অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ
মূল লেখক : অ্যালেক্স রাদারফোর্ড
অনুবাদক : সাদেকুল আহসান কল্লোল।
৪৪০ পাতার বিশাল এই বইটির কাহিনী সংক্ষেপ আমি ধারাবাহিক ভাবে কয়েকটি পর্বে লিখে যাব।
পাঠকদের মনে রাখতে হবে আমার লেখা অন্যসব কাহিনী সংক্ষেপের মতো এই কাহিনী সংক্ষেপটিও স্পয়লার দোষে দুষ্ট। এই কাহিনী সংক্ষেপে সম্পূর্ণ উপন্যাসের মূল কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখানে উল্লেখ আছে।
অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) : পর্ব - ০১, পর্ব - ০২, পর্ব - ০৩, পর্ব - ০৪,
==================================================================================
অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) - ০৫
পরদিন এক বুড়ির কাছে বাবর তৈমুরের দিল্লী আক্রমণের গল্প শোনে। তৈমুর তার বিশাল বাহিনী নিয়ে বরফ আচ্ছাদিত পাহার পেরিয়ে গিয়ে সেখানে যুদ্ধ করে প্রচুর ধন দৌলত হাসিল করে ফিরে আসে। বিচিত্র কোন কারণে তৈমুর দিল্লীতে তার সাম্রাজ্য বাড়ায়নি। বাবর চিন্তা করতে শুরু করে সেও ধন রত্নের ভাণ্ডার দিল্লীর দিকে নজর দিবে। এর মধ্যে বাবরের কাছে তার সৎ ভাই জাহাঙ্গীর খবর পাঠায় সাইবানি খান ফারগানা আক্রমণ করতে আছে, বাবর যেন ফারগানায় গিয়ে জাহাঙ্গীরকে সাহায্য করে। বাবর তার সৈন্যদের নিয়ে রওনা হয়। পথে সাইবানি খানের ৫০জন সৈনিকের একটি দলকে পেয়ে হত্যা করে। কিন্তু ফারগানায় পৌঁছে বাবর খবর পায় সাইবানি খান জাহাঙ্গীর ও তার লোকদের হত্যা করে সব দখল করে নিয়েছে। তাই বাবর বাধ্য হন নিজের গোপন আস্তানা ফিরে যেতে।
সাইবানি খান যখন ১০ বছরের শিশু তখন তৈমুরের বাহিনী উজবেকদের গ্রামে আক্রমণ করে তাদের সকলকে হত্যা করে। সাইবানির পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হলেও শিশু সাইবানিকে সমরকন্দে দাশ হিসেবে বিক্রি করা হয়। তৈমুরের এক সভাসদস্য তাকে কিনে নেয়। শিশু সাইবানিকে সে আদর যত্ন ও শিক্ষার ব্যবস্থা করে ঠিকই কিন্তু নিজের সমকামিতার সঙ্গীও করে নেয়। সাইবানি সামান্য বড় হতেই সেই মনিবকে হত্যা করে নিজের গ্রামে পালিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সে নিজের দল তৈরি করে, ধীরে ধীরে সে উজবেকদের নেতা হয়ে যায়। সাইবানি খান শপথ নেয় তৈমুর বংশের সকল শাহজাদাদের সে হত্যা করবে। বাবরের চাচা, চাচাতো ভাই, সৎ ভাইকে সাইবানি হত্যা করেছে। এখন খুঁজে বেড়াচ্ছে বাবরকে হত্যার জন্য। তাই বাবর ইচ্ছের বিরুদ্ধে পালাতে শুরু করে।
বাবর তার অবশিষ্ট অল্প সংখ্যক সৈন্য আর পরিবারের লোকদের নিয়ে পাহাড়ি গিরিপথ পারি দিয়ে দিল্লীর দিকে রওনা হয়। কঠিন সেই পথ অসম্ভব কষ্টে কোন রকমে পার হয়ে একটি গ্রামে পৌছায়। সেই সময় কাবুল থেকে একজন দূত এসে বাবরকে জানায় কাবুলের সম্রাট উলুক বেগ মির্জা যে কিনা তৈমুর বংশের সম্রাট ও বাবরের দূর সম্পর্কের চাচা ছিলেন, তিনি কিছুদিন আগে মারা গেছেন। তিনি মারা যাবার আগে তার একমাত্র ছেলে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় বলে তার সলতনতের বৈধ কোন উত্তরাধিকার নেই। তাই তার পরিষতগণ ঠিক করেছে তৈমুর বংশের শাহজাদা বাবর যদি রাজি থাকে তাহলে তাকে কাবুলে সম্রাটের আসন দেয়া হবে। বাবরের বাবা মাঝে মাঝে তার ভাই উলুক বেগ মির্জার কথা বাবরকে বলতেন। কিন্তু দূরত্বের কারণে তাদের সাথে তেমন কোন যোগাযোগ ছিলো না। বাবরের চাচা উলুক বেগ মির্জার মৃত্যুতে অপ্রত্যাশিত ভাবে বাবর একটি সাম্রাজ্যের সম্রাট হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু বাবর যেখানে আছে সেখান থেকে কাবুল ৫০০ মাইলেরও বেশী দুর্গম বরফ আবৃত্ত পাহাড়ি গিরিখাত ও চরম দুর্যোগপূর্ণ পথ। অন্যদিকে দ্রুত কাবুলে পৌছতে না পারলে হয়তো কাবুল পৌঁছে বাবর দেখতে অন্য কেউ সিংহাসনে বসে গেছে।
