রামু সেনানিবাসের একটি ফটক সজ্জিত হয়েছে সোনালী রংয়ের উড্ডীন তীরের দ্বারা। আরেকটা সজ্জিত হয়েছে হাতীর দাঁতের দ্বারা। পুরানো আমলের যুদ্ধে তীর ব্যবহৃত হতো রক্ষণাত্মক কিন্তু ভীষণ মারাত্মক ও অপরিহার্য এক অস্ত্র হিসেবে। আক্রমণেও তীরের ব্যবহার বহুল প্রচলিত ছিলো। আর রণহস্তী ছিলো একটি নির্ভেজাল আক্রমণাত্মক অস্ত্র, যাকে আধুনিক যুগের মেইন ব্যাটল ট্যাংকের সাথে তুলনা করা হয়। তাছাড়া বুনো হাতী সংশ্লিষ্ট এলাকায় সচরাচর আনাগোনাও করে। এতো গুঢ় অর্থবোধক কাজ করা যেনতেন মস্তিষ্কজাত নয়। এটা আশার কথা! ভৌগলিক অবস্থান ও যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই ফরমেশন গঠন করা হয়েছে, তার নিরিখে এই ফরমেশনের মনোগ্রাম হতে পারে গাঢ় মেহগনি রংয়ের জমিনে লম্বালম্বি ভাবে তাক করা দুটি আইভরি হোয়াইট রংয়ের হাতীর দাঁত। দাঁতগুলো উপরের দিকে পরস্পরের দিকে ঈষৎ বেঁকে থাকবে। এই দুই আইভরির মধ্যে খাঁড়া থাকবে তিনটি সোনালী তীর। তিনটি তীর বুঝাবে প্রয়োজনে তীক্ষ্ণায়স শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে হামলা, প্রতিরক্ষা ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ব্যাপারে দশম পদাতিক ডিভিশনের মটো বা দৃঢ়মূল সংকল্প বা মূলনীতিকে। আর দুই দিকে দুটি হাতীর দাঁত বুঝাবে ফরমেশনের অজেয় শক্তিমত্তা, বিজয়গর্বের প্রতীক।
↧