আমার গাঁয়ে বটের শাখে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আমার গাঁয়ে বটের শাখে, শালিক পাখির বাসা,
আমার গাঁয়ে মাঠে মাঠে চাষ করে গাঁয়ের চাষা।
আমার গাঁয়ে বেড়ার ধারে গরু বাছুর, মোষ চরে,
আমার গাঁয়ে দিঘির জলে রাজহাঁসরা খেলা করে।
আমার গাঁয়ের দূর সীমানায় বিশাল গাছের সারি,
আমার গাঁয়ে রাঙা পথে চলে রোজ গরুর গাড়ি।
আমার গাঁয়ের দক্ষিণ দিকে বাবলা কাঁটার বন।
সবুজ গাছে পাখিরা ডাকে ভরে ওঠে মোর মন।
আমার গাঁয়ে পথের বাঁকে, বাজায় বাঁশি রাখাল
আমার গাঁয়ে ডাঙায় চরে গাই আর গরুর পাল।
আমার গাঁয়ে রোজ সকালে প্রতিদিন সূর্যি ওঠে,
আমার গাঁয়ে পদ্ম দিঘিতে সোনার কমল ফোটে।
আমার গাঁয়ে নদীরঘাটে গাঁয়ের মাঝি খেয়া বায়,
আমার গাঁয়ে সূর্যি ডোবে, অজয় নদীর কিনারায়।