বাবর ঠিক করে সে কাবুল যাবে। তার সাথে সৈন্যদের বলে তাদের নিজেদের গোত্রে খবর পাঠাতে যাতে তাদের লোকরা বাবরের সাথে যোগ দিতে পারে। এক মাস পরে, প্রায় ৪ হাজার লোকের এক বাহিনী নিয়ে বাবর রওনা হয় দুর্গম কাবুলের পথে। মা আর নানীকে রেখে যায় এক মিত্রের দুর্গে। কাবুলে পৌঁছে তাদের নিয়ে যাওয়া ভালো ব্যবস্থা করবে। দুর্গম পথে শুরু হয় চলা। একসময় পৌছায় পাহারের পাদদেশে সেখান থেকে পথ প্রদর্শক নিয়ে এগিয়ে চলে। পাহাড়ি পথের মাঝামাঝি আসার পরে হঠাত এক পাহাড়ি বরফ ধ্বসে বাবরের পথপ্রদর্শক মারা পরে। পরের পথটুকু তার ছেলে বাবরের দলকে নিরাপদে নামিয়ে নিয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত বাবর কাবুলের সীমান্তে উপস্থিত হয়। কিন্তু তখন জানতে পারে ইতিমধ্যে হাজারা গোত্রের এক সর্দার মোহাম্মদ মুকুইম দখল করে নিয়েছে কাবুলের দূর্গপ্রাসাদ। কিন্তু সে নিজেকে সুলতান ঘোষণা করেনি। বাবর তার সৈন্য দল নিয়ে হাজির হয়। দূতকে পাঠায় মুকুইম এর কাছে। বন্দিদের ছেড়ে সে নিজের লোকদের নিয়ে শহর ছেড়ে চলে যেতে রাজি হয়। বাবর কাবুলের সুলতান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।
এদিকে হাজারারা বাবরের অধীনতা মানতে অস্বীকার করে এবং খাজনা দেয়া বন্ধ করে দেয়। বাবর তার দূত পাঠায়, কিন্তু হাজারারা বাবরের দূতের কান কেটে দেয়। বাবর নির্দেশ দেয় সমস্ত বন্দী হাজারার সৈন্যদের মুণ্ডু কেটে দিতে। বাবুরীকে প্রথম বারের মত নেতৃত্ব দিয়ে পাঠায় হাজারাদের এলাকায় গিয়ে শিশু ও নারী ব্যতীত সকল হাজারাদের হত্যা করতে। বাবুরী হাজারাদের বিদ্রোহ দমন করে হাজারার নেতার কাটা মুণ্ডু এনে বাবরের সামনে পেশ করে। কিছুদিন পরেই বাবরের মা ও নানী এসে পৌছায়। বাবর বাইসানগারের হাতে কাবুলের ক্ষমতা দিয়ে তার সৈন্য নিয়ে এগিয়ে চলে দিল্লীর দিকে। অচেনা পথে হঠাত পিখী নামে এক গুপ্তচর ধরা পরে বাবরের হাতে। গুপ্তচর পিখীকে প্রাণে না মেরে বাবর তার পথপ্রদর্শনকারী হিসেবে নিয়োগ দেয়। পিখীর সাহায্যে অতি অল্প সময়ে বাবর সিন্ধু নদীর তীরে পৌঁছে যায়। কিন্তু নদী পার হওয়ার কোন ব্যবস্থা দেখতে পায় না। বাবরের সৈন্যদের আসার খবর পেয়ে সব মাঝিরা আগেই এলাকা ছেড়ে তাদের নৌকা নিয়ে ভেগে গেছে। বাধ্য হয়ে বাবর ফিরতি পথ ধরে, ৫ মাস পরে বাবর আবার কাবুল ফিরে আসে।
-------------------------------------------------------------- চলবে --------------------------------------------------------------
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়আট কুঠুরি নয় দরজা – সমরেশ মজুমদার
তিতাস একটি নদীর নাম – অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাস হার্ডি
মর্নিং স্টার - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড
ক্লিওপেট্রা - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড১৯৭১ – হুমায়ূন আহমেদ
অচিনপুর – হুমায়ূন আহমেদ
অয়োময় – হুমায়ূন আহমেদ
অদ্ভুত সব গল্প – হুমায়ূন আহমেদ
অনীশ – হুমায়ূন আহমেদ
আজ আমি কোথাও যাব না – হুমায়ূন আহমেদ
আজ চিত্রার বিয়ে – হুমায়ূন আহমেদ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ – হুমায়ূন আহমেদ
গৌরীপুর জংশন – হুমায়ূন আহমেদ
হরতন ইশকাপন – হুমায়ূন আহমেদ