Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) - ০৯

$
0
0

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ
মূল লেখক : অ্যালেক্স রাদারফোর্ড
অনুবাদক : সাদেকুল আহসান কল্লোল।
http://i.imgur.com/uY2bhBD.jpg
৪৪০ পাতার বিশাল এই বইটির কাহিনী সংক্ষেপ আমি ধারাবাহিক ভাবে কয়েকটি পর্বে লিখে যাব।

পাঠকদের মনে রাখতে হবে আমার লেখা অন্যসব কাহিনী সংক্ষেপের মতো এই কাহিনী সংক্ষেপটিও স্পয়লার দোষে দুষ্ট। এই কাহিনী সংক্ষেপে সম্পূর্ণ উপন্যাসের মূল কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখানে উল্লেখ আছে।

অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) : পর্ব - ০১, পর্ব - ০২পর্ব - ০৩পর্ব - ০৪পর্ব - ০৫পর্ব - ০৬পর্ব - ০৭পর্ব - ০৮
==================================================================================


অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল : রাইডারস ফ্রম দ্য নর্থ (কাহিনী সংক্ষেপ) - ০৯

হুমায়ূন আগ্রায় গিয়ে দেখে লোদির মৃত্যুর সংবাদ শুনে ডাকাতের দল গ্রামে গ্রামে লুট শুরু করেছে। হুমায়ূন তাদের ধরে প্রকাশ্যে হত্যা করে। ফলে আইন শৃঙ্খলা আবার ফিরে আসে, জনগণ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। হুমায়ূন আগ্রা দুর্গে লোদির পরিবারের সদস্যদের সম্মানের সাথেই রাখার নির্দেশ দেয়। বাবর এসে আগ্রার সিংহাসনে বসে, তার ডান পাশে বসে হুমায়ূন। শুরু হয় হিন্দুস্থানে মোঘল শাসন।


জয় উপলক্ষে বিশাল ভোজের আয়োজন করে। এতো সবের মধ্যেও বাবর ইব্রাহিম লোদির পরিবারের মহিলাদের প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ দেয়া। তাদের জন্য সব রকম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু লোদির মা বুয়া প্রতিশোধের জন্য চক্রান্ত করে বাবরকে খাবারের সাথে বিষ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে। বাবরের প্রিয় খাবার খরগোসের মাংসের সাথে বিষ মিশিয়ে দেয়া হয়। বিষ মিশানো খাবার খেয়ে বাবর সাথে সাথে প্রচণ্ড প্যাট ব্যথা ও বমিতে আক্রান্ত হয়। হেকিমের চিকিৎসায় বাবর কোন রকমে সে যাত্রায় বেচে যায়।


বাবর তার ছেলে হুমায়ূনকে হুকুম দেন কে তাকে বিষ প্রয়োগ করেছে তা খুঁজে বের করতে। হুমায়ূন খোজ পায় ইবরাহিম লোদির মা তার এক পরিচারিকার মাধ্যমে এক হিন্দুস্থানি রাঁধুনিকে বিষ দেয় বাবরকে খাওয়ানোর জন্য। রাঁধুনি খাদ্য পরীক্ষককে ঘুষ দিয়ে হাত করে নেয় এবং শেষ মুহূর্তে খরগোশের উপরে বিষ ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু পুরটা দিতে পারে না বলে বাবর সেই যাত্রায় বেঁচে যায়। বাবর হুকুম দেয় রাঁধুনির অঙ্গগুলি কেটে নিয়ে, খাদ্য পরীক্ষককে চাবুক মেরে ও পরিচারিকাকে হাতির পায়ের নিচে পিষ্ট করে অন্য সকল রাঁধুনি ও রসুয়ের লোকদের সামনে হত্যা করতে। ইব্রাহিম লোদির মাকে একটি কক্ষে বন্দী করে রাখার হুকুম দেন। শাস্তি কার্যকর হতে দেখে ইব্রাহিমের মা দুর্গের উপর থেকে যমুনাতে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।


