কমানোর পাশাপাশি সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে আরও এক ধাপ। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে টঙ্গী থেকে ভৈরব বাজার স্টেশন পর্যন্ত ডাবল রেললাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয় গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে। এই ডাবল লাইন চালুর ফলে এ অংশে এখন প্রতিদিন আন্তনগর ট্রেনসহ ৮৪টি ট্রেন চলাচল করছে। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলের রেলপথে বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রা সময়ও অনেকাংশে কমেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-নোয়াখালীসহ পূর্বাঞ্চলীয় জোনে সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে ১৯৩৭ সালে মেঘনা নদীতে প্রথম সেতু নির্মিত হয়। দীর্ঘ ৮০ বছর পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ডাবল লাইন নির্মাণের সুফল তুলতে দ্বিতীয় ভৈরব সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুরনো ও নতুন—দুটি সেতু দিয়েই চলাচল করবে ট্রেন। একটি দিয়ে ডাউন ট্রেন অপরটিতে আপ ট্রেন চলাচল করবে। সেতুগুলো যাতে ডুয়েল গেজ হিসেবে ব্যবহার করা যায় এ জন্য সেতুর ওপর ডুয়েল রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। রেলওয়ে অ্যাপ্রোচসহ ৯৫৯ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু দুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৩৩ কোটি টাকা দেবে সরকারি তহবিল (জিওবি) ও ৮২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থায়ন করেছে ভারতীয় ঋণ সহায়তা (এলওসি)। ইতিমধ্যে সেতু দুটির ৯৫ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও সেতু দুটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>