এইতো সেদিনই সারাদিন কর্মব্যস্ততা শেষে
নীড়ে ফেরার অপেক্ষায় নীরবে বসে আছি বাসে ।
জানালা দিয়ে দেখছি রঙ্গিন দুনিয়া, মানুষের ভীড়
মানুষ আসছে, যাচ্ছে, যার যার প্রয়োজন মিটানোয় অস্থির।
কত বাস, রিকশা, হোন্ডা কত কত গাড়ীর আনাগোনা,
ব্যস্ত নগরীতে ছুটছে মানুষ একসাথে,
অথচ কারো সাথে কারোর নাই চেনাজানা ।
হঠাৎই আমার জানালার পাশে ঘটে এক সংঘর্ষ
বিপরীতমুখী দুটো লোকের মধ্যে জুড়ে লাগে স্পর্শ ।
একজন চলে গেল দ্রুত বেগে স্থান ত্যাগ করে
অন্যজনের দৃষ্টি এদিক ওধিক চারদিকে, রাস্তার উপরে।
হ্যা, রাস্তায় ছিটকে পড়ে গেছে তার হাতের মোবাইলখান
কি হারাল মেমরী না সিম, করতে পারছিলাম না অনুমান ।
জিজ্ঞেস করি কি হারাল ভাই?
উত্তরে বলল সিম আছে কিন্তু মেমরীটা নাই।
সিমটাতে আছে যে আমার আদরের ভাগ্নের ছবি
বিদেশ থেকে পাঠিয়েছিল,
মনে হল হারিয়ে গেছে যেন তার সবই।
সব ভয় উপেক্ষা করে রাস্তায় খুঁজে ফিরে তার মেমরী
কত ভালবাসার জিনিস হারিয়েছে সে,
মনে করে অন্তরটা গেল ভরি ।
অবশেষে জয় হয়েছে তার, মেমোরী খুঁজে পেয়েছে সে
আনন্দে চিৎকার দিয়ে আমাকে জানায়,
আপা হারানো মেমোরী পাওয়া গেছে ।
চোখে মুখে তার আনন্দের ঝিলিক,
আমি কিছুই করিনি তথাপিও আমার প্রতি কৃতজ্ঞতার নাই যেন শেষ
ছোট ছোট জিনিসগুলোও কত আনন্দ দেয় মানুষকে, ভেবে লাগছিল বেশ।
কত কিছুই তো হারাই আমরা তার কি রাখি হিসাব
প্রয়োজনে আসে যখন সেই জিনিসটির,
তখন বুঝি হারানো জিনিসটির অফুরন্ত অভাব ।