বেশ অনেকদিন পর আবার টাঙ্গাইল যেতে হল। কিছু হেলথ ফ্যাসিলিটি খুঁজতে গিয়ে হেমনগরের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিছনে দেখি একটা পুরনো আমলের দালান। সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল তা হেমনগর রাজবাড়ি। আমার অবশ্য রাজবাড়ি বলে মনে হয় নি। বরং কেন জানি জমিদারবাড়ি বলে মনে হল। সময় স্বল্পতার কারণে কাউকে জিজ্ঞেস করি নি। বাড়িটি এখন অবশ্য কলেজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর দালানের বিভিন্ন দেওয়াল অসংখ্য ফাটকা ভালবাসার নিশান হিসেবে "অমুক + তমুক" ধারণ করছে।
এবার আসি আসল কথায়। এবারের ট্যুরে কোন ক্যামেরা ছিল না। না ছিল ডিজিটাল, না ছিল এসএলআর (!)। ছিল চেনা সঙ্গী নকিয়া ই৭২। ইয়াহু। তবে বেটা এবার ভাল পার্ফরমেন্স দেয় নি। অথবা আমিই ভাল ছবি তুলতে পারি নি। তাড়া ছিল আগেই বলেছি।
শেয়ার করছি তাহলে:
১. সদর। আমার পিছনেই বিশালায়তনের পুকুর ছিল। সাথের সাথী (মোটরবাইক চালক) বললেন রাজা তার সাত কন্যার জন্য সাতটা পুকুর খনন করেছিলেন। আমি খুব একটা পাত্তা দেই নি। বেটা জমিদার বা রাজা প্রজাদের টাকায় পুকুর কেটেছে, এ এমন কী একটা ব্যাপার! আর আমাদের দেশে এমন সব খবরের (মিথ) তালিকা বিশাল।
সদরের আরেকটা ছবি। বেঁকে গেলেও একটু কাছ থেকে তোলা।
২. অবশিষ্ট দেয়াল। দেয়ালটা দেখে কেমন যেন লাগল। ঠিক বুঝাতে পারব না।
৩. বাড়ির পিছনের কিয়দাংশ। শ্যাওলা ধরা গাছ ভালই লেগেছে। এমন গাছের চেহারাতেই একটু বুড়ো-বুড়ো ভাব থাকে।
৪. বাড়ির ভেতরের অংশ। ফাঁকা যায়গাটা কি কাজে ব্যবহৃত হত তাই ভাবছিলাম। হয় বাইজীরা নাচত অথবা বাগান বা ফোয়ারা ছিল। বাইজীর কথা বললাম কারণ আমাদের রাজা-জমিদাররা আর যা কিছুই করার যোগ্যতা রাখতেন না কেন, তারা লাম্পট্টে ছিলেন সেরা। তবে ফোয়ারা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আরেকটা ছবি শেয়ার করার লোভ সম্বরণ করতে পারলাম না।
৫. বেটা জমিদার প্রজাদের টাকা ভালই খরচ করেছিল। লোহার পুরো বিম, দেওয়াল আলমারি (বা ঐ জাতিয় কিছু একটা), ইত্যাদি ইত্যাদি।
এবার আসি এই ট্যুরের সবচে' আকর্ষণীয় অংশে। হেমনগর থেকে ফেরার পথে ঝিনাই নদীর ওপর এসে একটা চমৎকার দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হয়। ঝটপট কিছু ছবি তুলে ফেলি। আর দু'টো হাস দেখে খুব মজা লেগেছিল। অদ্ভুত একটা পাখি, সব আচরণ হাস্যকর।
ক.
খ.
গ.
ঘ.