মাঝে মাঝে চিন্তা করি, যদি এমন একটা ডিভাইস থাকতো যেটা মানুষের চিন্তা রেকর্ড করতে পারে। তাহলে মানুষ যা চিন্তা করতো তাই সংরক্ষন করা যেত।
ধরুন আপনার জীবনের খুবই বিরল কিছু মুহূর্ত আছে যেগুল আপনি সংরক্ষণ করতে চান। অন্য কারো সাথে শেয়ার করতে চান। কিন্তু সেই বিরল মুহূর্তের কোন ভিডিও আপনার কাছে রেকর্ড করা নেই, তাকে হয়তো আপনি বলে বোঝাতে চেষ্টা করবেন। কিন্তু যদি আপনি সেই মুহূর্তটির একটি ভিডিও তাকে দেখাতে পারতেন। তাহলে তাকে হয়তো আপনি সুন্দরভাবে বোঝাতে পারতেন যে আপনার ওই সময় কি রকম অনুভূতি হয়েছিল।
ঠিক তেমনি ধরুণ, একজন চিত্র-পরিচালক কথা। যার মাথায় এই মুহূর্তে দুর্দান্ত একটি গল্পের প্লট আছে। কিন্তু ওই গল্প বাস্তবে সুটিং করার মত এবিলিটি তার নেই অথবা অভিনেতা নেই। তার হাতে যদি ওই ডিভাইসটা থাকতো, তাহলে সে ওই ডিভাইস দ্বারা তার মাথায় থাকা সেই গল্পটি বাস্তবে রূপ দিতে তার কোন সময়ই লাগতো না। তাহলে অন্তত সিনামায় একটা রেনেসাঁ হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
পৃথিবীর বড় বড় স্টুডিওর এত এত ভিএফএক্স ইফেক্টর এর রাত দিনের এত পরিশ্রম বেঁচে যেত। মুহূর্তেই তৈরি হত হাই-ক্লাইম্রাক্স সমৃদ্ধ অসাধারন সব মুভি। যা দেখে পৃথিবীর মানুষ এক নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে বাসায় ফিরত।
অথবা ধরুন আপনি একজন স্পাই। আপনি আপনার প্রিয় মাতৃভূমির জন্য অত্যন্ত বিপদজনক একটা মিশনে শত্রু বুহ্য ভেদ করে তাদের আস্তানায় গেলেন। সেখান থেকে আপনি অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে দেশে ফিরলেন। আপনার বসকে ওই ডিভাইস দ্বারা ভিডিওগুলো দেখালেন। পরবর্তী সময়ে যা অনান্য স্পাইদের কাজে দিবে।
আবার ধরুন আপনার প্রিয়তম/প্রিয়তমা আপনাকে স্যাকা দিয়ে চলে গেল। আপানার যেহেতু সৃতি আছে, সেহেতু আপনি ইচ্ছা করলেই সেগুলো ভিডিও আকারে সংরক্ষন করতে পারছেন।
এমন একটা মুহূর্তের কথা চিন্তা করুন, আপনি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। আপনার সামনে একটা মারাত্মক এক্সিডেন্ট ঘটে গেল। টিভিতে যখন এই সংবাদ প্রচারিত হবে তখন আপনার ওই মুহূর্তের সৃতি অনেক মুল্যবান সাংবাদিকদের কাছে।
অথবা আপনি রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা দেখতে ভালোবাসেন। আপনি চাঁদহীন অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। হঠাৎ আপনি একটা UFO দেখতে পেলেন। আপনার কথা কেউ বিশ্বাস করল না, আপনি তাদেরকে আপনার সৃতির একটা ভিডিও ক্লিপ দেখিয়ে দিলে।
তবে আমার যা ধারনা, এটা সবচেয়ে বেশী কাজে আসবে ওই চিত্রপরিচালকদের।
↧
থিংক রিডার ডিভাইস (যদি এমন হত)
↧