রাজপুতরা বড় যোদ্ধার জাতী, বাবর কয়েকদিন ধরে খবর পাচ্ছেন উদয়পুরের রাজপুত রানা শঙ্কর বাবরের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। রানা মাঝে মাঝেই তার নিজের সীমানার বাইরে এসে বাবরের অধীনস্থ এলাকাতে হানা দেয়। এভাবে চলতে দেয়া যায় না বলে বাবর রানাকে তাড়া করে ধরবে ঠিক করে। বাবর তার যুবক ছেলে হুমায়ূন সহ আরো অনেক সৈন্য নিয়ে রানার পিছু ধাওয়া করে। কিন্তু কিছুতেই রানাকে ধরতে পারে না। রানা মাঝে মাঝেই অতর্কিতে হামলা করে আবার গায়েব হয়ে যায়। বাবরের সৈন্যদের মনোবল নষ্ট হতে থাকে। হুমায়ূন খবর আনে রানার মায়ের যে গ্রামে জন্ম হয়েছে সেখানে রানা একটি মন্দির তৈরি করেছে। প্রতি বছর একবার সেখানে সেই মন্দিরে রানা পূজা করতে যায়। রানা মায়ের গ্রাম দখল করে নিলে রানাকে আর খুঁজতে হবে না বরং রানা নিজেই বাবরের সৈন্যদের আক্রমণ করে গ্রাম উদ্ধার করতে উপস্থিত হবে।


এবার বাবর সেই গ্রাম আক্রমণে যাবার আগে তার সৈন্যদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য নতুন কৌশল করে।  যুদ্ধে যাওয়ার আগে সৈন্যদের চাঙ্গা করতে বাবর মোল্লাদের দিয়ে ঘোষণা করায় বিধর্মী রানার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হচ্ছে জিহাদ। সৈন্যদের সামনে বাবর ঘোষণা দেয় এই জিহাদের জন্য সে আর হুমায়ূন মদ পান করা ছেড়ে দিবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবরের দল গ্রাম দখল করে নেয় এবং মন্দিরের পুরোহিতদের অপমান করে বের করে দেয়। পুরোহিতরা শীঘ্রই রানাকে খবর দেয় এবং রানা তার বিশাল বাহিনী নিয়ে বাবরকে আক্রমণ করতে আসে। সব কিছু পরিকল্পনা মতই হয়।


বাবর আর হুমায়ূন পাহারের উপরে দাড়িয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্র নজরে রাখে। পরিখা কেটে মাটি দিয়ে ব্যারিকেট তৈরি করে। তার পিছনে কামান, বন্দুকধারি ও তীরন্দাজরা অপেক্ষা করে। যেদিক দিয়ে তাদের প্রতিরক্ষা ভেঙ্গে যাবে সেদিকে টগবগে যুবক হুমায়ূন গিয়ে সামাল দিবে। পানি পথের যুদ্ধে আলী কুলি কামান ফেটে গিয়ে নিহত হলেও তার উপযুক্ত শীর্ষরা রয়েছে কামানে দায়িত্বে।  রানার ১০০ হাতি আর অশ্বারোহী বাহিনীর জন্য সেটা হবে যম। রানার সৈন্যরা হঠাৎ করেই আক্রমণ করে। একদিকের প্রতিরোধ ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে গেলে হুমায়ূন সৈন্য নিয়ে তাদের হটিয়ে দেয়। রানার সৈন্যরা ফিরে যায়। কিছুক্ষণ পরে সংগঠিত হয়ে আবার আক্রমণ করে। কামানের গোলা বন্দুকের গুলি আর তীরের আঘাতে তারা পাখির মত মরতে থাকে। সারাদিন ধরে বার বার এভাবে খণ্ড যুদ্ধ চলতে থাকে। বিকেলে রানার সমস্ত সৈন্যরা একসাথে আক্রমণ চালিয়ে শেষ চেষ্টা হিসেবে। কিন্তু বাবরের বাহিনীর সামনে তারা সকলেই পরাভূত হয়। শেষ মুহূর্তে হুমায়ূনের উরুতে একটি তীর এসে বিধে। রানার সাহসী যোদ্ধারা বাবরের হাতে চরম ভাবে পরাজিত হয়। বাবর আশা করে এরপর থেকে বাকি রাজপুতেরা বাবরের সীমানায় আসতে বা তাকে আক্রমণ করতে সাহস পাবে না।


-------------------------------------------------------------- চলবে --------------------------------------------------------------


আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

আট কুঠুরি নয় দরজা – সমরেশ মজুমদার

তিতাস একটি নদীর নাম – অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাস হার্ডি

কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরীর

মর্নিং স্টার - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড
ক্লিওপেট্রা - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড

১৯৭১ – হুমায়ূন আহমেদ
অচিনপুর – হুমায়ূন আহমেদ
অয়োময় – হুমায়ূন আহমেদ
অদ্ভুত সব গল্প – হুমায়ূন আহমেদ
অনীশ – হুমায়ূন আহমেদ
আজ আমি কোথাও যাব না – হুমায়ূন আহমেদ
আজ চিত্রার বিয়ে – হুমায়ূন আহমেদ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ – হুমায়ূন আহমেদ
গৌরীপুর জংশন – হুমায়ূন আহমেদ
হরতন ইশকাপন – হুমায়ূন আহমেদ


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>