Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

ঢাকায় ২০০ বেডের কারা হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ

$
0
0

কারাগারের কয়েদি ও হাজতিদের উন্নত সেবার চিন্তা করে কারা অভ্যন্তরের বাইরে ২০০ বেডের একটি আধুনিক মানের হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। হাসপাতালটি ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় নির্মিত হবে। মূল কারাগার থেকে এই হাসপাতালের দূরত্ব ১ কিলোমিটার। এটি সর্বসাধারণের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে। হাসপাতালটিতে নিয়োগ করা হবে ২৫ জন চিকিৎসক এবং ৪০ জন নার্স। থাকবে পর্যাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী। রোগীদের রোগ নির্ণয়ের জন্য উন্নতমানের মেশিন স্থাপন করা হবে। এতে কারাগারে থাকা কয়েদি ও হাজতিরা উন্নত চিকিৎসা পাবেন। হাসপাতালের কয়েদি ও হাজতিদের রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্য আরো ৭৫ জন অতিরিক্ত কারারক্ষী নিয়োগ দেয়া হবে। ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। প্রত্যেক কারাগারের মধ্যেই একটি ছোট হাসপাতাল থাকে। সেখানে কারাগারে থাকা হাজতি ও কয়েদিরা চিকিৎসা নেন। কিন্তু অতিরিক্ত কয়েদি ও হাজতি হলে তখন তাদের সরকারি হাসপাতালে পাঠাতে হয়। নাজিমউদ্দিন রোডের পুরান কারাগারের মধ্যে ৩টি পুরুষ ও ১টি মহিলা ওয়ার্ড ছিল। এছাড়াও ২০টি আলাদা কেবিন ছিল। ২০টি কেবিনের মধ্যে ৩টি ছিল মহিলাদের জন্য। ওয়ার্ড ও কেবিনের বেডগুলো কখনও খালি থাকতো না। বেশির ভাগ রোগীই বেডে যাওয়ার জন্য কারাগারের জেলারের কাছে পীড়াপীড়ি করতেন। এ সমস্যা আরো প্রকট হয় যখন কারাগারে ভিআইপি বন্দি বেশি হতে থাকে। প্রটোকল অনুযায়ী তাদের আগে বেড দিতে বাধ্য  হন কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসার ক্ষেত্রেও তারা অগ্রাধিকার পান। তাদের চাপের কারণে অনেক হাজতি ও কয়েদি পর্যাপ্ত চিকিৎসা পান না। অনেকেই বারান্দায় চিকিৎসা নেন। এ নিয়ে অনেক সময় খোদ কারা কর্তৃপক্ষ বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন। কারা অভ্যন্তরের চিকিৎসকেরাও রোগীদের উন্নত সেবা দিতে পারেন না। এ সময় যেসব রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তিকৃত রোগীর সঙ্গে সর্বক্ষণ একজন কারারক্ষী পাহারা দেন। আবার গুরুত্বপূর্ণ রোগী হলে শাহবাগ থানার একজন কনস্টেবলও থাকেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সময় অনেক রোগী কারারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছেন এমন ঘটনাও ঘটেছে।  ২০০ বেডের নতুন এই কারা হাসপাতাল হলে এসব সমস্যা দূর হবে বলে মনে করছে কারা অধিদপ্তর। হাসপাতালের চারপাশে থাকবে উঁচু সীমানা প্রাচীর। চারদিকে থাকবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে হাসপাতালের সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়াও একটি বড় ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়। যে টাওয়ার থেকে কারারক্ষীরা দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন। হাসপাতালে সর্ব সাধারণ চিকিৎসা নিতে পারলেও প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি থাকবে। হাসপাতালের পাস ছাড়া রোগীর স্বজনদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>