ঢাকা: গণজাগরণ মঞ্চের আহবায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, “হেফাজত পিশাচদের দল। তারা মানুষরুপী শয়তান। তা না হলে তারা সাভারের মানবিক বিপর্যয়কে আল্লাহর গযব বলতে পারতো না।”
বুধবার সন্ধ্যায় গণজাগরণ মঞ্চের নাগরিক শোকসভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, “সাভারের দুর্ঘটনার পর আমরা দেড় হাজার ব্যাগ রক্ত দিয়েছি, আরো পাঁচ হাজার লোকের নাম ঠিকানা রেখে দিয়েছি। রক্তের প্রয়োজন হলেই আমরা আহতদের মাঝে পৌঁছে দেব।”
তিনি হেফাজতে ইসলামকে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা আখ্যা দিয়ে একে জামায়াত রক্ষার সংগঠন হিসেবে অভিহিত করেন।
এছাড়া শোকসভায় হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতারের দাবি জানান লেখক সৈয়দ শামসুল হক ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
সৈয়দ শামসুল হক বলেন, “৫ মে’র পর সরকারের পতন ঘটানো হবে, এই ঘোষণা দেয়ার পর শফী কোনোভাবেই বাইরে থাকতে পারে না। এই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিদ্রোহ। আমি এই ঘোষণায় ক্রুদ্ধ। এই ক্রোধ প্রকাশের জন্যই এখানে এসেছি।”
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, “দেড় কোটি তরুণ ভোটারের কথা মাথায় রেখে সরকারকে বলবো আপসের পথ পরিহার করুণ। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করুন। ”
তিনি বলেন, “হেফাজতের আমির শফীকে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে। ইসলামের নামে জামায়াতের হেফাজতকারী এই ব্যক্তির কোনো অধিকার নেই হেলিকপ্টারে করে ঘুরে বেড়ানোর।”
নারীনেত্রী খুশী কবির বলেন, “মে আমরা ঢাকায় অবস্থান নেব। হেফাজতকে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।”
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, উদীচীর সভাপতি কামাল লোহানী, শ্রমিক জোটের সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, সিপিবি নেতা এমএম আকাশ, জাবি ভিসি ড. আনোয়ার হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন নাসির উদ্দিন ইউসূফ বাচ্চু, শ্যামলী নাসরিন, ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিনী প্রমুখ
http://www.natunbarta.com/politics/2013/05/01/24043
গণজাগরণ মঞ্চের সাথে কি মোকাবেলা করতে পারবে হেফাজতে ইসলাম ?