গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বাংলাদেশে এই প্রথম জন্ম নিলো উটপাখির ছানা। ভেতরে বেলেমাটির ওপর পড়ে থাকা শুকনো লতাপাতায় মড়মড় শব্দ করে বাচ্চাটি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মা বাচ্চার কাছে যেতে পারছে না। ছেলে উটপাখির আচরণই মাকে ওদের বাচ্চাদের কাছ থেকে দূরে রাখে। বাবা বাচ্চার দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। একটি ছেলে উটপাখি দুই থেকে তিনটি মেয়ে উটপাখিকে নিয়ে সংসার গড়ে তোলে। মা উটপাখি ডিম দেয়। একটি মেয়ে উটপাখি প্রতিবছর ১০টির বেশি ডিম দিয়ে থাকে। ডিম পাড়ার পর মেয়েদের দূরে সরিয়ে দেয় বাবা। তখন থেকে বাচ্চা ফোটার আগ পর্যন্ত ডিমে তা দিতে থাকে বাবা। বাচ্চাটিও সুযোগ পেলেই ছুটে চলার চেষ্টা করছে। কিছুক্ষণ পর ক্লান্ত হয়ে মুখ ঘুরিয়ে চলে আসছে বাবার কাছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কলমিশাক, ভুট্টার অংশ বাবাই বাচ্চার মুখে তুলে দিচ্ছে। বেষ্টনীর আরেক পাশে একটি ছেলে উটপাখি বেশ কয়েকটি ডিমে তা দিচ্ছে। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আড়াই বছর বয়সী পাঁচটি উটপাখি আনা হয়। এর মধ্যে দুটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে। দুই থেকে চার বছর বয়স হলে উটপাখি প্রজননক্ষম হয়। সাফারি পার্কে ২০১৫ সালের শেষ দিকে মেয়ে উটপাখিগুলো ডিম পাড়ে। দেশে এবারই প্রথম ডিমে তা দিয়ে কোনো উটপাখি নিজেই বাচ্চা জন্ম দিয়েছে।
↧