ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা এবং মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে সঙ্গে রাখার যে অশুভ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, তা দেশকে এক ভয়াল অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছে। পয়লা বৈশাখের ওপর আক্রমণ, ভাস্কর্য অপসারণ ও উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর কাছে সরকারের আত্মসমর্পণের প্রতিবাদ ইত্যাদি নানা অপকর্মে জড়িত রয়েছে দেশের প্রধান বিরোধী দল। ক্ষমতায় যেতে না পেরে করছে তারা নানা ষড়যন্ত্র। গত কয়েক বছর ধরেই ক্ষমতায় না বসতে পেরে তারা মানুষের উপর চালিয়েছে নানা অত্যাচার, নিপীড়ন, নির্যাতন, হত্যা, পেট্রোল বোমা সহ নানা ধরনের জঙ্গি হামলা। দেশের সাধারণ মানুষ তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। মানুষ তাদের এসমস্ত অপরাধ সংঘটনের জন্য আজো ঘৃণা করে, তাদের বিচার চায়। এদের অপরাধের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ তো বটেই, অধিকাংশ মানুষই চান, এদের চরমতম শাস্তি ফাঁসি হোক। আজকাল অনেকে বলেন, বিএনপিকে রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে জামাতের সাথে তাদেরকে সম্পকর্চ্ছেদ করতে হবে। কথাটা অবশ্যই ঠিক, তবে এই সম্পকর্চ্ছেদটা এমনভাবে করতে হবে যাতে মানুষ তা বিশ্বাস করতে শুরু করে এমনভাবে যে, হাঁ, আসলেই বিএনপি জামাতের সাথে সম্পকর্চ্ছেদ করেছে। এটা বিশ্বাসযোগ্য না হলে তাতে বিএনপি-রাজনীতির কোন লাভ হবেনা। আবার শুধুমাত্র জামাতের সাথে সম্পকর্চ্ছেদ করলেই যে বিএনপির রাজনীতির লাভ হবে, তা নয়। মানুষের মনে এই বিশ্বাস তাদের সম্পর্কে আসতে হবে যে, তারা ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচারিক প্রক্রিয়া তারা অব্যহত রাখবে, যাদের যে শাস্তি হয়েছে, তা প্রদান করবে। এছাড়া ক্ষমতায় গেলে তারা আর দু:শাসন-অনিয়ম-অবিচার করবেনা, এসমস্ত সংস্কৃতি থেকে তারা বের হয়ে আসবে এবং এসমস্ত যারা করবে, তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবে। মোট কথা ক্ষমতায় গেলে দেশ পরিচালনায় সকল মানুষের মধ্যে স্বস্তির একটা পরিবেশ বিরাজ করবে, সেবিষয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করবেন তারা। এই উভয়বিদ বিশ্বাস বিএনপি যদি মানুষের মনের মধ্যে জন্মাতে পারে, তাহলে বাংলার মানুষ হয়তো তাদের নিয়ে চিন্তা করতে পারে। কেননা অতীতে তাদের যে কর্মকাণ্ড তা এখনও বাংলার মানুষ ভোলে নাই আর ভুলবেও না।
↧