এমন কোন দিনের সংবাদ পাবেন না যে দিন কয়েকটি ধর্ষনের খবর প্রচার হচ্ছে না, ধর্ষন আগের চেয়ে শত শত গুন বাড়ছে, বেড়েই চলছে, ভয়াবহ আকার ধারন করছে, যার অনেক গুলো কারনের মধ্যে একটি হলো, অপরাধীদের বিচার না হওয়া, বিচারহীনতাই অপরাধীদের অপরাধ করতে অনুপ্রানীত করে। ধর্ষক হয়ে কেউ জন্মায় না, সমাজই সৃস্টি করে একেক জন ধর্ষক, একজন ছেলে/মেয়ে এখন মানসিকভাবে অপরিপক্ব অবস্থায় অনেক কিছু জানছে। এই জানা তাকে আগ্রহী ও কৌতুহলি করছে বাস্তবে করার জন্য। কোন বাবা-মা ই চায় না তার ছেলে বিপথগামী হোক। এ সমস্যার উত্তরণ আবশ্যক কিন্ত উপকরন এবং পারিপার্শিকতা, সহজলভ্যতা আকাশ সাংস্কৃতি, ইন্টারনেট সহ সব ব্যাপারে নিয়ন্ত্রন আনতে হবে,
ধর্ষণ নামক ব্যাধি থেকে দেশকে বাঁচানো জরুরী, ধর্ষণ কমাতে হলে প্র্রথমে (*) ডিসের মাধ্যমে ছড়ানো আকাশ সাংস্কৃতি / উগ্র গান আর ছবির চ্যানেল গুলো বন্ধ করতে হবে বা নিয়ন্ত্রন করতে হবে (*) ইন্টারনেটের যথেচ্ছে ব্যাবহার কমাতে হবে বা নীল ছবি / পর্ণ গ্রাফি ইন্টারনেটে বন্ধ করতে হবে (*) ইন্টারনেটের ব্যবহারবিধীতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে (*) নারী/কিশোরীদের চলাফেরা পোশাকে উগ্রতা (*) আধুনিকতার নামে আবাধ মেলামেশা বেহায়াপনা উঃশৃংখলা বন্ধ করতে হবে (*) নারী/কিশোরীদের চলাফেরা পোশাকে উগ্রতা না থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে (*) পুলিশি নজরদারি বা গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে (*) অপরাধ সংগঠিত হবার পর , অপরাধীর সাজা নিশ্চিত করতে হবে ........
যে কোন অপরাধের বিস্তার ঘটে বিচারহীনতার কারনে। একসময় বাংলাদেশের নারীরা ব্যাপক হারে এসিড সন্ত্রাসের শিকার হতো। কয়েকজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে আর এই বিষয়টা মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়, মানুষকে সচেতন করার জন্য। শুনেছি ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড! একটা মেয়েকে যখন ধর্ষণ করা হয়ে, তখন তার মৃত্যুটা হয় তিলে তিলে। সারাটা জীবন মৃত্যুর বিভিষীকা বয়ে বেড়ায় সে। প্রতিদিন তার মরণ হয়। তাহলে একটা মেয়েকে এতবার হত্যা করার শাস্তি কেন মাত্র যাবজ্জীবন কারদন্ড? তাদের ২/১ জনের ফাসিঁ কার্যকর করলে ধর্ষণ কমে যাবে?
অপরাধী তার অপরাধের সাজা পাবে কিন্ত সমাজ ব্যাবস্থা আর রাস্ট্রও সমভাবে অপরাধী তাকে অপরাধী হিসাবে গড়া উঠার জন্য, ইন্টার নেট, নীল ছবি, আকাশ সাংস্কতি, অভাদ চলাচল, বেহায়াপনা, পোশাক, আধুনিকতা, অসৎসঙ্গ, কালোটাকা, প্রভাব, .............রাস্ট্র এবং সমাজ এর দায় এড়াবেন কিভাবে?