পৃথিবী বড়ই রহস্য ও বৈচিত্রময় একটি জায়গা। এর চেয়ে বেশী রহস্য লুকিয়ে আছে মহাজগতে যা অনেক সময় আমাদের প্রকৃতির উপর নানারকম প্রভাব ফেলে থাকে। এই প্রভাব হতে পারে অনেক রকমেরই। এর প্রভাবে পৃথিবীর রুপ-সৌন্দর্য হতে পারে অতিমাত্রায় চোখ ধাঁধানো। এই জাতীয় ব্যতিক্রমী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্যকে Natural Phenomena বলা হয়ে থাকে।
প্রথম পর্বে আমরা দেখেছি Aurora Borealis, Red Tide, Mammatus Clouds, Fire Whirls। আজ দেখবো.....
Fire Rainbow
প্রকৃতির অনন্য সুন্দর এক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে Fire Rainbow। এটি মূলত এক প্রকারের রংধনু। আকাশে ছড়িয়ে থাকা ভাসমান হালকা মেঘের উপর সূর্যের প্রখর আলো পড়ে এই রংধনুর সৃষ্টি করে। এসময় সূর্য খাড়া উপরের দিকে ৫৮ ডিগ্রী এঙ্গেলে থাকে এবং মেঘের উপর আলোর প্রভাবে ফায়ার রংধুন সৃষ্টি হয়। এই রংধনু অত্যন্ত বর্নিল এবং তা আকাশে প্রায় শত স্কয়ার মিটার জায়গা নিয়ে অবস্হান করে থাকে। এর স্হায়িত্ব এক ঘন্টা পর্যন্তও হতে পারে।
Cappuccino Coast
এটি এমনই একটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য যা খুব ভাগ্যবান না হলে দেখা মেলে না। সর্বশেষ ২০০৭ সালে এমনটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর সিডনীতে। এটি মূলত ঢেউয়ের ফোম বা ঘন ফেনা। দেখতে অনেকটা কফি ফোমের মতোও। প্রকৃতির ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যের কারনে সমুদ্রের পানি সম্পূর্ন বা আংশিকভাবে ফোম আকারে তীরে চলে আসে। এর স্হায়ীত্বও অনেকক্ষন হয়ে থাকে। রং হালকা বাদামী বর্নের। এটি মানুষ ও অন্যান্য প্রানীকূলের জন্য ক্ষতিকর না।
Moonbow
এটিকে রংধনুর ভাই বললে ভুল হবে না। রাতের আকাশে চিকন যেই রংধনু দেখতে পাওয়া যায় সেটাকে মুন-বো বলা হয়। এটি সাধারনত জলপ্রপাতের কাছে দেখতে পাওয়া যায়। পানির ছিটার উপর চাঁদের আলো পড়ে রঙ্গিন এই আভা তৈরী করে। অত্যন্ত বিরল হলেও পূর্ণিমার রাতে প্রায়ই ভিক্টোরিয়া, Yosemite, Cumberland, Waimea জলপ্রপাতে এই মুনবো-র দেখা মেলে।
Naga Fireballs
এটি প্রকৃতির আশ্চর্যজনক ও রহস্যময় একটি ব্যাপার। থাইল্যান্ড ও লাওসের ম্যাকং নদীতে তীব্র গতিতে বড় আকারের লাল বর্নের গোলা আকাশের দিকে ছুটে যেতে দেখা যায়। এটিকে Naga Fireballs বলে। গোলাগুলির সংখ্যা ১০ থেকে ১০০০ টিও হয়ে থাকে। সাধারনত অক্টোবর মাসে ভরা পূর্ণিমার সময় এমনটি ঘটতে দেখা যায়। সর্বোচ্চ ১০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত এগুলো ছুটে যায়। গবেষকরা অনেক চেষ্টা করেও এর রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হননি। তবে এলাকায় কিছু কল্পকাহিনী প্রচলিত রয়েছে এটি নিয়ে। স্হানীয় অনেকে মনে করেন, এই নদী সর্পরাজ নাগার আবাসস্হল এবং এগুলো সেই নিক্ষেপ করে থাকে।