সতর্কীকরণ
( ছবিতে কোন ও রকম খারাপ দৃশ্য নেই , শুধু মাত্র আমার লেখায় যদি কোন ও রকম বাজে শব্দ থেকে থাকে তার কারনেই এই টপিকের নামের সাথে ১৮+ জুড়ে দেয়া )
ইয়ে মানে প্রিয় ভাইইয়েরা আফনাগো আর আফুরা আউগাইয়া আসেন , পিড়ি টাইনা বসেন আর পুলাপাইন দূরে গিয়া খেলো এখানে নু গেঞ্জাম ।
অনেক প্রতিক্ষা আর অবসান এর পর গতকাইল্য মুভিটি দেখে আসলাম , মুভির নাম - Jab Tak Hai Jaan ।
কাহিনী আর কিছু রম্য বিনুদুন নিয়ে আমি সেই আপনাদের চুক্ষের কাঁটা নয়নের মণি - জেমসু জেমু অর জেমস
।
যাই হোক ভনিতা বাদ দিয়া আসেন মুভি দেখতে যাই , যাগো খিদা লাগছে খাইয়া আসেন বিকজ আই হেব নু মানি ফর দিস টাইম কাইল সব খাইয়া উড়াইয়া ফেলছি
। যাউকগা খানার কতা পরে হবে , এহেম এহেম সাইডে কিছুর সাউন্ড শোনা যাচ্ছে কেউ মনে হয় আমার লগে টিটকারী মাইত্তাছে । এরে ফুলাফাইন তুরে জুতা দি হিডি এক্কের গাব গাছুত বান্দি থুইউম চুপ করি বো
।
দৃশ্য এক :-
কাশ্মীর এর পাশের একটি মার্কেটে বোমা পাওয়া গেছে , বোমা উদ্ধারকারী দল তার সুট বুট আর লোকলস্কর নিয়ে ঘর্মান্ত বডি লইয়া পুরাই ফেরেশান , না পারছে কিছু বুঝতে না পারছে এটা কে ডিফুউজ করতে । এহেন সময় আমাগো নায়ক হাজির তার ফটফটি লইয়া । তিনি এসেই বিনা বোম স্যুট ছাড়াই বোম ডিফুইজ করে ফেলেন ।
সহকর্মী অবাক
, হাঊ হাঊ হাউ ইজ পসিবল ? আরে বুদ্ধু হেতে না ফাইল্লে পারবো কিডা তুর দাদা হাইরবো নি কুনো
। যাই হোক হাউকাউ বাদ দিয়া নেক্সট দৃশ্য তে দেখা যাবে কবিতার লাইন এবং সেই সাথেই শুরু হবে ছবির নাম
উনি কবিতায় বেস্তুউ থাকিবে আর এদিকে দৈত্য এর লাহান আমাদের ২য় নায়িকা আনুশেকা তার কাপড় খোলায় দোউড়াই পানিতে নামার জন্য তৈরি ( এহেম এহেম আরে কি সব পুলাপাইন চিল্লাইতাছে আগেই কইছি ১৮+ ) আসলে উনি বিকিনি পরিহিত অবস্তায় সুইমিং কস্টুইউম পইড়া সাঁতার কাটতে যাবে
। এদিকে পানির ঠান্ডার কারনে উনি ডুবে যায় যায় অবস্তায় নায়ক উনাকে বাচাবে তারপর তার প্রিয় ডায়রীটি ভুলে জামার সাথে রেখে যাবে যেটা আনুশেকা পড়বে আর পড়বে ।
দৃশ্য দুই :-
এই দৃশ্যে আনুশেকা ডায়রী পড়ছে , ঐ মেজর আনান্দ এর ভিতরে লুকিয়ে থাকা একটা বিরাট কস্টের কাহিনী । তখন সময় ২০০২ । লন্ডন শহরে একটা ছেলে যে কিনা গান গায় আরো অনেক শিফটে চাকুরী করছে । আমার পাশের সিটে বসা দোস্তরে কইলাম - " দেখ লন্ডনে কেমনে ভিক্ষা করে দেখ দেখ
