পৃথিবী থেকে প্রায় ৪৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ডোয়ার্ফ নক্ষত্র HD 40307 নিয়ে গবেষণা করছিলেন এ্যাস্ট্রোফিজিসিস্টরা। নক্ষত্রটির সৌরজগৎ ৭টি গ্রহ নিয়ে গঠিত।
সম্প্রতি ঐ সৌরজগৎের ৬ষ্ঠ গ্রহ HD 40307g বিজ্ঞানীদের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। HD 40307g গ্রহটি তার নিজস্ব সৌরজগৎের গোল্ডীলকস যোনে অবস্থিত। পৃথিবীর তুলনায় ৭ গুণ ভরবিশিষ্ট (সুপার-আর্থ) গ্রহটি তার হোমস্টার থেকে ৯০ মিলিয়ন কি.মি. দূরে অবস্থিত, গ্রহটির বছরকালের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০০ দিন।
সুপার-আর্থ প্ল্যানেটটি তার হোম-স্টার থেকে "যাস্ট-রাইট" দূরত্বে থাকার কারণে গ্রহটি নিজ অক্ষেও ঘুরপাক খাচ্ছে - পৃথিবীর দৈনিক গতির মত। যদি দূরত্ব কম হতো, তাহলে শুধু একটি পাশই চিরকাল স্টারলাইট পেত, অপর পাশটি চির অন্ধকার থাকতো (চাঁদ আমাদের পৃথিবীর সাথে টাইডাল লক দ্বারা আবদ্ধ - hence the dark side of the moon) । প্ল্যানেটটিতে পৃথিবীর মত দিন-রাত সাইকল থাকার কারণে ওখানেও প্রাণ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
প্ল্যানেটটি তার হোম-স্টার থেকে "যাস্ট-রাইট" দূরত্বে থাকার কারণে গ্রহটিতে তরল পানি থাকারও সম্ভাবনা আছে।
এধরণের বিভিন্ন ফ্যাক্টর বিবেচনা করে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন গ্রহটির পরিবেশ প্রাণের উদ্ভব হওয়ার পক্ষে সহায়ক হতে পারে।
এখনো পর্যন্ত প্ল্যানেটটির ছবি দেখা সম্ভব হয় নি। তবে ২০১৮ সালে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ডিপ্লয় করতে যাচ্ছে নাসা - নতুন JWST টেলিস্কোপ দিয়ে হয়তো গ্রহটির চেহারা দেখা যাবে। অপ্টিকাল ইমেজ পাওয়া সম্ভব হলে প্ল্যানেটটির সারফেস টেমপারেচার, আবহাওয়া সম্পর্কে ডিটেলস জানা যাবে।
তবে গ্রহটি সবেমাত্র এ্যাস্ট্রোফিজিসিস্টদের নজরে এলো। আদৌ গ্রহটি পৃথিবী-সদৃশ বা প্রাণ সৃষ্টির পক্ষে সহায়ক কিনা সময়ই বলবে। আপাতত আর্থ-লাইক প্ল্যানেটের ক্যান্ডিডেটের তালিকায় আরেকটি সদস্য যুক্ত হলো।
নীচে আমাদের পৃথিবী এবং সৌরজগৎের সাথে HD 40307g-এর তুলনা: