Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) - ০৬

$
0
0

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ
মূল লেখক : অ্যালেক্স রাদারফোর্ড
অনুবাদক : সাদেকুল আহসান কল্লোল।
http://i.imgur.com/uY2bhBD.jpg
৪৪০ পাতার বিশাল এই বইটির কাহিনী সংক্ষেপ আমি ধারাবাহিক ভাবে কয়েকটি পর্বে লিখে যাব।

পাঠকদের মনে রাখতে হবে আমার লেখা অন্যসব কাহিনী সংক্ষেপের মতো এই কাহিনী সংক্ষেপটিও স্পয়লার দোষে দুষ্ট। এই কাহিনী সংক্ষেপে সম্পূর্ণ উপন্যাসের মূল কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখানে উল্লেখ আছে।

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) : পর্ব - ০১, পর্ব - ০২পর্ব - ০৩পর্ব - ০৪পর্ব - ০৫,   
==================================================================================


অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) - ০৬

কাবুল ফিরে বাবর দেখে তার মা জ্বরে মৃত্যুশয্যায়।  মায়ের অনুরধে বাবর আবার বিয়ে করতে রাজি হয়। আয়শা তার বাবার কাছে ফিরে যাওয়ার পরে আয়শার বাবা বাবরের সাথে আয়শার বিবাহ বিচ্ছেদ করে দেয় এবং তারই গোত্রের একটি ছেলের সাথে আয়শার বিয়ে দেন। বাবর বুঝতে পারে আয়শার সেই শীতল আচরের কারণ তার গোত্রের সেই ছেলেটি ব্যতীত অন্যকিছু নয়। তাই এবার বাবর তার বিশ্বস্ত সেনাপতি বাইসানগারকে ডেকে প্রস্তাব দেয় তার কোন মেয়ে বা আত্মীয়া থাকলে তার বংশে বাবর বিয়ে করবে। বাইসানগার তার নিজের ১৭ বছরের মেয়ের কথা বলে। যথা সময়ে বাইসানগারের একমাত্র মেয়ে মাহাম এর সাথে বাবরের বিয়ে হয়ে যায় মহা ধুমধামে। মাহামের সাথে খুবই চমৎকার সময় কাটতে থাকে বাবরের। এরমধ্যে রাজনৈতিক কারণে কাবুলের কোন এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করে কাবুলের সাথে নিজের সম্পর্ক গভীর করার সিদ্ধান্ত নেয়। কাবুলের উজিরের মেয়ে গুলরুখকে বাবরের ২য় স্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়।



১৫০৮ সালে জন্ম নেয় মাহামের গর্ভে বাবরের বাড় ছেলে হুমায়ূন আর কয়েক মাস পরে গুলরুখের গর্ভে জন্ম নেয় কামরান। এর মধ্যে বাবর খবর পায় সাইবানি খান বিশাল সৈন্য বাহিনী নিয়ে রওনা হয়েছে। সে কাবুল বা কাবুলের পার্শ্ববর্তী খোরাসান আক্রমণ করবে। বাবর তার দূত পাঠায় খোরাসানের সম্রাটের কাছে মৈত্রীর প্রস্তাব দিয়ে, কিন্তু পথে তাদের হত্যা করা হয়। বাবরেরই দূর সম্পর্কের ভাই মির্জা খান সাইবানি খানের সাথে হাত মিলিয়ে বেইমানি করে। বাবর মির্জা খানকে  মৃত্যুদণ্ড দেয়।



বাবর বুঝতে পারে কাবুলে বসে থাকলে আবারও সাইবানি খানের বিশাল বাহিনী তাকে ইঁদুরের মত বন্দী করে রেখে হত্যা করবে। বাবর ঠিক করে সে তার নিজের সৈন্য সহ অন্যান্য সকল গোত্র থেকে যত সম্ভব লোক নিয়ে যে পাহারের গিরিখাত ধরে সাইবানি খানকে আসতে হবে সেদিকে এগিয়ে যাবে। ছোট ছোট দল নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে যাবে। বার বার অতর্কিতে গুপ্ত হামলা চালিয়ে সাইবানি খানের সৈন্য যত জন সম্ভব হত্যা করে আবার লুকিয়ে পরবে। এই চিন্তা করে বাবর তার সৈন্যদের নিয়ে রওনা হয়। গুপ্তচর খবর আনে সামনে সাইবানি খানের ৪০০ সৈন্য নদী পার হচ্ছে। বাবর তাদের উপর চরাও হয়ে প্রায় সকলকে হত্যা করে। যদিও সাইবানি খানের মোট  সৈন্যের মধ্যে ৪০০ সৈন্য অতি নগণ্য।



