মিরপুর ১২ নম্বর মডেল হাই স্কুলের ছাত্র ছিলাম। এই স্কুলে কোন বিত্তশালী পরিবারের ছেলে মেয়েরা পড়ালেখা করতো না। নিম্নবর্তী পরিবারের ছেলে মেয়েরাই পড়তো। ১২ নং মোল্লা বস্তির অসংখ্য ছেলে মেয়ের একমাত্র ভরসা ছিলো এই সরকারী স্কুল টি। যদিও আমাদের খুব বেশী পড়ালেখার দরকার ছিলো। এক থেকে দশের নামতা গুনতে পারলে, আর যোগ ভাগ বিয়োগ বুঝলেই পিএইচডি সার্টিফিকেট পেয়ে যেতাম। কর্মসংস্থান হিসেবে, ঝালমুড়ি, বাদাম, শরবত, পিঠা এসব বিক্রি করা ছিলো প্রধান উৎস।
কিন্তু গোবরে যে পদ্ম ফুটে তা কি অস্বীকার করা যায়। ঠিক তেমনি এক সাহসী মেয়ের গল্প ছিলো। নাসরিন নামের মেয়েটি মোল্লা বস্তির ছিলোনা। সে অন্য কোন এক জায়গা থেকে এসেছে। সবে মাত্র আমরা পঞ্চম শ্রেনীতে উঠেছি। আজই প্রথম তাকে দেখলাম। ময়লা ফ্রক, একটি ছেড়া ওড়না, আর ধুলোবালিতে ভরা খালি পায়ে সে ক্লাসে ঢুকলো। এসব ময়লা জামাকাপড় দেখে অবাক হবার কিছু ছিলোনা। কারন আমাদের পোষাক আশাক তার থেকে খুব বেশী ভালোনা। আমরা এসবে খুবই পারদর্শী। সমাজের নিচুজাত বলে কথা। সবাই জাতে জাতে ঠিক আছে। উচুর জায়গায় উচু, নিচুর জায়গায় নিচু। এই জাত বাতের কথা যখন মনে আসে তখন লালন ফকিরের গানটির কথা মনে হয় "জাত গেলো, জাত গেলো বলে। একি আজব কারখানা"
নাসরিন এসে আমার পাশের সিটে বসলো। শরীর থেকে ঘামের দুর্গন্ধ আসতে লাগলো। আমিও নিজের জামা একবার শুঁকে নিলাম। তার থেকে বিকট গন্ধ তো আমার নিজ গায়ে। হাসিমুখে তাকে জিজ্ঞেস করলাম,
০- কই থেইক্কা আইছোস?
-- দারুলউলুম মহিলা এতিম খানা থেকে।
০- নাম কি?
-- নাসরিন।
০- যাক নাম তো ভালোই
-- তোর নাম?
০- নজরুল।
-- আমি কিন্তু নজু কইয়া ডাকমু।
কথাটি বলে সে খিল খিল করে হেসে দিলো। আমি কিছু বলতে যাবো, এর মধ্যে স্যার চলে আসলেন। আর কিছু বলা হলোনা। ক্লাসে মনোযোগ দিলাম। ত্রিশ মিনিট পর টিফিন এর ঘন্টি পড়লো। সবাই ছুটে বের হয়ে সিরিয়াল এ দাড়ালাম। নাসরিন সবাইকে সিরিয়ালে দাড়াতে দেখে একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো
০- আরে নজু, এই সিরিয়াল কিসের?
