অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ
মূল লেখক : অ্যালেক্স রাদারফোর্ড
অনুবাদক : সাদেকুল আহসান কল্লোল।
৪৪০ পাতার বিশাল এই বইটির কাহিনী সংক্ষেপ আমি ধারাবাহিক ভাবে কয়েকটি পর্বে লিখে যাব।
পাঠকদের মনে রাখতে হবে আমার লেখা অন্যসব কাহিনী সংক্ষেপের মতো এই কাহিনী সংক্ষেপটিও স্পয়লার দোষে দুষ্ট। এই কাহিনী সংক্ষেপে সম্পূর্ণ উপন্যাসের মূল কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখানে উল্লেখ আছে।
==================================================================================
অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ)
বাবরের বাবা ছোট বেলায় তার পূর্বপুরুষ তৈমুরের গল্প শোনাতেন বাবরকে। তিনি দুঃখ করে বলতেন মহান তৈমুরের বংশধর হয়েও তিনি ছোট্ট একটি অংশ“ফারগানার” সম্রাট মাত্র। তার অন্যান্য ভাইয়েরা বিশাল বিশাল সাম্রাজ্যের দখল নিয়ে এখন তাকে গরীব সম্রাট বলে অবজ্ঞা করে। এমনি একদিন গল্প করার সময় ছাদের এক কার্নিশ ভেঙ্গে বাবরের পিতা মারা যান। বাবরের পিতার প্রধান দেহরক্ষী ও প্রধান সেনাপতি ওয়াজির খান বাবরকে প্রথম ফারগানার সম্রাট বলে সম্ভধন করেন।
বাবরের বাবা যখন মারা যায় তখন বাবরের বয়স মাত্র ১২ বছর। বাবরের বাবার প্রধান উজির কামবার আলী মনে করেন ১২ বছরের বাবরকে পথ থেকে সরি নিজের পছন্দের কোন তৈমুর বংশের লোককেভারপ্রাপ্ত সম্রাট করে নিবে। কামবার আলী সভা ডাকে, উপস্থিত হয় কোষাধ্যক্ষ, রাজ জ্যোতিষ ও বাজার সরকার। তারা নিজেদের স্বার্থ চিন্তা করে ঠিক করে যে রাতেই মোগলিস্তানে দূত পাঠিয়ে সেখানকার সম্রাটকে ফারগানার রাজপ্রতিভূ নিয়োগ করবে। এমনি সময় প্রধান সেনাপতি ওয়াজির খান সেখানে উপস্থিত হয়। সভা সদস্যদের মতলব বুঝতে পেরে তিনি গিয়ে উপস্থিত হন বাবরের মা ও নানীর কাছে। তাদের বুঝিয়ে বলেন সব কিছু। বাবরের নানী তখনই সমস্ত বিশ্বস্ত গোত্রপতিদের চিঠি দেন যে আগামী কাল সকালে সুলতানের জানাজা শেষে মসজিদে বাবারকে নতুন সুলতান হিসেবে ঘোষণা করা হবে, তারা যেন উপস্থিত থাকেন।
বাবরের পিতা আগেই তার নিজের জন্য সমাধি সৌধ নির্মাণ বরে রেখে ছিলেন। পরদিন সকালে সকলের উপস্থিতিতে মৃত সম্রাটের দাফন কাজ শেষে একটি তীর এসে পরে বাবরের পায়ের কাছে। তীরের সাথে চিরকুটে লেখা রয়েছে ফারগানার চির শত্রু সাইবানি খানের লেখা ফারগানা দখল বরে নেয়ার হুমকি। রাতে বাবরের মা বাবরকে শাহী আলখাল্লা এবং ন্যায় বিচারের প্রতীক বাবরের পিতার বংশীও প্রতীক তরবারি "আলমগীর" দেন। অন্যদিকে তখন গোত্রপতিদের ভোজ শেষে উজির তাদের বলে যে কিশোর বাবরকে সম্রাট না করে তারা অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব দিতে চান। তখন সেখানে উপস্থিত গোত্রপতিরা প্রত্যেকেই নিজেকে যোগ্য বলে দাবি করে এবং তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