এদিকে সাইবানি খানের দখল করা যায়গা থেকে দলে দলে লোক এসে বাবরের সাথে যোগ দিচ্ছে। সাইবানি খানের অত্যাচার আর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে তারা বাবরের সাথে সাইবানি খানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায়। দেখতে দেখতে ১৬ হাজার লোকের এক বিরাট বাহিনী বাবরের হয়ে যায়। কিন্তু সাইবানি খানের সঠিক তথ্য কিছুতেই বাবর পায় না। সাইবানি খান কোথায় আছে, কোন দিকে যাচ্ছে কিছুই বুঝতে পারে না। এরমধ্যে পারস্যের সম্রাট শাহ ইসমাইল তার দূতের মাধ্যমে খবর পাঠায় বাবরের কাছে। শাহ ইসমাইল জানায় তাদের ১৭ হাজার অশ্বারোহী সৈন্য অতর্কিতে হামলা চালিয়ে সাইবানি খানকে হত্যা করে এবং সাইবানি খানের সৈন্যদের নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। সাইবানি খানের মাথার খুলি দিয়ে একটি সুন্দর সোনার পানপাত্র তৈরি করে বাবরকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে। উপহারের তালিকায় আরো আছে একটি চমৎকার ঘোড়া আর বাবরের বোন খানজাদা। খানজাদাকে সাইবানি খান তার সাথেই নিয়ে বেরিয়ে ছিল। পারস্যের সম্রাট শাহ ইসমাইল প্রস্তাব পাঠিয়েছেন সমরকন্দ দখল করে রাখা উজবেকদের উচ্ছেদের জন্য তিনি সৈন্য দিয়ে বাবরকে সাহায্য করবেন। বিনিময়ে বাবর শাহ ইসমাইলকে অধিপতি হিসেবে মেনে নিতে হবে। বাবর তাতে রাজি হয়।



বাবর ঠিক করে সমরকন্দ দখল করতে পারলে অনায়াসে ফারগানা দখল করা যাবে, আর কাবুল তো রইলোই। সব মিলিয়ে তিনি তার উত্তরাধিকারদের জন্য একটি বিশাল সাম্রাজ্য রেখে যেতে পারবেন। কিন্তু এই কথা শুনে বাবুরী দ্বিমত পোষণ করে। বাবুরী মনে করে কিছুদিন পরেই শাহ ইসমাইল আরো বড় শর্ত বাবরের উপরে চাপিয়ে দিবে। বাবর আর বাবুরীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বাবর রেগে গিয়ে বাবুরীর নাকে ঘুসি দিয়ে নাক ভেঙ্গে দেয়। পরদিন বাবুরীকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।

-------------------------------------------------------------- চলবে --------------------------------------------------------------


আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

আট কুঠুরি নয় দরজা – সমরেশ মজুমদার

তিতাস একটি নদীর নাম – অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাস হার্ডি

কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরীর

মর্নিং স্টার - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড
ক্লিওপেট্রা - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড

১৯৭১ – হুমায়ূন আহমেদ
অচিনপুর – হুমায়ূন আহমেদ
অয়োময় – হুমায়ূন আহমেদ
অদ্ভুত সব গল্প – হুমায়ূন আহমেদ
অনীশ – হুমায়ূন আহমেদ
আজ আমি কোথাও যাব না – হুমায়ূন আহমেদ
আজ চিত্রার বিয়ে – হুমায়ূন আহমেদ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ – হুমায়ূন আহমেদ
গৌরীপুর জংশন – হুমায়ূন আহমেদ
হরতন ইশকাপন – হুমায়ূন আহমেদ


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>