Quantcast
Channel: প্রজন্ম ফোরাম
Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

অতি চালাকের লোভে ক্ষতি

$
0
0

দুই বন্ধু । এর মধ্যে একজন শুধু আরেকজনের কাছ থেকে খেয়েই যায় কিন্তু খাওয়ায় না কোনদিন । তো একদিন নিরুপায় হয়ে তাকে রাজি হতে হল যে , আজ সে খাওয়াবে । তাই দুই বন্ধু একটি রেস্টুরেন্টে গেল এবং তৃপ্তি সহকারে খেল । এবার কিপ্টে বন্ধুটি অপর বন্ধুকে বলল , খাবার কেমন হল ? সরল প্রাণ বন্ধুটি তৃপ্তির ঢেকুর তুলে মহানন্দে জবাব দিল খুব ভাল । একেবারে খাসা হয়েছে । তোর জবাব নেই দোস্ত । এবার প্রথম বন্ধু ঝেড়ে কাশল , তোর খুব ইচ্ছে ছিলতো আমি তোকে খাওয়াই ? খাওয়ালাম ? এবার তাড়াতাড়ি করে বিলটা দিয়ে দেতো । আমার আবার একটু তাড়া আছে । মানে ! কি বলছিস তুই ? খাওয়ালি তুই আর বিল দেব আমি ! দ্বিতীয় বন্ধু চোখ কপালে তুলে জানতে চাইল । তো কি করবি ? আমার পকেটেতো এক টাকাও নেই । বিশ্বাস না হলে এই দেখ (পকেট থেকে একটা ছেঁড়া ফাটা বহু পুরনো আমলের মানি ব্যাগ বের করে দেখাল) । জানিসতো ! এখানে বিল দিতে দেরি হলে (বাকি রাখলে) সোজা পুলিশে দেয়  ? কি আর করার বাধ্য হয়ে বিলটা দিতেই হল দ্বিতীয় বন্ধুকে । কিন্তু মনে মনে এও ভেবে রাখল যে , বেটাকে একটা উচিত্ শিক্ষা দিতেই হবে । তো একদিন সে কিপ্টে বন্ধুটিকে বলল , দোস্ত একটা কাজ করে দিতে পারবি ? করতে পারলে নগদ ৫০০ টাকা পাবি । কিপ্টে বন্ধুটির টাকার অনেক লোভ ছিল কিন্তু তাই বলে যেসে কাজ হলে সে করবেনা । জিজ্ঞেস করল , কি কাজ ? তেমন কিছুনা । এই যে দেখছিস খামটি , একটি নিমন্ত্রণপত্র । বাবা বলেছিলেন পাশের বাসার রুশো আন্টিকে দিয়ে যেতে । আসলে এখন আমার ডেটিং আছে কিনা । তাই তোকে বলছি । রুশো আন্টির কথা শুনে কিপ্টে বন্ধুটির গলা শুকিয়ে গেল । কিন্তু পরক্ষণেই ভাবল , এ আর এমন কি কাজ । করতে পারলেই নগদ ৫০০ টাকা । ভাবতে ভাবতে লোভে চিক চিক করে উঠল তার মুখ খানা । বলল , দে । আমি দিয়ে দেব । দ্বিতীয় বন্ধু : দিয়ে দেব বললে হবেনা । এখনি দিতে হবে । আমি আবার পরে খোঁজ নেব । প্রথম বন্ধু : আচ্ছা ঠিক আছে এখনি দিয়ে দেব । এবার খামটা আর টাকাটা দিয়ে বিদেয় হ । দ্বিতীয় বন্ধু : এই নে খাম । আর টাকাটা পরে পাবি । এইরে , আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে । আমি এখন যাই । বলেই তাড়াহুড়া করে চলে গেল । দূর থেকে বলে গেল , খামটা দেয়ার পর রুশো আন্টির ডিসিশন নিয়ে তবে আসবি । এদিকে কিপ্টে বন্ধু রাগে কিড়মিড় করে উঠল । কাজটা এখন করতে হবে আর টাকাটা পরে ! যাই হোক আর দেরি না করে সোজা চলে এল রুশো আন্টিদের বাসায় । খামটা আন্টির হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল , সজীবদের বাড়ি থেকে পাঠিয়েছে । আন্টি : আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যাও । কর্কশ সুরে বলে উঠলেন রুশো আন্টি । কিপ্টে বন্ধুটি কাচুমাচু গলায় বলে উঠল , ইয়ে , মানে..আমাকে আপনার ডিসিশনটা নিয়ে যেতে হবে । তাই যদি এখনি পড়ে ডিসিশনটা জানিয়ে দেন , তাহলে খুব উপকার হয় । বিরক্তি মাখা চেহারা নিয়ে রুশো আন্টি খামটা ছিঁড়ে একটু দেখেই কিছু বুঝে উঠার আগেই হাতের কাছে থাকা ঝাড়ুটা নিয়ে বসিয়ে দিল চার পাঁচ ঘা । সেইসাথে দেশি বিদেশি হরেক রকমের গালিতো আছেই । কোনরকমে জান নিয়ে পালিয়ে এল কিপ্টে বন্ধুটি । আল্লায়ই জানে খামের মধ্যে কি ছিল । যাই হোক পরদিন সে টাকাটা নেয়ার জন্য দ্বিতীয় বন্ধুর কাছে এল । তোর কাজ হয়ে গেছে এবার টাকাটা দিয়ে আমায় উদ্ধার কর । দ্বিতীয় বন্ধু : টাকা ! কিসের টাকা ? কিপ্টে বন্ধু : কিসের টাকা মানে ? তোর সাথে আমার কথা হয়েছিলনা যে আমি তোর দেয়া খামটা রুশো আন্টিকে দিয়ে এলে তুই আমাকে পরে নগদ ৫০০ টাকা দিবি ! দ্বিতীয় বন্ধু : ও...হ্যা , মনে পড়েছে । ঠিক আছে , পরে নিস । কিপ্টে বন্ধু : পরে মানে ? এখন দে । তুই জানিস , তোর ঐ খামটা দিতে গিয়ে আমি রুশো আন্টির হাতে কিরকম পেদানি খেয়েছি ? দ্বিতীয় বন্ধু : জানিতো । তোকে পেদানি খাওয়ানোর জন্যইতো আমি এটুকু নাটক করেছি !


Viewing all articles
Browse latest Browse all 15150

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>