।
নায়িকার ক্যাটির লগে দেখা
, একটি চার্চে নায়িকা প্রে করার সময় নায়ক তার কথা বার্তা শুনে ফেলে , নায়ক বুঝতে পারে সে সবসময় এই চার্চে আসে এবং একটা কিছু চাইবার বদলে আরেকটা কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলে , ইংরেজীতে যাকে বলে - গিভ এন্ড টেক
। নায়ক রাস্তায় গান গাইছে আর নায়িকা সেই গান দেখছে , শুনছে । একদিন নায়িকা ঠিক করল সে গান শিখবে কিন্তু নায়ক তাকে গান শেখাবে বলে একটা শর্ত জুড়ে দিল - তাকে ও লন্ডনি ইংরেজী শিখাইতে হবে ঐ যে আমাগো নাদু আফায় কয় - আইজ সুপ বানাইছি
।
অনেক কুটিপতির মেয়ে নায়িকা ক্যাটিরে ছুটু বেলায় তার মা ছেড়ে চলে যায় , আই মিন ভেগে যায় অন্য এক ছেলের সাথে । এই কারনে সে তার বাবার কথামতই বিদেশি পুলার লগে বিয়াত রাজি হয়ে যায় । নায়ক এই কথা শুনে তাকে বলে ঠিক আছে সমস্যা নাই আমরা লুতুপুতু করবো বাট বিয়া কইত্তাম না
।
নায়ক এর সাথে নায়িকার প্রেম অতএব অনেক কিছুই হয়ে যায় , দুই একটা সিন অবশ্য কাডি দিছে বাট সমস্যা নাই যা দেখার দেখি লইছি । নায়িকার অসাম আর ঠোট গুলা দেইখা ফুরা ফিদা হইয়া গেছি
, দেটস হোয়াই আই লাইক ক্যাটির লিপস সো সো সোউউ মাচ
। ভিন্ন ধরনের একটা ড্যান্স দেখতে পারবেন দর্শকরা যেটাতে ক্যাটিকে অন্য ক্যারেক্টার মনে হবে আপনাকে । ইশক সাভা গানের আগে ১০ মিনিট ক্যাটিকে নাচতে দেখে পুরাই ফিদা হয়ে যাবেন গেরান্টীড
। সালসা , ইটালিয়ান আর হিপ হুপ এর কিছু কিছু স্টেপ ভালই রপ্ত করে ফেলেছে দেখি ।
এখন একদিন ডিসাইড হবে ক্যাটি তার বাবাকে বলবে যে সে নায়ক কে ভালবাসে এবং একে অপরকে বিয়ে করতে চায় , ঠিক এই সময় নায়ক ফ্লাইং কিসিং দেবার সময় রাস্তায় এক্সিডেন্ট । নায়িকা রাস্তায় বসে বসে প্রে করতে থাকবে আর বলবে - গড প্লিজ ওকে বাচিয়ে দাও তা হলে আমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটি তোমাকে দিয়ে দেবো । ছবির মুল মিনিং টা এখান থেকেই গেঞ্জাম স্টারট । গড নায়ককে বাচিয়ে দেয় আর নায়িকা নায়ক কে ছেড়ে চলে যায় । তখন নায়ক ও তাকে বলে - দেখবো কে বেশি প্রিয় আমি না তুমি ।
দৃশ্য তিন :-
