প্রবাদ আছে, যে রাধতে পারে সে চুলও বাধতে পারে, কথাটি কতটা সত্য সেটার কখনো চাক্ষুস প্রমান হাতে পাই নি, ইনফ্যাক্ট কখনো নজরে পড়ার মত চাক্ষুস অভিজ্ঞতা মনে পড়ে না। তবে যিনি খেতে পারেন তিনি ছড়া/কবিতাও লিখতে পারেন সেটার একটা জলজ্যান্ত প্রমাণ পেয়েছি।
জ্বী না, মুন আপুর কথা বলছি না, ছড়া/কবিতার পাশাপাশি উনি চমৎকার চমৎকার জিনিস রাধতে পারেন, কতটা খেতে পারেন সেটা জানা হয় নি কখনো। কখনো সে সুযোগ হলে জানা যাবে।
বলছিলাম ক'দিন আগে আমাদের পরিবারে নতুন আসা নাদিয়ার কথা। কাহারো কাছে নাদিয়া, কাহারো কাছে ন্যাকা, কাহারো কাছে না'পা তো কাহারো কাছে না'পু যাহার কাছে যে নামেই পরিচিত হোক না কেন, আলোচনার মূল বিষয়বস্তু প্রজন্ম পরিবারের চমৎকার একজন সদস্য "নাদিয়া জামান"। টু বি অনেস্ট, আমার লাইফে এমন নেগেটিভ নাম আমি কখনোই দেখি নাই। শুরুটাও N দিয়া, শেষটাও সেই N দিয়াই। তাও যদি কেবল নামের উপর দিয়ে যেত সমস্যা ছিল না, মেয়েটা কাজেকর্মেও হুবহু নামের মতই। সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে মজার মজার খাবার বানাবে তো খাবে কাউকে না- দিয়া।
বিশ্বাস না হইলে এক্ষন প্রমান দিতেছি, দেখবেন.... এই যে কত্ত প্রশংসা করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, তারপরও কেকটা খাবে কিন্তু আমাদের না-দিয়া ই।
যাইহোক, এত প্রশংসা আবার সহ্য না হয় পাছে, তাই আর না করি। এমনিতে কিন্তু সবকিছুতে নাদিয়া'পু আমার থেকে একডিগ্রী এগিয়েই, আপু সেই কবেই দাবী করেছে সে কথা, আর আমিও কিন্তু সহজ সরল মনে মেনে নিয়েছি সেই কথা; এই মনে করেন আমি হইলাম গাধা, আর নাদিয়া আপু হইলো মস্ত.........
যাহোক, যেহেতু আপু কেক খাওয়াইবে না তো খাওয়াইবেই না, নতুন কেকের ফটুকও এইবেলা পেলাম না। কি আর করা, আপাতত স্টকের কেক দিয়াই জন্মদিনটা না হয় উইশ করি।
শুভ জন্মদিন নাদিয়া'পু :-) দ্বিতীয় জন্মদিনও শুভ হোক, আরো আরো চকলেট খেয়ে আরো মোটা হও, তারপর অনেক অনেক কাজের চাপে চ্যাপ্টা হয়ে আবার শুকায়ে যাও, কিন্তু দিনশেষে যেমনটি বাচ্চা ছিলে তেমনটিই থেকো, শুভকামনা রইলো।
ওহ, কেকটা তোমার জন্য, জন্মদিনটা আর নেগেটিভ নাম দিয়ে না শুরু করি, তাই নাম কিঞ্চিৎ চেঞ্জ করাই হইলো।