Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

এ লাভ স্টরি - স্টার্ট উইথ এ কিস

$
0
0

অনেক দিন লেখা লেখি করি না । তাই খারাপ হইলে আমার দোষ নাই ।



এইতো সেদিন দিনাজপুর ঘুরতে গেলাম । ঐ খানে গিয়ে দেখা হল একটি মেয়ের সাথে । আমি যেই বাসে গিয়ে ছিলাম সেই বাসে ঠিক আমার পাশের সিটে বসে ছিল এই মেয়ে । আরও মজার ব্যাপার এই মেয়ে আমি যেই হোটেলে এসে উঠেছি ঠিক সেই হোটেলের পাশের রুমেই উঠেছে । ভাল কথা । রাতে সে আমার রুমে আসল । আমিও বসতে বললাম । বেশ কিছুক্ষন কথা হল । ভালোই লাগলো কথা বলে  ।  কিন্তু বেশ কিছুক্ষন  কথা বলার পর আবদার ধরল সে নাকি আমার সাথে দিনাজপুর ঘুরবে । আমি একটু অবাক হলাম । এই মেয়ে আমাকে চিনেনা জানেনা, আমার সাথে ঘুরতে চায় কেন? ব্যাপারটা পরিষ্কার না । কিন্তু আমিও তো একা । একা একা ঘুরতে কার ভালো লাগে  । তার একটু আমতা আমতা করে রাজি হয়ে গেলাম ।  রাজি হওয়ার পর মনে হয় তার খুশি আর ধরে না । তার আর একা একা ঘুরতে হবে না ।

সকাল বেলা বের হলাম ঘুরতে । নানান জায়গায় গেলাম । আসলে যায়গাটা খারাপ না । বেশ ভালোই । স্বপ্নপূরি পার্কে গিয়েও মজা পাইসিলাম । জায়গাটি আসলেই সুন্দর । প্রকৃতির মাঝে মিশে যাওয়া যায় । তাছাড়াও আরো নানান যায়গায় গিয়েছিলাম । নয়াবাদ মসজিদ, আওকাবাদ মসজিদ, রামসাগর ইত্যাদি । তবে যেই না রাজবাড়িতে গেলাম ওমনি ঐ মেয়ে এদিক ঐদিক ছুটাছুটি শুরু করে দিল । অনেক কষ্টে থামিয়ে তাকে হোটেলে ফিরিয়ে আনলাম । সে কোন মতেই আসবে না ।

এই যা, আমি আসলেই ভুল মন । এই মেয়ের পরিচয়ই তো এখন পর্যন্ত দিলাম না । এই মেয়ের নাম সুজানা । এখন থাকে ঢাকায় । কিন্তু কোথায় সেটা বলে নাই । আমাকে বলেছে ঢাকা গিয়ে আমার বাসা চিনে রাখবে, তারপর আমাকে অদের বাশায় নিয়ে যাবে । আরও মজার ব্যাপার ওকে বাংলাদেশি বললেও ভুল হবে, আবার বাংলাদেশি না বললেও ভুল হবে । ৪ বছর বয়সে ওর মা মারার গেলে ওর বাবা অকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় ওর চাচির বাসায় । ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত নাকি বাংলাদেশেই ছিল । তারপর আবার নাকি বিদেশে চলে গিয়েছিল । তারপর আর কিছু বলতে চাইল না । কিন্তু অকে দেখে কেন যেন আমার মনে হল মি অনেক আগে থেকে অকে চিনি । আসলে অকে না ওর চালচলন কে । কিন্তু আমার ছোট বেলার কথা কিছু মনে নেই । আমার যখন বয়স ১৬ ছুই ছুই করে তখন নাকি আমার একটা রোগ হয়েছিল । যার কারনে আমি আমার পূরান স্মৃতি ভুলে গিয়েছি । বাবা যতটুকু বলেছেন ততটুকুই যেনেছি । আমি ২ বছর ঐ রোগের মধ্যেই ছিলাম । যার কারনে আমার ঐ দুই বছর কোন হুস ছিল না । তাই আমি সঠিক বলতে পারব না । ওকে আমি আগে কখন দেখেছি নাকি । আর ওর বয়স এখন ১৯ বছর । আমার চেয়ে ৩ বছরের ছোট । যত ভাইয়া বলে ডাকতে বলি ডাকবেই না । তাই ওকে আমি আর বাজালাম না ।