আনুশেকা কাঁদছে । একটি সোলজার (নায়ক) এই কারনেই বোমা ডিফুজ করে যাতে সে প্রতি পদে পদে মৃত্যুর সাথে কুলাকুলি করে বাট গড তাকে মরতে দেয় না । সব সময় বেঁচে যায় । আর তাদের ভালবাসা দেইখা আনুশিকা ও ফিদা হয়া যায় । আনুশেকা একটা ডিসকভারী চ্যানেলে কাজ করত আর এখন তার খায়েশ উঠছে সে নায়ক এর উপর একটা স্টোরি কাভার করবে , আর মনে মনে নায়কের গলায় ঝুলে পরার ও মনোবাসনা একটা চান্স আছে
( ল ঝুলি পড় তুমার চেয়ে ঢের সুন্দুর আমার ক্যাটি যা ভাগ ) । নায়ক কে ডায়রী ফিরিয়ে দেয় আনুশেকা আর বলে - দেখ আমি এই জমানার মেয়ে , আমি এসব লাভ এ বিশ্বাসী না , আগে সেক্স পরে লাভ
, আরে দেশ দেখি আউগাইয়া গেছে
। নায়ক তাকে বোঝায় যে - তুমি আমার মতন হইয়ো না , ভুলে যাও নয়ত কস্ট পাবে । নায়িকা কিছুতেই সরবে না , সে অনেক গুতাই গাতাই নায়ক কে বন্ধু বানাইয়া ফেলে , তারপর তার দুক্ষের কতা একটা স্টোরি বানাইয়া সেটা ডিসকবারী চ্যানেল এর হেড ডিপারমেন্টে পাঠায় । কাভার ফুটেজ দেইক্ষা চ্যানেল এ থাকা বিদেশি মেডাম ও কেদে ফেলে । সে নায়ককে লন্ডনে আসার জন্য বলে কারন এইটার উদ্ভধনী অনুষ্ঠানে তাকে থাকা লাগবেই । দশ বছর পর নায়ক লন্ডনে আসে , নায়িকা অতি খুশী বেফুক খুসি
। খুশিতে রাস্তায় কেডা যায় না যায় খেয়াল ই করে না , আজব মাইয়া মানুষ দেখি । এমন সময় একটা লরি আসে রাস্তায় আর নায়ক তাকে বাঁচানোর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে দেয় , বেডা এইটা নায়ক এইটা কি প্লাস্টাকি নাকি রে কতবার এক্সিডেন্ট হইবো ।
নায়ক হাসপাতালে , আনুশিকা তাকে দেখা করার জন্য গেলে নায়ক তাকে চিনেই না । বিকজ নায়ক সেই ২০০২ সালের কথা মনে রেখেছে আর আজ ২০১২ যেটা নায়কের সৃতিতে হারিয়ে গেছে । লে হালুয়া ঘটনা পেজগি খাইছে নায়ক ১০ বছর কতবার খাইছে আর কতবার ............... সব ভুলে গেছে
।
দৃশ্য চার :-
নায়ক এখন শুধুই ক্যাটির নাম নিতাছে । ডাক্তার যত দ্রুত সম্ভভ ক্যাটিকে তার সামনে হাজির করার কথা বলছে আদারোয়াজ
। বড়ই টাফ সিচুয়েশন এ নায়িকা এবং নায়িকা দুইজন আমাগো নাদু আফু যেখানে হাসের ছবি উঠাইছে সেখানে যুক্তি করতে বসে পরে
। এখন ক্যাটি তার সামনে যাবার জন্য ডিশিসান নেয় । সে নায়ক এর সামনে যায় তারপর শুরু হয় নাটক , ঘরে বাইরে নাটক আর নায়ক কে সুস্থ করার চেস্টা । নায়ক জিজ্ঞেস করে নায়িকাকে যে তার বিয়ের কতদিন হইছে , নায়িকা বলে ৫ বছর । এভাবে চলতে থাকে , নায়ক ও মাঝে মাঝে আঁতকাইয়া উডে বাট পুরো সৃতি মনে করতে পারে না । কি হয়েছিল এই ১০ বছর ?
