হাজার হাজার মানুষ সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করছেন কিন্তু প্রকৃত বিচার হয় না। সেক্ষেত্রে ছয় বছর পর হলেও মাসুদ ও মিশুক মনিরের সড়ক দূর্ঘটনার রায়টি জাতিকে নতুন দিগন্ত দেখালো। দিনটি যত ঘনিয়ে আসছিলো, সকলে ততো টেনশন করছিল। এতদিন সড়ক দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগি পরিবারের সমস্যার অন্ত ছিল না, এবার অন্তত আমাদের পরিবার বা তারেক মাসুদের পরিবার সৌভাগ্যবান এই রায়ের জন্য। যে বাসের ধাক্কার কারণে ঘটনাটি ঘটেছিল হয়েছিলো সেই বাসের যারা যাত্রী ছিলেন, তাদেরকে গণ্যমাধ্যম ও প্রত্রিকার মাধ্যমে আহ্বান জানানো হয়েছিলো তারা যেন মামলার সাক্ষ্য দেন। কিন্তু হুমকি ও হয়রানির কারণে তারা সাক্ষ্য দিতে পারেননি। অবশেষ রায়টি কার্যকর হওয়াতে সকলের মনে স্বস্তি এসেছে। মাসুদ-মিশুক হত্যার বিচার ছয় বছর পর হলেও হয়েছে, এই জন্য সন্তোষ প্রকাশ করছি। সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করছেন কিন্তু বিচার হচ্ছে না প্রধান দুটি কারণ হলো প্রমাণ, সাক্ষীর অভাব ও হয়রানি। সড়ক দূর্ঘটনার মামলাগুলো যদি ক্ষতিপূরণ মামলা হতো এবং ক্ষতিপূরণ পেতো, তাহলে সড়ক দূর্ঘটনা একটু হলেও কম হতো। সড়ক দূর্ঘটনার মামলায় যদি সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান থাকতো, তাহলে সড়ক দূর্ঘটনায় এতো প্রাণহানি হতো না। একজন চালক যদি লাইসেন্স বিহীন গাড়ী চালান তাহলে সেই চালকতো স্ব-প্রণোদিত হয়ে সড়কে দূর্ঘটনা ঘটাবে এবং মানুষ মারবে। রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ী চলে, লাইসেন্স ছাড়া চালক গাড়ি চালায়। এগুলো দেখার দায়িত্ব আমাদের সকলেরই। সড়ক দুর্ঘটনায় এ রকম বিচার হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে। মালিক ও চালক উভয় সতর্ক হবে। সড়ক দুর্ঘটনা কি কারণে হয়, তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। দক্ষ চালকদের লাইসন্স দিতে হবে। সরকারকে লাইসন্সের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।আমরা সবাই সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতন হবো। আর আমরা চাইব মাসুদ ও মিশুক মনিরের মত সকল সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত বিচার।
↧