Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

২০১৮ সালের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে দ্রুত গতির ইন্টারনেট

$
0
0

বর্তমানে বাংলাদেশের সকল ক্ষেএে ডিজিটাল অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। ফলে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তির হতে চলেছে লাল-সবুজের এ দেশটি। দিনে দিনে অনাহার, অর্ধাহার, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, অনুন্নত যোগাযোগ খাতসহ অভাব আর অপ্রতুলতার মতো পীড়াদায়ক শব্দগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে ৫৫ হাজার বর্গমাইলের মানচিত্র থেকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রতিশ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে শিগগিরই মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তির হবে তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। তার নেতৃত্বের এই বলিষ্ঠতা ও দৃঢ়তাই আমাদের দেশের সবচেয়ে অন্যতম বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের অন্যতম বড় অর্জন উন্নয়নের সকল ক্ষেএে ডিজিটাল অগ্রগতির মহাসড়কে উঠে আসা। এ ক্ষেত্রে বড় সহায়ক সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে উদ্ভাবনী ভাবনা ও সময়োপযোগী যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ। বর্তমানে ৪টি খাতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এগুলো হল মানব সম্পদ উন্নয়ন, ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, ই গর্ভনেন্স প্রতিষ্ঠা করা এবং আইসিটি সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ইতিমধ্য দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার প্ল্যান গ্রহন করা হয়েছে। যাতে করে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক ক্যাবল দিয়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার সম্ভব হয়। এক্ষেএে সুখের খবর হচ্ছে -বর্তমানে দেশে সফটওয়ার শিল্পে ২৬ মিলিয়ন ডলারের এক্সপোর্ট বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭’শ মিলিয়ন ডলারে। এই ধারাবাহিবতা বজায় থাকলে ২০২১ সাল নাগাদ হার্ডওয়ার-সফটওয়ার সার্ভিস সেক্টর থেকে রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৫ শত কোটি ডলারে উন্নীত করা সম্ভব। কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে ২০ লাখ লোকের। তবে এই সেক্টরে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য সেভেন ফাইভ-ইয়ার প্ল্যান করার নির্দেশ আগেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে দেশে প্রতিবছর ৫ লাখ ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রায় ৩০ লাখ মোবাইল ফোন, প্রায় ২০ লাখ রেফ্রিজারেটর আমদানি করা হচ্ছে। বর্তমানে এই খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করার জন্য একশটি কাঁচামাল পণ্যে আমদানি কর রেয়াত প্রদান করার দাবি করছে আইসিটি পরিবার। যাতে দেশি শিল্প প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। সুখের কথা হচ্ছে-অর্থমন্ত্রী আইসিটি পরিবারের সেই দাবি গ্রহণ করেছেন। তিনি ৯৪টি পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশ করেছেন। ফলে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য যোগাযোগ শুরু করেছে। তাছাড়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশেকে আইসিটির অন্যতম আকষর্ণীয় গন্তব্য হিসেবে তৈরি করার জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইটি সেক্টরের সব ধরনের ট্যাক্সকে অবমুক্ত করেছেন। কাজেই পৃথিবীর আর কোনো দেশে এই মুহূর্তে এতো বিনিয়োগ বান্ধব নয়।


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>