এমন সময় একদিন আনুশেকা ডাক্তার এর নির্দেশে হাজির হওয়ার প্লান বানায় , যদি নায়ক এর কিছু মনে পড়ে । নায়ক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে আর নায়িকা নিচের ছবির দৃশ্যটিতে তার সামনে আসে , ঘটনা আবার পেজগী খাইবো
নায়কের ফট ফট কইরা কিছু কিছু মনে পড়ে যায় বাট পুরোটা সে মনে করতে পারে না । একদিন লন্ডনে একটি ট্রেনে বোম পাওয়া যায় । মাইকে সবাইকেই সরে যেতে বললে নায়কের হটাত কইরা সব মনে পরতে থাকে , আরে সে তো একজুন বোমা ডিফুজ ছিল এককালে । আস্তে আস্তে সব কিছুই মনে পড়ে যায় তার । তারপর ক্যাটিরে সেই চার্চে ডেকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় , বাট ক্যাটি রাজি হয় না কারন সে যে ওয়াদা করেছে গড এর কাছে যে সে তার থেকে দূরে থাকবে এতেই সে বেঁচে থাকবে । তখন নায়ক বলে - আমি প্রতি দিন , প্রতি সেকেন্ড মরনের সাথে কোলাকুলি করছি কই তোমার গড তো আমাকে মারতে পারছে না , তার মানে এই নয় যে সে তোমার থেকে আমাকে বেশি ভালবাসে ? ( পুলার কথায় যুক্তি আছে ) । নায়িকা মানতে নারাজ নাহ এ হতে পারে না । এই জন্যই ছবির নাম - জাব থাক হে জান । নায়ক সব ছাইড়া ছুইড়া আবার বোম ডিফুজ করতে যায় , চলে যাওয়ার আগে বলে ঠিক আছে আমি দেখবো কতদিন সে আমাকে বাচিয়ে রাখে ।
দৃশ্য পাঁচ :-
নায়ক এয়ারপোর্টে । আনুশেকাকে বুঝাচ্ছে নায়ক । ভুলে ও যেনো তার মতন না হয় বাট আনুশেকা কাঁদছে । বলছে - সরি আমার ভুলে হয়ে গেছে আসলে অনেক দেরী করে ফেলছ তুমি । নায়ক তাকে বলে যদি আবার জন্ম হয় আরেকটা জন্মে তোর সাথে আমার প্রেম হবে ( কয় কি সিকুয়েল বাইর হইবো নাকি ) । নায়িকা চলে যায় ।
নায়ক ইন্ডিয়া কাশ্মীর সিমান্তে বোমা ডিফুজে বিজি , হটাত কইরা ক্যাটি হাজির সাদা ধবধইব্বা একখান সেলুয়ার কামিজ পরিয়া
। নায়ক তাকে দেখে তার কাছে আসে । বলে এই লাস্ট একটা বোমা ডিফিউজ করতে যাচ্ছে আর প্লিজ এইবার গড এর কাছে কোন ও প্রমিজ কইরো না , আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি যেটা ঐ উপরওয়ালা ও আটকে রাখতে পারবে না , এ বাধুন যাবে না ছিরে
। নায়ক বোমা ডিফুজ এ বিজি , ক্যাটি উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষামান আর আনুশিকা এনাউজড করছে তার প্রথম কাভার ফুটেজ ইন লন্ডন ।
কি হবে ? নায়ক কি বোমায় উড়ে যাবে ?
সরি সবাইকেই যে আমি অতি শর্ট কোর্সে আপনাদের একটা মুভি রিভিউ দিচ্ছি , আসলে আমার ভিষন ঘুম পাচ্ছে , ঘুমাইতে গেলাম আপনারা কি করবেন জানি না । পচা লেখাটা কারুর ভাল নাও লাগতে পারে । মুভিটি যদি দেখেন বড় পর্দায় দেইখেন
বিকজ ক্যাটির ঠোট যে এতু সুন্দর হয় আগে দেখি নাই
। দুই একটা কিসিং ফিসিং আছে বাট কসম সে - সালমান ভাই কিন্তু আশে পাশে ছিল না
।
আপনাদের জন্য নেক্সট রিভিউ থাকবে - দাবাং ২