-- কেন তুই জানোস না, এই সময়ে আমাগো, ফ্রিতে বিস্কুট দেয়। সরকারী বিস্কুট। তাড়াতাড়ি সিরিয়াল এ দাড়া তানা হইলে স্যার বিস্কুট দিবো না।
সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে আমার সামনে এসে দাড়ালো। ব্যাপার টা এমন হলো যে "উপকারীরে বাঘে খায়।" সালার আমার থেইক্কা খবর নিয়া আমারেই ভুলে গেলো। একে একে সবার হাতে বিস্কুট আসলো। নাসরিন হাতে পাওয়া মাত্র, পাশের বারান্দায় ধপাস করে বসে পড়লো। আর এত দ্রুত প্যাকেট ছিড়ে বিস্কুট খেতে লাগলো, যেন কোনদিন খায় নাই। আমি তার পাশে বসে, আরে নাসরিন তুই রাক্ষসের মত খাস কেন। সে কিছু বললো না এক নিশ্বাসে পুরোটা শেষ করে বলতে লাগলো, "আসলে কাল রাত থেকে কিছুই খাইনাই। অনেক ক্ষিদা লাগলছিলো। " কথাটি বলে সে আমার হাতের বিস্কুটের দিকে তাকালো। বুঝতে পারলাম, তার ক্ষিদে এখনো মিটেনি কিছু না বলে বিস্কুট বাড়িয়ে দিলাম। বাঘ যেমন হরিন শিকার করে তেমনি করে সে বিস্কুটের প্যাকেট শিকার করলো। কিন্তু মায়া হচ্ছিলো খুব আমার, কারন ক্ষুদার যন্ত্রনা কতটা প্রখর আমাদের মত নিচুজাত ছাড়া কে জানবে। খাওয়া শেষে সে আমার গালে একটি চুমু বসিয়ে দিলো। আমি কিছু বুঝতেই পারলাম না। কিন্তু দেহের ভিতর এক মৃদু কম্পন হলো। মনে হচ্ছিলো শরীরের রক্তগুলো কয়েক হাজার গুন স্পিডে দৌড়াচ্ছে। আমার বাবা মা ও তো আমাকে চুমু দেয় কিন্তু এমন তো হয়না। তখন বুঝতে পারলাম, নারী পুরুষের গোপন রহস্য। এর আগেও বস্তির ছেলেদের কাছে অনেক শুনেছি এসব। বুঝতে পারিনি, আজ বুঝেও গেলাম।
স্কুল শেষে আমি আর নাসরিন হেটে যাচ্ছি। সে এতিম খানায় যাবে আমি বাসায়। কেন জানি নাসরিন এর সাথে সময়টা ভালোই কেটেছিলো। এত ভালো লাগা এর আগে কখনো অনুভব করিনি।
।
২
।
সময় দ্রুত চলে যাচ্ছিলো। আমাদের বন্ধু গ্রুপে আর একজন এসে যুক্ত হলো, রুপা। রুপা আমাদের বস্তিতেই থাকতো। রুপার ভাই জুয়েল এর সাথে আমার বেশী ভালো সম্পর্ক ছিলোনা। কিন্তু সময়ের সাথে এক সময় সেও ভালো বন্ধু হয়ে গেলো। আমরা ক্লাস এইট এ উঠে গেলাম। দেখতে দেখতে আমাদের বন্ধুত্বের তিন বছর কেটে গেলো। প্রতিদিনের মত আমরা টিফিন টাইমে বিস্কিট নিয়েই কাড়াকাড়ি করতেছিলাম। এরই মধ্যে জুয়েল কাঁদতে কাঁদতে ছুটে আসলো স্কুল প্রাঙ্গণে। সবাই হকচকিয়ে গেলাম, আমি জুয়েলের কাধে হাত দিয়ে তাকে থামানোর চেষ্টা করলাম সে কেদেই যাচ্ছে। রুপা জিজ্ঞেস করতে লাগলো, কি হইছে?
