মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংসের নীল নকশায় ব্যস্ত একটি সুবিধাবাদী দল ও তাঁর শিষ্যরা এখনও গোপনে কাজ করে যাচ্ছে। এরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে হানাহানি, হত্যা ও সন্ত্রাসে জড়িত তা বিভিন্ন আঙ্গিকে প্রমানিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের কল্যাণ, আর্থ-সামাজিক সুব্যবস্থা তাদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি এরা চায় না। এদের চিন্তা-চেতনা হত্যা, সন্ত্রাস, লুণ্ঠন, সম্পদ পাচার ও নানাবিধ অকল্যাণ। এরা সুযোগ বুঝে সরকারী দলেও ঢুকছে কুকর্ম হাসিলের জন্য। এহেন সুবিধাভোগীরা এখন দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই পরাজিত শক্তি রাজাকার, আলবদর, আলশামস, পাকিস্তানী দালাল তাদের দোসর জামায়াত, শিবির ও জোট যতদিন এদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিচরণ করবে, ততদিন এদেশে সুস্থ রাজনীতির বিকাশ অত্যন্ত কঠিন হবে। আসলে রাজনীতিবিদদের হতে হবে সৎ, নিষ্ঠাবান, আদর্শবান ও দেশপ্রেম উজ্জীবিত। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ ও লালন করতে হবে। তাহলে সুস্থ রাজনীতির বিকাশ ঘটবে। এই সরকার উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রেখেছে। এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হবে। দুঃখী মানুষের মুখে ফোটাতে হবে অনাবিল হাসি। তাহলেই লক্ষ শহীদের রক্তের ঋণ শোধ হবে। তাহলেই সুখী, সমৃদ্ধিশালী ও সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। সরকার ও বিরোধী দল উভয়কেই হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত। রাজনীতিতে এখন গুণগত পরিবর্তন একান্ত আবশ্যক। রাজনীতিবিদগণ যদি আচার-আচরণ, কথাবার্তা ইত্যাদিতে সৌজন্য, সভ্যতা, ভদ্রতা বজায় না রাখেন তাহলে রাজনীতি কলুষিত হতে বাধ্য। আমাদের এই সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। রাজনীতি যাতে মানুষের কল্যাণের জন্য আসে সে ব্যপারে সকলকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে। সবার আগে সরকারী দলের ভিতরের সুবিধাভোগী, হাইব্রিড, দলের ভাবমূর্তি নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। আর এভাবেই আমরা গড়তে পারবো একটি সুস্থ রাজনীতির পরিবেশ।
↧