জঙ্গিবাদ বা টেরোরিজম বর্তমান বিশ্বের এক জটিল বাস্তবতা। তাই এখন যৌক্তিক কারণেই জগতের অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি জঙ্গিবাদ নিয়ে ব্যাপক বিশ্লেষণ গুরুত্ব পাচ্ছে। এর সূত্র ধরে ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গিবাদের নানা শ্রেণিবিভাগও তৈরি হয়েছে। যেমন সাইবার, নারকো, নিউক্লিয়ার, বায়ো, রাজনৈতিক, সেপারেটিস্ট, ধর্মীয় জঙ্গিবাদ ইত্যাদি। জঙ্গিবাদ সৃষ্টির প্রধান কারণগুলো কোন পরিস্থিতিতে তৈরি হয়, তার ব্যাখ্যা অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে অপরাধ জগতের অজস্র তথ্যবৃত্তান্ত। বর্তমান বিশ্বে জঙ্গিবাদের এই বিপুল উত্থান কিসের কারণে? সে কি দারিদ্র্যের কশাঘাত, ধর্মীয় উন্মাদনার যুক্তিহীন উন্মেষ, রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের কুটিল অভিপ্রায়, নাকি সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবরুদ্ধ বিদ্রোহে? বলাই বাহুল্য, আধুনিক জঙ্গিরা নিত্যনতুন প্রযুক্তির ফসল ব্যবহারে যতখানি সিদ্ধহস্ত, উৎসাহী ও সফলকাম, সমাজের বুদ্ধিদীপ্ত সাধারণ মানুষ তার চেয়ে অনেক বেশি পিছিয়ে। দৃষ্টান্তস্বরূপ, বিশ্বের সব দেশের সাধারণ মানুষ ব্যবহার করার অনেক আগে থেকেই অপরাধ জগতের গ্যাং মেম্বার আর ড্রাগ ডিলাররা ব্যবহার করতে শুরু করেছিল তাদের বিপার ও মোবাইল ফোন। এখন শোনা যাচ্ছে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে গোপন বাক্যালাপ ও তথ্য আদান-প্রদান ও সরবরাহের কাজে নব্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে তৈরি করে নিয়েছে এনক্রিপ্টেড রেডিওর মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক। যে নেটওয়ার্কে নিজেদের একান্ত বিশ্বস্ত জঙ্গিকর্মী ছাড়া অন্যের অনধিকার প্রবেশ অসম্ভব। তাই জঙ্গিবাদ দমনে প্রয়োজন সামাজিক জাগরণ।
↧