জুয়েল কান্নারত অবস্থায় বলতে লাগলো, বাবার এক্সিডেন্ট হইছে।
কথাটি শুনে মাথার উপর আকাশ ভেংগে পড়লো। আমরা সবাই দৌড়াতে লাগলাম, এক দৌড়ে বস্তিতে এসে দেখলাম, রুপার মা কাদতে কাদতে অজ্ঞান হয়ে গেছে। পাশেই রুপার বাবার লাশ পড়ে রইছে। সাদা কাপড়ে ঢাকা রক্তাক্ত এক মৃত লাশ। রুপা দিশে খুজে পায়না, কার গোলা ধরে কাদবে। এক দিকে মা অজ্ঞান অপর দিকে বাবা মৃত। সে গম্ভীর হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো, ঘরের বাশের খুটি ধরে। আর চোখ থেকে জলধারা বইতে লাগলো। রুপাকে সামলানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু তার চোখের পানি থামলোনা। কোনদিন নিরব কান্না দেখিনি, আজ প্রথম অভিজ্ঞতা হলো মানুষ নিরবে কিভাবে কাদে। আমিও কাদছি, নাসরিন জুয়েল, রুপা, পাড়া প্রতিবেশী সবাই শব্দহীন কান্নায় মগ্ন।
বিকেল বেলা, রুপার বাবার জানাজা দিয়ে তাকে কবর দিয়ে বাসায় ফিরলাম। বাসায় আসতেই আরেক সমস্যার সম্মুখীন হলাম। বাবার পক্ষে এখন আর পুরো পরিবার চালানো সম্ভব না। তাই আমার জন্য নতুন সরকারী চাকুরী খুজে বের করেছে। কাল থেকে বইপত্র সব ফেলে দিয়ে "সরকার কার রিপায়েরিং এন্ড ওয়ার্ক শপ এ গিয়ে জয়েন করতে হবে।" আপদত সরকার নাম যেখানে আছে, সেটাই আমার জন্য সরকারী চাকুরী। বাবার কথার অবাধ্য হবার সাহস আমার নেই। এমনিতেই কথায় কথায় মারধর করে। কিছুদিন আগে একটি কথার জন্য পিটিয়ে গায়ের ছাল তুলেছে। এখন কিছু বললে আমাকে মেরেই ফেলবে। হাতের বই গুলো খাটের নিচে ফেলে দিয়ে কালকের জন্য প্রস্তুত হলাম।
।
৩
।
কয়েকদিন আমাকে আর রুপা কে স্কুল এ না পেয়ে নাসরিন আমাদের বাসায় এসে হাজির হলো। রুপাও পড়ালেখা বাদ দিয়ে, চিতল পিঠার দোকান সাজিয়ে জীবন রুজি করতেছে। আর জুয়েল আমার সাথেই সরকারী কাজে যোগদান করেছে।
নাসরিন আমাদের কাজের ঠিকানা নিয়ে, রুপা কে সাথে করে সেখানে হাজির। নাসরিন কে দেখে নিজেকে অনেক আড়াল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার প্রখর দৃষ্টি এড়িয়ে যেতে পারিনি। কাছে এসে কলার টেনে ধরে ঘুষি উঠালো আমাকে মারবে বলে। আমি হকচকিয়ে বললাম "তুই কি মাইয়া নাকি ডাকাত" যা খুশি তা ভেবে নে, আগে বল স্কুলে আসিস না কেন?
০- কেমনে আসবো বাবা মানা করছে। এখন থেকে কাজ করতে হবে।
-- দেখ এই কাজ করে জীবনে কিছুই হবেনা। সারজীবন এসব কাজ করে বস্তিতে আর মানুষের অবহেলার পাত্র হয়েই থাকতে হবে।
০- তো আমরা কি করমু?
-- এমন কিছু করমু যেন সবাই আমাদের নিয়ে গর্ব করে। তুই জহিরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম এর জীবন কাহিনী পড়োস নাই। ওরা এত কিছু করতে পারলে আমরাও পারমু।
০- ধুর বাদ দে! আমাদের দ্বারা এসব কিছু হবেনা। আর আমার সাহস নাই বাবারে এই সব বলার।
-- আগে বল তুই পড়ালেখা করে বড় অফিসার হতে চাস নাকি?
