তাহার ডুমুরের ফুল হইবার প্রসঙ্গে যাইবার পূর্বে একটু ভূমিকা টানা প্রয়োজন। ভদ্রলোকের সাথে আমার পরিচর পর্ব দিয়েই না হয় শুরু করা যাক। আমি প্রজন্মে তখন প্রথম এসেছি, জড়তা ভেঙে হালকা পাতলা লিখতে শিখেছি। সেই সময়ে জারী হলো ডিএসটি টাইমিং। পজিটিভ/নেগেটিভ উভয় দিকেই মতামত আসতে লাগলো। তো আমি পাকনামো করে একখানা টপিকই খুলে বসলাম ডিজিটালাইজেশনের খ্যাতা পুড়ে, ব্যাস! আর যায় কোথা! যদিও মজা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু হিতে বিপরীত হয়ে গেল। শাবাব ভাই এসেই ধুন্ধুমার লাগিয়ে দিল। আমি নিজে বাচ্চা মানুষ, এত বড় মহারথী যদি হামলে পড়ে তাইলে আর যাই কোথা, কোই থেকে কোই পালাবো তাই ঠিক করতে না করতে ভদ্রলোকের বদনখানি দেখা গেল। তবে অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকায়ে যায়, ভদ্রলোকও দেখি উন্মাতাল ভাইয়ের পক্ষ নিলো। আমিও ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে গেলাম। টপিকটা মাত্র ৪০টা পোস্টেই শেষ হয়ে গেল, আমি চুপ হয়ে রইলাম ( যদিও ভোটে অবশ্য আমিই জিতেছিলাম ৬৬.৬৬% ভোটে )
ভদ্রলোক অবশ্য অতটা মারকুটে নন, নেহায়েতই ভদ্রলোক, আসলে বলা উচিত ইয়াং ম্যান। সাধারনত উনার আবার গেমিং এর শখ, পরে ফটোগ্রাফীর শখও দেখা গিয়েছিল বড্ড। গেমিং এর জন্য উনার কম্পিউটারকে মোটামুটি আইডল ধরে নিয়ে কনফিগ তৈরী করা যেত, কেমনে রেইড করে, কোথায় কি এ বিষয়েও উনার মাথা ভাল কাজ করে। আর ক্যামেরা পাওয়ার পর তো কথাই নাই, ধূমধাড়াক্কা ফোকাসে পোস্ট পড়তে লাগলো সমানতালে হিমু ভাই, মনিভাইদের সাথে।
বেশীরভাগ সময়ই আসুসের একটা ২২ইঞ্চি ডিসপ্লের সামনে পড়ে থাকেন (লিটারেলী ব্যাপারটা সম্ভব না যদিও), ১৫০০ পোস্ট করা পর্যন্ত ভদ্রলোকের ফোরাম এক্টিভিটি ছিল বেশ এক্টিভ, তখনকার দিনে ফোরামের শীর্ষপর্যায়ের একজন আবার। যেই না ১৫০০ হয়ে গেল, অমনি গেল হওয়া হয়ে, কিছু জিগাইলে আস্তে মিন মিন করে বলে (গরু হওয়ার পর থেকে তার কথা বলার ক্ষমতা লোপ পাইতেছে দিন দিন (মাখাএন), সারাদিন বসে থাকতেই নাকি ভাল লাগে), [ কালকের পর থেকে তো একগাদা নতুন পদবী আসতেছে, তখন দেখা যাবে কি করে]। এরপর থেকে কালেভদ্রে দেখা যায় এই ভদ্রলোককে। বেড়িয়ে যান আর কি! তো উনি কালেভদ্রে আসলে কি হবে, ফোরামের মানুষজন তো সবাই আর তার মত আলিস্যে নহে, পরবর্তীকালে ভদ্রলোকের সাথে মোটামুটি ভাল পরিচয় হইয়াছিল, দুএকবার কথাবার্তাও হইয়াছে বটে, এন্ড্রয়েড কিনিবার সময় যথেষ্ঠ হেল্প করিয়াছে। আমি যথার্থই কৃতার্থ এই ব্যাক্তিটির প্রতি।
(পাদটীকাঃ ফোরামের নিয়মে সাধু-চলিত মিশ্রন দূষনীয় বলিয়া উল্লেখ নাই বিধায় আমি দুইটিই একসাথে ব্যাবহার করতে পারি)
তো কাহিনি হইতেছে, এই ডুমুরের ফুল হ্যান্ডসাম ইয়াংম্যানটির অদ্য জন্মদিন।
ইয়েপ!!!! ভদ্রলোকের নামটি হচ্ছে রুমেল , প্রজন্মের সাথে আছেন ৩বছরেরও বেশী সময় ধরে, সেই ২০০৮ থেকে। প্রজন্মের ফটোগ্রাফারদের একজন, একসময়কার ম্যাগনেট (তাহার টপিক বেশ আকর্ষিত হইতো, বিশেষত টেকী লেখা)
এনিওয়ে সকল ফোরামিকগন তথা প্রজন্ম পরিবার হইতে আপনার জন্মদিনে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা, সাথে আমার ব্যাক্তিগত তরফ হইতে একগাদা "ডুমুরের ফুল"
কেক/মিস্টির ছবিটবি দিতে মন চাইলো না, ওইগুলা নিশ্চয়ই বহু আগেই খেয়ে দেয়ে শেষ করে ফেলেছেন। সিলেট গেলে অবশ্যি সবকিছু মুনাফা+আসল (আমি সুদ চাই নাই) আদায় করিয়া নেয়া হইবেক!
নো ওরি, বি হ্যাপি, ডু ফুর্তি।
পুনশ্চঃ বয়স বাড়িয়া যাইতেছে ব্যাপারটা নিয়া টেনশন্বিত হইবার কারন নাই। যথাযথ সময়েই আপনার জন্য পাত্রী দেখা হইবেক, ইনশাল্লাহ!!!
পুনঃপুনশ্চঃ ভাবিয়েন না দুই মাসের বড় বলিয়া সযত্নে আপনার জন্মদিন মনে রাখিয়াছি কিংবা আপনার বয়স বাড়ার স্ট্যাটাস দেখিয়াও মনে হয় নাই, আর দশজনের মতই ফেসবুক রিমাইন্ডার দেখে মনে পড়ছে।