রাস্তায় কাগজ কুড়ানো যে মেয়েটি সবে মাত্র দশ বছরে পা দিয়েছে। তাকেও ধর্ষন হতে হয়েছে রাসেল দেওয়ান নামের এক পুরুষের কাছ থেকে। সবার মাঝেই ঈদ নিয়ে কোন না কোন নতুন পুরাতন স্বপ্ন থাকে। সবাই চায় তার একটি লাল জামা হোক, পায়ের জন্য আঁটসাঁট মিলিয়ে এক জোড়া নতুন স্যান্ডেল হোক।
কোন ধর্ষন হুট করে হয়না। আগে থেকে তার উপর নজর রাখা হয়, সময় সুযোগ বুঝে নিজের পুরুষত্ব দেখাতেই ব্যস্ত। প্রতিদিন যে মেয়েটি পেট নামক বস্তুর খাবার জোগাতে, কাধে ব্যাগ নিয়ে এ গলি, সে গলিতে ঘুরে কাগজ কুড়িয়ে বেড়ায়, সেই অসহায় পথ শিশুকে ধর্ষন করা কোন পুরুষের কাতারে পড়ে।
যখন বেশ্যা পাড়াতে গেলে ২০০-৩০০ টাকায় সুখ নিয়ে আসা যায়, তখন এক পথশিশুকে নতুন জামা কিনে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে নিজ রুমে নিয়ে গিয়ে কেন ধর্ষন করতে হয়? খবরের কাগজে লেখা হয়েছে, "শিশু ধর্ষন অভিযোগে ভাটারা থানার পুলিশ রাসেল দেওয়ান কে গ্রেফতার করেছে, মেয়েটি রাস্তায় কাগজ কুড়াতো, তাকে নতুন কাপরের প্রলোভন দিয়ে নিজ রুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে ২০ বছরের যুবক রাসেল দেওয়ান।"
আমরা পত্রিকার পেপারে, আজ ধর্ষন হয়েছে, সেখানে খুন হয়েছে, অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানতে পারি। কিন্তু তারপরের নিউজগুলো কোথায় হাওয়া হয়ে যায়? অপরাধীকে কি শাস্তি দেওয়া হলো সেগুলো আমাদের কেন জানানো হয়না? তাহলে কি আমরা এটা ভাবতে পারিনা, আমাদের দেশে ন্যায্য বিচার কখনোই হয়না।
তনু হত্যা, সাত বছর শিশুকে ধর্ষন, চিটাগাং ইউনিভার্সিটি তে মেয়েকে হেস্তনেস্ত করা তার কি ব্যবস্থা নিয়েছে আমাদের প্রশাসন তা আমরা জানতে চাই?
আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোথায় আছে কেউ কি জানাবেন? রাস্তায় চলতে গেলেও ভয়, গ্রামের বাড়িতে যেতেও ভয়, দুর্নীতি, ধর্ষন, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, লুট কি না হচ্ছে। আমরা খবরের পর খবর পাই, কিন্তু সেই খবরের উপর প্রশাসন কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা কি আমাদের জানার অধিকার নেই।
আর কত নারীর ইজ্জতভ্রষ্ট হলে প্রশাসন নড়ে উঠবে? পাকিস্তানীদের কাছে দুই লক্ষ মা বোন বিলিয়ে দিয়েছিলাম তা কি যথেষ্ট নয়? নাকি আরো কয়েক লক্ষ দিতে হবে আমরা স্বাধীন আছি এটা প্রমান করতে? এর থেকে ভালো বাংলাদেশ এ একটি আইন করা হোক "উন্মুক্ত ধর্ষন" তাহলে আমরা আর কোন প্রতিবাদ করবো না।
আমরা একজন ধর্ষককে অল্পতে ছাড়তে রাজীনা। আমাদের দেশে পাবলিক গণধোলাই একটি আইনের আবেদন করছি। যে কোন ধর্ষক কে আমরা নিজেরাই ধরে তার যথাসাধ্য বিচার করে দিবো। যেখানে ধরবো সেখানেই কিল ঘুষি লাথিতে মেরে ফেলার দায়ীত্ব আমাদের নিজের। আমাদের দেশের মেয়েরা মরিচের বোমা বানাতে বেশ পারদর্শী তা আমরা একাত্তর যুদ্ধে দেখেছি। তারা আবার মরিচ বোমা বানাবে, ধর্ষক কে উলঙ্গ করে ব্লেড দিয়ে ছোট ছোট নকশা একে, একের পর এক মরিচ বোমা ছুড়ে মারা হবে তাকে। যতক্ষন পর্যন্ত না পুরুষত্বের অহংকার শেষ হচ্ছে ততক্ষন চলবে তার বিচার। তারপর আমরাও তো দেখতে চাই কোন "মা কা লাল কিসিকা ইজ্জত লুটতা হে"
প্রথম আলো পত্রিকার আছে আবেদন, যে পথশিশুকে রাসেল দেওয়ান ধর্ষন করেছে, তাকে কি শাস্তি দেওয়া হলো, তা যেন আমাদের জানানো হয়। শুধু ধর্ষন হয়েছে যেভাবে আপনারা ষোল কোটি মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন আশা করি অপরাধীর শাস্তিটাও তুলে ধরবেন। তানা হলে বলতে গায়ে বাধবে না, এই খবর ছাপা আপনাদের বিজনেস ছাড়া আর কিছুই না। শুধু "দেশ ও মাটির কথা বলে" স্লোগান দিয়ে আমাদের মিথ্যে আশ্বাস দিবেন না।
।
লেখা: Tashriq Intehab