এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে সাম্প্রতিক সময়ে বর্তমান সরকারের নানা জনবান্ধব কর্মসূচিতে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন হওয়াতে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের আয় বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এই সংস্থা কর্তৃক এশিয়ায় অবকাঠামো বিনিয়োগ নিয়ে ‘মিটিং এশিয়াস ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিডস’ শীর্ষক প্রকাশিত এক প্রতিবেদন এই তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে। এতে এশিয়ার দেশগুলোতে পরিবহন অবকাঠামো কিভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে এমন উদাহরণ দেখাতে গিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়, গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে বিনিয়োগের ফলে এ দেশের কৃষি উৎপাদন বেড়েছে, গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের আয় বেড়েছে, পরিবহন খরচ কমেছে এবং স্কুলগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। বছরে ৬.০ শতাংশ হারে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সক্ষমতা বাড়াতে শিল্প খাতের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে শহরের পাশাপাশি গ্রামেও টেলিকম খাতে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইসহ অবকাঠামো উন্নয়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ২৬ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে। একই সঙ্গে জোরালো প্রবৃদ্ধি অর্জন ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধেও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তবে বাংলাদেশে সরকারের আন্তরিকতায় পরিবহন, টেলিকম, বিদ্যুৎ, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা, পানি ও স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সাম্প্রতিক সময়ে অবকাঠামো উন্নয়নে নাটকীয় গতি সঞ্চার হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নের কারণেই দেশের বৃহত্তর গ্রামীণ জনগোষ্ঠী আজ গুণগত মানসম্পন্ন কাজে উৎসাহিত হয়ে উঠেছে যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। বর্তমান সরকার সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনায় যেভাবে একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে তাতে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে দিগন্ত রেখা, সময়োপযোগী নানা প্রকল্পে গড়ে উঠছে উন্নয়ন সহায়ক সুদৃঢ় অবকাঠামো – যাতে ভর করেই ক্রমশঃ শক্তিশালী ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে দেশীয় অর্থনীতি। উদ্বৃত্ত আয়ের প্রাচুর্যেই সম্ভব হচ্ছে নানা মেগাপ্রকল্পে আভ্যন্তরীণ সম্পদের অধিকতর সরবরাহ। আর দেশের বৃহত্তর গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির চলমানধারাই নিশ্চিত করছে সার্বিক অর্থনৈতিক সূচকের ইতিবাচক অগ্রগতি।
↧