তেমনি সময় সম্রাটের বেশে বাবর সেখানে উপস্থিত হয়। বাবর সৈন্যদের হুকুম দেয় কোষাধ্যক্ষ, রাজ জ্যোতিষ ও বাজারসরকারকে গ্রেফতার করার। বাবরকে হত্যার চেষ্টা করার জন্য বাবর নিজ হাতে উজিরের গর্দান এক কোপে কেটে ফেলে শাস্তি দেন। সেই কাটা মাথা দুর্গের দরজায় একটি খুঁটিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়। সকলে বুঝে যায় বাবর বয়সে ছোট হলেও সেই আসল সম্রাট।
এদিকে কিছুদিন পরেই সমরকন্দের সুলতান আহমেদের কাছ থেকে একটি চিঠি আসে বাবরের কাছে। বাবরে চাচা আহমেদ জানায় তার সৈন্যদল এগিয়ে আসছে ফারগানার দায়িত্ব বুঝে নিতে। তৈমূরের শত্রুরা চারদিক থেকে আক্রমণ করার আগেই তিনি ফারগানার শাসক হতে চান, তার আশ্রয়ে বাবর ভালোই থাকবে। একদিকে চাচার এই আক্রমণ অন্য দিকে উজবেক সম্প্রদায়ের নেতা সাইবানি খানও যে কোন সময় আক্রমণ করতে পারে বলে বাবর গুপ্ত সংবাদ পায়। বাবর তার গোত্রপতিদের দরবারে ডেকে ভাষণ দেয়। বাবর জনায় ৪দিন পর তিনি সৈন্য বাহিনী নিয়ে গিরিপথ ঘুরে পিছন থেকে সুলতান আহমেদের সৈন্যদের আক্রমণ করবে। সবাইকে বলে ৪দিনের মধ্যে নিজেদের সৈন্যদের নিয়ে হাজির হতে।
চার দিন পরে সৈন্যেরা সকলে প্রস্তুত, ভোর হলেই রওনা হবে বাবর। ঠিক তখন সমরকন্দের কিছু সৈন্য এসে হাজির হয়। তারা জানায় একটি নদীর পারে তাদের সৈন্যরা ক্যাম্প ফেলে। তখন হঠাত করেই উজবেকরা আক্রমণ করে। একটি তীর এসে সুলতানের গলায় বিধে। সুলতান মারা যান। মারা যাবার আগে তৈমূরের আঙ্গরীয় নামের আংটি টি বাবরকে দিয়ে যান। সেই আংটিটি বাইসানগার নামের এই সৈন্য দলের সেনাপতি বাবরের কাছে পৌঁছে দিতে এসেছে। যেহেতু সুলতানের কোন পুত্র ছিলো না তাই এই আঙ্গুরীয় দেয়ার অর্থ হচ্ছে বাবরকে সমরকন্দের উত্তরাধিকার করে যাওয়া।
-------------------------------------------------------------- চলবে --------------------------------------------------------------
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়আট কুঠুরি নয় দরজা – সমরেশ মজুমদার
তিতাস একটি নদীর নাম – অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাস হার্ডি
মর্নিং স্টার - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড
ক্লিওপেট্রা - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড১৯৭১ – হুমায়ূন আহমেদ
অচিনপুর – হুমায়ূন আহমেদ
অয়োময় – হুমায়ূন আহমেদ
অদ্ভুত সব গল্প – হুমায়ূন আহমেদ
অনীশ – হুমায়ূন আহমেদ
আজ আমি কোথাও যাব না – হুমায়ূন আহমেদ
আজ চিত্রার বিয়ে – হুমায়ূন আহমেদ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ – হুমায়ূন আহমেদ
গৌরীপুর জংশন – হুমায়ূন আহমেদ
হরতন ইশকাপন – হুমায়ূন আহমেদ
3 minutes and 5 seconds after:
নোট : বাইসানগার কাল্পনিক চরিত্র মাত্র, বাস্তবে তার অস্তিত্ব ছিলো না। ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখার সময় লেখক গল্পের খাতিরে এই চরিত্রটি তৈরি করেছেন।