খুব তারাতারি বাড়তি ব্যান্ডউইথ যোগ হচ্ছে বিধায় ইন্টারনেটের দাম পুনঃনির্ধারণ করা হবে। এ মাসেই দেশে ১ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ যোগ হচ্ছে। ফলে ইন্টারনেট সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে ইন্টারনেটের দাম পুনঃনির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ইন্টারনেটের দাম রাখতে কাজ শুরু করা হয়েছে। সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ইন্টারনেটের দাম ঠিক করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা সবার হাতে পৌঁছে দিতে ইন্টারনেটের দাম ঠিক করার কাজ চলছে। এছাড়া বাজারে বর্তমানে ইন্টারনেটের যে দাম রয়েছে তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার রাইরে। এই বিষয়টি চিন্তা করে নতুন দাম নির্ধারণ হবে। যাতে করে গ্রাহক এবং ব্যবসায়ী কোন পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। দেশের সব প্রান্তে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ চলছে। ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর জন্যও কাজ করা হচ্ছে। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা না হলে কাজেরও কোন গতি আসবে না। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর তরুণ প্রজন্ম যাতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পায় সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এভাবেই তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তিবিদ হিসেবে গড়ে উঠবে। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশন। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সংযুক্ত হওয়ায় দেশে অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এই ৪০০ জিবিপিএসের মধ্যে ১২০ জিবিপিএস বিএসসিসিএলের প্রথম সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে আসছে। বাকি ২৮০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আইটিসির মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। বর্তমানে কুয়াকাটা-ঢাকা ব্যাকহোল লিংক বা কেবল স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনের ট্রান্সমিশন লিংক স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে। শীগ্রই বাড়তি ইন্টারনেট সুবিধা সাধারণ মানুষ পেতে শুরু করবে। উপজেলা পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যন্ত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কও বিস্তার করার কাজ চলছে। নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন ও ইন্টারনেট সুবিধা বাড়ানোর জন্য অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপনের কাজ করা হয়েছে। বেসরকারী মোবাইল অপারেটররা সারাদেশে ওয়ার্লেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিলেও তা অনেক ব্যয়বহুল। এই সেবা সাধারণ মানুষের পক্ষে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে গ্রাম পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার হচ্ছে। অপটিক্যাল ফাইবার কেবল সংযোগ স্থাপিত হলে গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে ইন্টারনেট সুবিধা পাবেন। তখন শহর ও গ্রামের বৈষম্য অনেকাংশে দূর হবে।
↧