বর্তমানে আমার দুইটি কিডনিই রোগে আক্রান্ত, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও বিভিন্ন রোগে ভ’গতেছি। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত প্রায় ৭.০ একর জমির মধ্যে এখন প্রায় ৫.০ একর জমি আছে। তন্মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৪.০ একর ভাল মানের ধানী জামি।
এই ৪.০ একর ভাল মানের ধানী জমি বিনিময় (একত্র) করে, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপ-জেলা হইতে ২০কি:মি: পূর্ব্ব দিকে এবং গাইবান্দা জেলার গোবিন্দগজ্ঞ উপ-জেলা হইতে পশ্চিম দিকে ২২কি:মি: পশ্চিমে পাঁচবিবি-কামদিয়া পাকা রাস্তা হইতে কামদিয়া-পিয়ারা পাকা রাস্তার ধারে বাবা মুরহুম খাদেম হোসেন আকন্দ ও মা মুরহুমা চিনিমন বেওয়ার স্বরণে একটি ভাল মানের বহুমূখি স্বনির্ভর বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করা আমার শেষ জীবনের ইচ্ছা।
স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠাকারী দলের সরকারের নিকট আমার আকুল আবেদন (যেহেত আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের ব্যাক্তি) ও দাবী আমার দেয়া (রেজিষ্টার করে দিব) বিভিন্ন জায়গায় ভাল মানের ৪.০ একর ধানী জমি অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের স্বার্থে এক জায়গায় (একত্র) করে উক্ত স্থানে বাবা মুরহুম খাদেম হোসেন আকন্দ ও মা মুরহুমা চিনিমন বেওয়া স্বরণে একটি ভাল মানের বহুমূখি স্বনির্ভর বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করতে আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আকুল আবেদন করতেছি। এর সংগে দেশের সুহৃদয় ধনী ব্যাক্তিগন ও বিদেশের প্রবাসি ব্যাক্তিগন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্যও আকুল আবেদন করতেছি।
কামদিয়া-পিয়ারা পাকা রাস্তার ধারে বাবা মুরহুম খাদেম হোসেন আকন্দ ও মা মুরহুমা চিনিমন বেওয়া স্বরণে একটি ভাল মানের বহুমূখি স্বনির্ভর বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করতে আমার প্রাথমিক ধারনা নি¤œরূপ, প্রয়োজন বোধে ইহা বর্দ্ধিত বা কোন কোনটা বাদ দেওয়া যাইতে পারে।
১নং সংশ্লিষ্ঠ মৌজায় বিভিন্ন জায়গায় আমার ভাল মানের ধানী জমি আছে। সেগুলি কামদিয়া-পিয়ারা পাকা রাস্তার ধারে একত্র করতে সরাসরি সরকারের সাহায্য বা সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
২নং প্রাথমিক পর্য্যায়ে ১০০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য আবাসিক বিল্ডিং ও বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করতে সরকারী সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
৩নং সীমানা প্রাচীরের মধ্যে প্রয়োজন মাফিক এক বা একাধিক ছোট বা বড় পুকুর খনন করতে হবে, এবং ইহাতে পরিকল্পিত ভাবে মাছ চাষ করতে হবে।
৪নং সীমানা প্রাচীরের মধ্যে স্বল্প মেয়াদী সবজী ও দীর্ঘ মেয়াদী ফল ও ফুলের বাগান করতে হবে।
৫নং অত্র প্রতিষ্টানের পরিচালনা কমিটিতে সব সময় সরকার হতে একজন সদস্য থাকবেন।
৬নং যাঁরা এককালীন ২০০০০/= টাকা থেকে উর্দ্ধে বা যত টাকা দিবেন বা কিস্তি ভাবে সাহায্য করবেন তাঁরা অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিতে আজীবন সদস্য থাকবেন।
২
৭নং আমার ইন্তেকালের পর আমার ছেলে- মেয়েদের মধ্যে যে যোগ্য হবে, সে অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির প্রধান পরিচালক হবে। অনুরূপ ভাবে তাদের মৃত্যুর পর তাদের বংশধরদের মধ্যে যে যোগ্য হবে, সে অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কমিটির প্রধান হবে।
৮নং অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারির নিয়োগের বেলায় অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান পরিচালকের মতামতই গ্রহনযোগ্য।
পরিশেষে আমার শেষ জীবনে প্রায় ৫০,০০০০০ /=(পঁন্চাশ লাখ) টাকার জমি বাবা মুরহুম খাদেম হোসেন আকন্দ ও মা মুরহুমা চিনি মন বেওয়ার স্বরণে ভাল মানের একটি বহুমূখি স্বনির্ভর বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠার জন্য দান করতেছি, তার কাজের বিনিময়ে আমার ও আমার স্ত্রীর জন্য আজীবন সন্মানজনক ভাতার ব্যবস্থা রাখার জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের ভবিষৎ পরিচালনা কমিটির নিকট আবেদন রইল। বিনীত-
নিবেদক-
হাজী মোহাম্মদ আলী আকন্দ (প্রাক্তন ইউ:পি: সচিব)
গ্রাম: পিয়ারা, ডাকঘর: ছাতিনালী,
উপ-জেলা: পাঁচবিবি, জেলা: জয়পুরহাট।
তারিখ:১০-০১-২০১৭ইং
মোবাইল নং০১৭১৮৪৮৪১১১
↧
আমার শেষ জীবনের স্বপ্ন
↧