ভালোই তো মনে হচ্ছে। কিন্তু প্রচুর সমস্যাও আছে এই রকম একটা উদ্যোগকে সফল করতে।
নতুন কোনও মুঠোফোন সংযোগ (সিম) কিনলেই তা আর সঙ্গে সঙ্গে চালু (প্রি অ্যাকটিভেশন) হবে না। সিম কেনার সময় বাধ্যতামূলক নিবন্ধনে দেওয়া তথ্য যাচাই করে তবেই সংযোগ চালু করবে (পোস্ট অ্যাকটিভেশন) মুঠোফোন অপারেটররা। আর এই সংযোগ চালুর সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে আগামী ১১ অক্টোবর থেকে।
আজ বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মুঠোফোন অপারেটরদের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে এই সিদ্ধান্তকে বাস্তবসম্মত মনে করছেন না মুঠোফোন অপারেটররা। কারণ সিম গ্রাহকের তথ্য যাচাই করতে অবশ্যই প্রথমে সরকারি ডেটাবেজে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।
এই প্রসঙ্গে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, মুঠোফোন অপারেটরদের ৯০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সিস্টেম ডেভেলপ করে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে। কারণ সংযোগ নেওয়ার সময় অনেকেই ভুয়া ঠিকানা বা নাম ব্যবহার করে, যা দিয়ে যেকোনো ধরনের খারাপ কাজ বা অপরাধ করা সম্ভব। আর সংযোগ চালুর পরে অনেক সময় অপারেটরদের পক্ষেও সংযোগ গ্রহীতার নাম-ঠিকানা যাচাই করা সম্ভব হয় না।
জিয়া আহমেদ আরও বলেন, বেশির ভাগ অপরাধের ক্ষেত্রে অপারেটররা সংযোগ গ্রাহকের দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতার ওপর চাপিয়ে দেয়। তাই তাদের মাধ্যমে বিক্রীত সংযোগ ও সংশ্লিষ্ট ক্রেতার তথ্য তাদেরকেই সংরক্ষণ এবং যাচাইয়ের দায়িত্ব নিতে হবে। প্রয়োজনে বিটিআরসি জাতীয় ডেটাবেজে প্রবেশে অপারেটরদের সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এই সিদ্ধান্তকে সময়োচিত উল্লেখ করে বাংলালিংকের করপোরেট বিভাগের প্রধান জাকিউল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, এতে করে সংযোগ নেওয়ার গ্রাহকদের তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষিত হবে। আর এজন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি খাতে বিনিয়োগেও অপারেটররা প্রস্তুত। কারণ কেনা সংযোগটির প্রথম কল রাউটেড হয়ে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কল সেন্টারে আসবে। উপস্থিত এজেন্ট গ্রাহকের দেওয়া তথ্য সরকারের সংরক্ষিত ডেটাবেজের সঙ্গে যাচাই করে প্রকৃত গ্রাহককে সংযোগ দেবে। তবে জাতীয় ডেটাবেজে প্রবেশের জন্য অনলাইন এক্সেস না পাওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর করা সম্ভব না। এক্ষেত্রে বিটিআরসির দ্রুত সাহায্য আশা করেন তিনি।