রাজধানীর গুলশানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খালাফ আল আলী নামে সৌদি দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত খালাফ সৌদি দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (হেড অব সৌদি সিটিজেনস অ্যাফেয়ার্স) ছিলেন। তিনি সৌদি নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি দেখতেন।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আজম সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল রাত দেড়টার দিকে গুলশানের ১১৭ নম্বর সড়কের কনস্যুলেট অব পর্তুগাল ভবনের নিরাপত্তা কর্মী জুলফিকার আলী খালাফের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা থানায় ফোন করে জানান। এরপর পুলিশ আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তারা আজ সকালে হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে সনাক্ত করে।
খালাফ গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ২২/এ নম্বর বাড়ির চার তলায় একাই থাকতেন। ওই ভবনের নিরাপত্তা কর্মী তাপস রেমা জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে খালাফ বাসা থেকে বের হন। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। তিনি বলেন, খালাফ প্রায়সময়ই নৈশভ্রমণে বের হতেন। আবার রাতেই ফিরে আসতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।পুলিশের গুলশান অঞ্চলের উপকমিশনার লুত্ফুল কবিরও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও পরারাষ্ট্র মন্ত্রী বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দায় এড়িয়ে যাবেন। একটিবার ভেবে দেখুন খুনি কি শুধু একজন কর্মকর্তাকে খুন করেছে ? এই খুনের সাথে সাথে সৌদি প্রবাসি প্রায় ২৫ লক্ষ বাঙ্গালীর কি হবে ? তাদের ভাগ্যে এখন নেমে আসবে নিকষ কালো অন্ধকার।