০- হো চাই
-- তাহলে ঘর থেকে পালিয়ে আয়।
নাসরিন এর কথা শুনে আমার চোখ তো চোরক গাছ। কিন্তু কথাটি মন্দ লাগেনি, বাবার মাইর খাওয়ার থেকে এইটাই ভালো হবে। জানিনা কেন রাজী হয়েছিলাম নাসরিন এর কথায়। কয়েক মিনিট লেগেছিলো আমার রাজী হতে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কোথায় থাকবো কি করবো? সেই প্রশ্ন করতে যাবো তার আগেই নাসরিন সমাধান দিয়ে দিলো। দারুল উলুম এতিম খানাতে থাকবো। আমার সাথে জুয়েল রুপা সবাই স্বায় দিলো। শুরু হলো নতুন জীবন।
নাসরিন খুব মেধাবী ছিলো তার উপর বুদ্ধিমতী। কোথা থেকে নতুন নতুন বুদ্ধি নিয়ে হাজির হত আল্লাহ মাবুদ জানে। আমাদের টাকা উপার্জন করার এক ধাছু বুদ্ধি নিয়ে হাজির হলো। পড়ালেখার পাশাপাশি আমরা এক একজন এক এক কাজ করবো। রুপার কাজ, পিঠা বিক্রি করাই রয়ে গেলো, কিন্তু একটি না হরেক রকম পিঠা। জুয়েল এর জন্য ঠিক হলো, রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে জুতা, প্যান্ট শার্ট বিক্রি করা, নাসরিন বেছে নিলো, মেয়েদের ওড়না, থ্রি-পিস বিক্রি করা, আমার জন্য যে কাজ টি ছিলো, তা হচ্ছে সবার প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র আর টাকার হিসেব রাখা। বেছে বেছে আমাকে পোস্ট ম্যানের কাজটাও হয়ত খুব কষ্ট করে বের করছে। তারপরেও আমাদের চার জোট বস্তির ছেলেমেয়েদের নতুন করে পথ চলা শুরু। কিন্তু এগুলোর জন্য টাকার দরকার, সেই টাকা কোথায় পাবো। সেই প্রশ্ন করার আগেই টাকা বন্ঠন শুরু করলো, রুপাকে দুই হাজার, জুয়েল কে দুই হাজার, আর আমাকে পাচ টাকা শান্তনা পুরষ্কার দেওয়া হলো। রাগ হলেও পরে বুঝতে পারলাম আমি তো পোস্ট ম্যান, সব টাকা আবার আমার কাছেই আসবে। এই কথা ভেবে মিটি হাসি নিয়ে! নাসরিন তুই টাকা কোথায় পাইছোস?
সে কথা কাটিয়ে নিলো। আর জানার চেষ্টা করলাম না। পরের দিন সকাল থেকে আমাদের কাজ শুরু হলো। ১২ টা পর্যন্ত কাজ করে স্কুলে যেতাম, আবার বিকেল এ কাজে যেতাম। সেই থেকে আমাদের দিন ঘুরতে লাগলো। চার-পাচ মাস পর থেকে আমাদের ব্যবসা বেড়ে গেলো। লাভ আসতে লাগলো। প্রথম প্রথম যা আসতো তা নিজ খাবার খরচেই চলে যেত। পাচ মাস পর আমি বাসায় গেলাম। বাসায় যেতে দেরী বাবার আমাকে গালাগাল, আর মারধর করতে দেরী হলোনা। মা অনেক কষ্টে বাবাকে থামালেন। আমি সব কথা সবাইকে বললাম, আর বাবার হাতে দুই হাজার টাকা তুলে দিলাম। বাবা আমার কথা শুনে টাকা ছুড়ে ফেলে দিয়ে আমাকে বুকে নিয়ে কান্না করে দিলেন, "আরে নজরুল, তুই আমাগো একমাত্র সন্তান তোরে ছাড়া যে আমরা মরে যাইতাম। কোথায় না খুজছি, তোর মা দিন রাত কাদছে তোর জন্য। তুই আমাগো কইলে কি তোরে মাইরা ফালাইতাম। তখন বুঝলাম, বাবা মায়ের কলিজা কতখানি জ্বলে সন্তানের জন্য। আমি বাবাকে কথা দিলাম আর না বলে কিছু করবোনা।
