ইদানিংকালে সরিষা খেতের পাশে মৌচাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে। মৌমাছি সরিষার ফুলকে অধিক হারে পরাগায়নে সাহায্য করে। পরাগায়ন বেশি হলে সরিষার ফলনও বেড়ে যায়। এ কারণে কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। মানিকগঞ্জের শিবালয়ে খেতের আশেপাশে মৌচাষ বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষার ফলন আরো ভালো হবে বলে আশা করছেন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সরিষা ও মৌ। শিবালয়ের কয়েকটি গ্রামের সরিষার ফলন আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। চাষের খরচ পুষিয়ে লাভের মুখ দেখছেন সরিষা চাষিরা। এ কারণে সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন এলাকার অধিকাংশ কৃষক। এ বছর শিবালয় উপজেলার পাঁচ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সরিষা খেতের আশেপাশে এক হাজার ৪৩টি মৌ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। এসব মৌ বাক্স থেকে ৭০০০-৮০০০ কেজি মধু আহরণ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ এলাকায় সরিষার চাষ বেশি বলে মধুর উৎপাদনও বেশি হয়। প্রতি সপ্তাহে গড়ে তার ৩০-৪০ মণ মধু উৎপাদিত হয়। সরিষা ও মধুর উৎপাদন বাড়াতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর সব সময়ই এসব চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগীতা দিয়ে আসছেন। মৌচাষ বেড়ে যাওয়ার কারণে শিবালয়ে প্রতিবছরই সরিষার উৎপাদন বাড়ছে। এ বছরও সরিষার উৎপাদন ১০-১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশব্যাপী কৃষির উন্নতি ও সম্প্রসারনের জন্য উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর তথা বর্তমান সরকার সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
↧