সুইচ অন করতেই ফট করে মেইন ফিউজ পুড়ে গেল
এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে ১০-১১ বারের মত হল। বেডসুইচ লাগানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু কিছুতেই হচ্ছে না। এই ভাবে ঐ ভাবে কতভাবে বিদ্যুতের কানেকশন দিলাম, কিন্তু কিসের কি? প্রতিবার সুইচ অন করার পরই ফিউজ পুড়ে যায়। বাসার সবাই মোটামুটি বিরক্ত আমার উপর। বেডসুইচ লাগানোটা জরুরী না তাদের কাছে। কারণ এটা লাগালে তেমন কোন ফায়দা পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমার কাছে জরুরী, কারণ জিনিসটার প্রতি আমার অদম্য আকর্ষণ।
অবশেষে কোন এক শুক্রবার। ঘরের ভিতরে কেউ নেই। ঝোলানো লাইট টার হোল্ডারে তার দুটোর সাথে বেডসুইচের তার দুটোর একটু অন্যরকম কানেকশন দিলাম। এরপর সুইচ অন করলাম। কিন্তু না এবারও বাতি জ্বলল না, ফিউজও পুড়ল না, তাহলে? বেডসুইচের কাছে এসে দেখি সেটা অফ করা। অন করতেই কেল্লা ফতে। পুরা ঘর আলোকিত
এত বড় বিরাট একটা কর্ম করেছি, আর চুপচাপ বসে থাকব সেটা কি হয়? মূহুর্তেই পুরো বাড়ি মাথায় করে তুললাম। উল্লেখ্য আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি।
সাইকেল চালানো শিখেছি সপ্তাহখানেক হল। শেখার পরে প্রতিদিনই আধা ঘন্টা করে ভাড়া নিচ্ছি। প্রতিঘন্টা ৮ টাকা করে। আজকে একটু বেশী আত্নবিশ্বাসী হয়ে দোকানের সবচেয়ে বড় সাইকেলটা ভাড়া নিলাম। পুরাতন ফনিক্স সাইকেল। সিটের উপর বসলে কোনক্রমে দুটো প্যাডেলের স্পর্শ পাই। মাটির উপরে দাড়িয়ে সাইকেলে চড়তে পারিনা, আবার সাইকেলে চড়া অবস্থায় মাটিতে নামতে পারিনা। তাই ফন্দি এটে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা গাছের উপরে দাড়িয়ে কোনক্রমে সাইকেলে চড়ে চালানো শুরু করলাম।
চালাতে চালাতে বড় রাস্তায় এসে পড়লাম। কিছুদূর যাওয়ার পরই প্যান্টের সাথে চেইন আটকে গেল [সাইকেল এর চেইন
] এবার না পারি সাইকেল থামাতে, না পারি প্যাডেল ঘোরাতে। কি আর করা, পতনের অপেক্ষায় থাকলাম। সাইকেল চলতে চলতে থেমে যাওয়ার পর ধপাস করে মাটিতে পড়লাম। যেখানে পড়েছিলাম সেখানে বালু ছিল বলে রক্ষা। কোনক্রমে প্যান্ট ছাড়িয়ে আবার চালাতে শুরু করলাম। হঠাত মনে পড়ল প্যাডেল পেছনের দিকে ঘোরালেই তো চেইন থেকে প্যান্ট খুলে যেত।
অনেকদিন পর বটগাছে টপিক লিখলাম। খাপছাড়া লাগতে পারে কিছুটা ইচ্ছা আছে সবকিছুর প্রথম নিয়ে সিরিজ টাইপ করার। বাকিটা আমি-পাঠক দুই পক্ষের আগ্রহের উপর নির্ভর করবে
ও হ্যা কয়েকটা বানান ভুল হয়েছে [যদিও ভুল বানান ধরার কেউ নেই আপাতত প্রজন্মে
] কিবোর্ডের বেশ কিছু কি নষ্ট হয়ে গেছে। তাই খন্ডত লিখতে পারছি না। অভ্র মাউস ব্যবহার করারও ইচ্ছা হল না