এবার বাবা মায়ের দোয়া সাথে পেয়ে ব্যবসা আর। পড়ালেখা দুটোই উড়াধুরা কররে করতে। এস.এস.সি পরীক্ষা চলে আসলো। সেই মাসে আর কাজ করলাম না। দিনরাত পড়ালেখা করে ভালো রেজাল্ট নিয়ে পরীক্ষায় পাস করলাম। পরীক্ষার পর কলেজ এ ভর্তি হলাম, কলেজ মানে বড় হয়েছি, এবার বড় কিছু করতে হবে। এই উক্তিটাও নাসরিনের ছিলো। আমাদের জমানো টাকা দিয়ে, একটি দোকান ভাড়া নিলো, সেখানে রকমারী আইটেম বিক্রির সমাহার, শত রকমের নকশি পিঠা, শার্ট প্যান্ট, মেয়েদের কসমেটিক্স, জুতা, মেয়েদের পোষাক সব বিক্রি শুরু হলো। দোকান পেয়ে আমাদের ব্যবসা দিন দিন বাড়তে লাগলো। আজকাল আমরা বস্তি ছেড়ে সবাই, কোয়ার্টার বাসায় থাকি। কলেজ শেষ করতেই আমাদের দুটি দোকান হলো, আমাদের দোকানের নাম দিয়েছিলাম "FSC Care Jone" এফ.এস.সি মানে "Four Street Child"।
।
৪
।
সুনির্ভর দিন কে সামনে রেখে আমরা চারজন এগিয়ে গেলাম, সমস্ত বাধা অতিক্রম করে। হাজারো বাধা এসেছে সব কিছুর মোকাবেলা করেছি চারজন মিলে। দেখতে দেখতে ভার্সিটি শেষ করলাম, আমি একাউন্টিং, নাসরিন সহ সবাই বিজনেস স্ট্যাডিস নিয়ে অনার্স এর ডিগ্রি পেলাম। এতদিনে আমাদের সেই দোকান আর দোকান নেই মিনি মার্কেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাস্টার্স করে সেই মিনি মার্কেট আজ সুপার মার্কেট হয়ে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে এফ.এস.সি। এখন এই সুপার মার্কেট জন্ম নেওয়া বাচ্চা থেকে শুরু করে মৃত ব্যক্রির দাফনের কাপড় ও পাওয়া যায়।
কিন্তু এত বছরে যে কথা বলা হয়নি, তা হচ্ছে ঐ ঘামের দুর্গন্ধ মাখা মেয়েটি যখন আমার গালে চুমু দিয়েছিলো। তখনি আমি নারীর প্রেমে পড়েছি। আর সেই প্রথম নারী নাসরিন। যাকে ভালোবাসি কথাটা আজো বলতে পারিনি। যার দুঃসাহসিকতার জন্যই আজ গাড়ি বাড়ি, মান সম্মান সব রয়েছে। সেই নারী কে পেতে চাই আপন করে। রুপার বিয়ে হয়ে গেছে এখন সে প্রেগন্যান্ট, জুয়েল জুটিয়ে প্রেম করছে তাহমিনার সাথে। আমি আর নাসরিন কেউ কাউকে খুজে পাইনি। এবার ফন্দী করেছি নাসরিন কে ভালোবাসার কথা জানিয়েই দিবো, আর তাকে নিয়ে ভালোবাসার সংসারের সাথে এফ.এস.সি এর চেয়ারম্যান এর জামাই হবো। সে কি মেনে নিবে আমার এত বছরের গোপন ভালোবাসাকে। না মানলে না মানুক, উঠিয়ে যাবো তাকে। আর হ্যা আজকাল মেয়েটির গা থেকে ঘামের গন্ধ আসেনা, মেসকের ঘ্রান আসে। আর তার দেহের মেসক ঘ্রান আমাকে পাগল করেই ছাড়বে।
।
#Tashriq_Intehab