অনেক বরবর তো হল এবার কাহীনি তে ফিরে যাই । ৪ দিনের জন্য এসেছিলাম দিনাজপুর । আজই শেষ দিন । আজ আবার একটা কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে । তো সুজানা বায়না ধরল ও নাকি ঐটা খেলবে ।  ভালো কথা খেলতে গেলাম । আর সুজানা এত্তো লাকি যে ২য় পুরুষ্কারটা মেয়ে গেলো । ২য় পুরুষ্কার ছিল মধুমতির তীরে ৩ দিন থাকা খাওয়া ফ্রী দুই জনের জন্য । টিকটও দিল দুইটা । আর আমার কথা নাই বললাম ।  ঐ যে প্রথমে বললাম সুজানা লাকী । এটা বলার আর একটা কারন প্রথম পুরুষ্কারটা পাইসি আমি । যেটা মানে হল আমরা যেই কয়েকদিন হোটেলে ছিলাম, খেয়েছি দেয়েছি তার কোন খরচ দেয়া লাগবে না । এটা সুনেও মহা খুশি হলাম । কারন যা করেছি খেয়েছি বিল নিশ্চই ২৫ হাজারের নিচে আসবে না। যাই হোক ২য় পুরুষ্কার যেহেতু পেয়েছি সেহেতু সেটা অসুল করে আসা যাক সুজানা আমাকে বলল । কিন্তু আমি যেতে চাইলাম না । কিন্তু ও এতো জোর করল না গিয়ে পারলাম না ।

আমরা এখন মধুমতির তীরে । সুজানা আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে । আমি ওকে জড়িয়ে ধরে রেখেছি । খুব শক্ত করে । কারনটা নিশ্চই আপনারা যানেন না । আচ্ছা আমিই ফ্ল্যাস ব্যাক-এ যাচ্ছি ।
আমরা যেদিন মধুমতির তীর আসি সেদিন এসেই আমরা দুজনে নদীর পারে বসে গেলাম । অনেক রোমান্টিক একটা প্লেস । মন ভরে যায়গাটাকে দেখে নিলাম । পরের দিন সকালে পুর যায়গাটাকে দেখে নিলাম মন ভরে । নানা যায়গায় ঘুরলাম । বিকেলে ক্লান্ত দেহ নিয়ে বিছানায় শুতেই কে যেন দরজা টাকালো । আমি খুলে দেখি সুজানা । আমাকে বলল চল সূর্যাস্ত দেখব । আমি যেতে না চাইলে পারলে আমাকে কোলে করে নিয়ে যায় এভাবে টানাটানি করে নিয়ে গেল । পারে গিয়ে দেখি মাত্র একটা চেয়ার বসার জন্য । বাকী গুলো উঠিয়ে ফেলেছে । সুজানাকে বললম আজ আর দেখা হবে না  । কাল দেখব । সুজানা বলল কেন? এক চেয়ারে দুজনে বুঝি বসা যায় না । এই বলে আমাকে নিয়ে বসে পরল । আসলেই চেয়ার গুলো বড় । দুজনে অনায়াসে বসা যায় । আমি বসে ঘুমিয়ে পরলাম । আসলে ঘুম না । আলত ঘুম বলা যায় । হটাৎ করে আমি কিছু একটা অনুভব করলাম । চোখ খুলে দেখলাম সুজানা আমাকে কিস করছে । কেন যেন বাধা দিলাম না । চোখ গুলো নিজে নিজে বন্ধ হয়ে গেলো । কেমন যেন পূরান স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠল । একটা মেয়েকে আমি ছোট সময় খুব পছন্দ করতাম । সেও আমাকে পছন্দ করত। এটুকুই । আর মনে পরল না । আমি সুজানাকে সরিয়ে দিয়ে বললাম তুমিই সেই? সুজানা মুচকি হাসি দিয়ে বলল হুম । আমিই সেই ।


বিঃদ্রঃ বাংলা ছিনেমার মত ইমশন রাখি নাই । সব ধুমধাম করসি ইচ্ছা কইরা । একটু আলাদা ভ্যারিয়েশন আনার চেষ্টা আর কি tongue


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles