Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) - ০৭

$
0
0

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ
মূল লেখক : অ্যালেক্স রাদারফোর্ড
অনুবাদক : সাদেকুল আহসান কল্লোল।
http://i.imgur.com/uY2bhBD.jpg
৪৪০ পাতার বিশাল এই বইটির কাহিনী সংক্ষেপ আমি ধারাবাহিক ভাবে কয়েকটি পর্বে লিখে যাব।

পাঠকদের মনে রাখতে হবে আমার লেখা অন্যসব কাহিনী সংক্ষেপের মতো এই কাহিনী সংক্ষেপটিও স্পয়লার দোষে দুষ্ট। এই কাহিনী সংক্ষেপে সম্পূর্ণ উপন্যাসের মূল কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখানে উল্লেখ আছে।

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) : পর্ব - ০১, পর্ব - ০২পর্ব - ০৩পর্ব - ০৪পর্ব - ০৫পর্ব - ০৬,
==================================================================================


অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) - ০৭

১৫১১ সালে বাবর নিজের ও পারস্য সৈন্যের বিশাল ২০ হাজার অশ্বারোহী দল নিয়ে সমরকন্দ বিনা যুদ্ধে দখল করে নেয়। বাবরের বিশাল বাহিনীর ভয়ে উজবেকরা শহর ছেড়ে নিজেদের পাহাড়ি দেশে পালিয়ে যায়। কিছু দিনের মধ্যেই বেশিরভাগ ফারসি সৈন্য চলে যায়। শহরের বাইরে হাজার খানেক সৈন্য শুধু থেকে যায়। কিন্তু শহর বাসী শিয়া মতের অনুসারী পারস্য সৈন্যদের সাহায্য নেয়াটা পছন্দ করে না, কারণ তার সকলে এমনকি বাবর ও তৈমুরের বংশধরেরা সকলেই সুন্নি মতবাদে বিশ্বাসী। শহর দখলের কিছুদিন পরেই শহরে বিশাল এক ভূমিকম্প হয়। জেনানা মহলে থাকা বাবরের দুই স্ত্রী ও দুই সন্তান আঘাত না পেলেও সারা শহর জুড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে বাবর যায় জুম্মার নামাজ আদায় করতে। তখন পারস্যের মোল্লা হুসাইন বাবরের অনুমতি নিয়ে মসজিদে দাড়িয়ে বক্তব্য দেয়। সে বলে পারস্যের শাহ ইসমাইল চান বাবর ও তার প্রজারা শিয়া ধর্মে দীক্ষা নিক। বাবর সরাসরি তা নাকচ করে। কিন্তু সাধারণ মুসল্লি ও জনগণ এমন খেপে যায় যে সেখানে একটা দাঙ্গা লেগে যায়।


বাবর নিজে চেষ্টা করে জনতার হাত থেকে মোল্লাকে বাঁচিয়ে দেন। কিন্তু মোল্লা পারস্য ফিরে শাহ ইসমাইলকে ভুল বুঝায়। এর মধ্যে উজবেকরা আবার নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে দিকে দিকে আক্রমণ করছে। শাহ ইসমাইলও তার সৈন্যদের হুকুম দিয়েছেন সকল সুন্নিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে। ফলে তারা বাবর ও উজবেকদের বিরুদ্ধে চলে যায়। জনগণ বাবরকে অবিশ্বাস করতে শুরু করে। এমন অবস্থা বাবর সমরকন্দ ত্যাগ করে ফিরে যায় কাবুল। কাবুলে আসার কয়েক বছর পরে হঠাত করেই বাবরের মা মারা যান। বাবরের বড়বোন খানজাদা আর বিয়ে করে না। বাবর তার শ্বশুর মাহামের বাবাকে বার্ধক্যের কারণে সেনাপতির পদ থেকে উজিরের পদে বহাল করেন। আর পুরনো বিশ্বস্ত কাশিম কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেন। দেখতে দেখতে ১০ বছর কেটে যায় নিজের সালতানাত নিয়ে বাবর সুখেই আছেন।


এর মধ্যে বাবর আরও দুটি বিয়ে করে। বড় ছেলে হুমায়ূনের বয়স ১৪ বছর, সে খুবই ভালো তীরন্দাজ। হুমায়ূনের মা মাহাম আরো তিনবার গর্ভবতী হলেও তার আর কোন সন্তান জীবিত নেই। অন্যদিকে হুমায়ূনের ৫ মাসের ছোট কামরানও খুব সাহসী হয়েছে। কামরানের আপন ছোট ভাই ৬ বছরের আসকারী। আর ওদের আরেক সৎ ভাই, ৩ বছরের হিন্দালের মায়ের নাম দিলদার। সব কিছু ভালো চললেও মনে বাবরের শান্তি নেই। কারণ বাবর তার ইচ্ছে অনুযায়ী বিশাল সাম্রাজ্য তৈরি করতে পারে নি।


বাবুরী চলে যাওয়ার বেশ কয়েক বছর পরে হঠাত করে জনা পঞ্চাশেক লোকের একটি দল আর বিশাল দুটি বলদে টানা গাড়ি ভর্তী অপরিচিত বস্তু নিয়ে বাবুরী ফিরে আসে বাবরের কাবুল দরবারে। বাবুরী এতো দিন তুরকী সম্রাটের অধীনে সৈন্যের কাজ করেছে। সেখানে থেকেই বাবুরী খবর পেয়েছে বাবরকে সমরকন্দ একবছরের মধ্যেই ছেড়ে আসতে হয়েছে। পারস্যে শাহ ইসমাইল বাবুরীর অনুমান অনুযায়ী বাবরের উপর কর্তৃত্ব করার চেষ্টা করেছে। বাবর ও শাহ ইসমাইল মধ্যে এখন বৈরি সম্পর্ক। তখন তুরকী বাহিনীর হাতে অবশ্য শাহের সৈন্যরা কচু কাটা হয়েছে বিশেষ এক অস্ত্রের কারণে। বাবুরী তুর্কির সম্রাটের সুনজরে থাকার কারণে সম্রাটের কাছ থেকে চেয়ে একটি অস্ত্র নিয়ে এসেছে বাবরের জন্য। সেটি হচ্ছে একটি কামান ও কিছু গাদাবন্দুক। বাবর সেই কামান ও গাদাবন্দুকের ক্ষমতা দেখে বুঝতে পারে এবার তিনি দিল্লী জয় করতে পারবেন। দিল্লীর অধিরাজ ইব্রাহিম লোদিকে হারানো এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ইব্রাহিম লোদির বিশাল হস্তি বাহিনী ও সৈন্যবাহিনী এই কামান ও গাদাবন্দুকের সামনে কিছুতেই টিকতে পারবে না।


৬ মাস চলে যায় ববুরী ও তুরস্ক থেকে আসে লোকেরা কাবুলের সৈন্যদের কামান ও গাদাবন্দুক চালানোতে দক্ষ করে তুলতে। অন্যদিকে বাবর প্রচুর স্বর্ণ মুদ্রা দিয়ে দূত পাঠায় তুরস্কের সম্রাটের কাছে আরো ৬টি কামান ও ৪০০ গাদাবন্দুক পাঠানোর জন্য। এদিকে কাবুলের করদ রাজ্যের নতুন সর্দার বাবরকে খাজনা পাঠানো বন্ধ করে দেয় বলে বাবর তার নতুন অস্ত্রগুলি পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ পেয়ে যায়।। চারটি কামান সহ বাবর সেই সরদারের দুর্গে উপস্থিত হয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে বিজয়ী হয়। এর মাস পাঁচেক পরে বাবর নিজের সৈন্যদের প্রস্তুত করে হিন্দুস্থান আক্রমণের জন্য। এই যুদ্ধ যাত্রায় হুমায়ুন বাবরের সাথে যাবে আর কাবুলের রাজ্যভার সামলাবে কামরান। কামরানকে সাহায্য করার জন্য থাকবে বাইসানগার ও কাশিম।

-------------------------------------------------------------- চলবে --------------------------------------------------------------


আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

আট কুঠুরি নয় দরজা – সমরেশ মজুমদার

তিতাস একটি নদীর নাম – অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাস হার্ডি

কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরীর

মর্নিং স্টার - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড
ক্লিওপেট্রা - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড

১৯৭১ – হুমায়ূন আহমেদ
অচিনপুর – হুমায়ূন আহমেদ
অয়োময় – হুমায়ূন আহমেদ
অদ্ভুত সব গল্প – হুমায়ূন আহমেদ
অনীশ – হুমায়ূন আহমেদ
আজ আমি কোথাও যাব না – হুমায়ূন আহমেদ
আজ চিত্রার বিয়ে – হুমায়ূন আহমেদ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ – হুমায়ূন আহমেদ
গৌরীপুর জংশন – হুমায়ূন আহমেদ
হরতন ইশকাপন – হুমায়ূন আহমেদ


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>