তিন্নি(ছদ্মনাম) নামের মেয়েটি ক্লাস টু তে পড়ে।বাবা দিনমজুর।অায় যা করে তাতে ছেলেমেয়ে নিয়ে দুমুঠো খেয়ে পরে চলে যায়।পরের ক্ষেতে কাজ করায় তার প্রফেশন।শরীয়তপুরের নাড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের একটি গ্রামে তাদের কুড়েঘর। নিম্নবিত্ত পরিবার হওয়ায় চিন্তার কোন অবদি নেই তার।ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করে নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তের কাতারে যাবে ভাবে।এই স্বপ্ন বাবা-মা উভয়ের।
কিন্তু হলো না মেয়েকে জড়িয়েছিল যে স্বপ্ন তা নিমিষে নিষ্পলকে নিঃশেষ হয়ে গেল।
প্রতিদিনের মত অাজও স্কুল থেকে বাসায় এসে সহপাঠীদের নিয়ে খেলছিল।পুতুল খেলতে ভালবাসে তিন্নি।পুতুলখেলা যেন নেশা।খুব ভাল দেশেরগান গায়।এক স্কুল শিক্ষক দুটি গান শিখিয়েছেন।দেশের গান"জন্ম অামার ধন্য হলো মা গো...." ও অামার দেশের মাটি...."।ঘুরেফিরে ঐ গান দুটিই কন্ঠে সুর তোলে।কার্টুন দেখতে ভালবাসে।বাড়ি টিভি নেই।যে কুড়েঘরে বিদ্যুৎের অালো এখনো পড়েনি সেখানে টিভিটা অকল্পনীয়।পাশের বাসায় এক বান্ধবী অাছে ওদের বাসায় যায় কার্টুন দেখতে।খুব ভাল লাগে দেখতে।হইহুল্লোড় করে মাতিয়ে রাখে বাড়ির উঠান।মেধাবী ক্লাস টু এ ফার্স্ট।এবয়সটা ত কার্টুন দেখার;পুতুল খেলার;হইহুল্লোড় লাফালাফি করার।
হইহুল্লোড় করছিল বাড়ির উঠানে।অনেক সহপাঠী ছিল।পাশের বাড়ির এক ভাই ডাকদিল।বয়স ****্দ কি পনের।
তোর চাচা ঐ ঘরে ডাকে তোর জন্য কি যেন এনেছে অায়।
পিচ্চী খুকির মত এক কথায় চলে গেল মিস্টি মেয়ে তিন্নি।ঘরে ঠুকতেই দরজা বন্ধ করে দিল।অবুজ বাচ্চা মেয়েটি কারনটা বুঝতে না বুঝতেই পাশে ডেকে অাদর করতে করতে ধর্ষনযজ্ঞে মেতে উঠল চাচা-ভাইপো।পালাক্রমে।হাত পা চেপে ধরল।মেয়েটি ভয় পেয়ে গেল।একে একে জামা প্যান্ট খুলল।বের করল কুলাঙ্গার চাচাটি তার লিঙ্গ।ভাইপো চেপে ধরল তিন্নিকে বিছানায়।চলতে থাকল যোনিপথ অাক্রমন।এবার ভাইপো তার যোনিপথ সুড়ঙ্গ রাস্তা করে রক্তের বন্যা বইয়ে দিল। পবিত্র তাজা রক্তে ভরে গেল বিছানা।পায়ুপথ ও বাদ দিল না।চিৎকার করার চেষ্টা করছে, অার্ত চিৎকার।বালিশচাপা দিয়ে পায়ুপথ সুড়ঙ্গ করে দিল চাচা।উন্মাদ হয়ে পালাকীর্তন করে ধর্ষন করতে লাগল।একবার চাচা, একবার ভাইপো।রক্তের চিৎকার বড়ই কঠিন।অারো দৃঢ় তাজা রক্তমাখা অার্ত-চিৎকার।শত বালিশ,কাথা চাপা দিয়ে এ চিৎকার দমিয়ে রাখতে পারল না।এ যে জীবন বাঁচানো চিৎকার।অবুঝ শিশুর ক্ষত রক্ষার চিৎকার।বালিশ -কাথা চাপা উপেক্ষা করে ঘরের দেয়াল-দরজা-জানালা ভেদ করে বাড়ির চারপাশ কাঁপিয়ে তুলল।ততক্ষণে তাজা শিশুটির যোনিপথ - পায়ুপথ বেয়ে ঝরা তাজা রক্তে ঘরটি পরিপূর্ণ।কিছু মানুষ এগিয়প এলো এই রক্তমাখা অার্ত-চিৎকার শুনে।অবশেষে অারো রক্ত ঝরার হাত থেকে এবারকার মত রক্ষা পেল।কিন্তু মেয়েটি তখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
মেয়েটি এখন শরীয়তপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি।প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।হাসপাতালের বারান্দায় মা'র অার্তনাত "অামরা গরীব মানুষ,কেন ওরা অামার মেয়ের এত বড় সর্বনাশ করল,অামি কি করব" এই বুকভরা বিদীর্ণ বিদ্ধস্থ চিৎকার শোনার কেউ নেই।বাবা এক কোনায় বসে অাছে নির্বাক নির্বোধ হয়ে।মুখে কথা নেই।ডাক্তার শত চেষ্টার পরও রক্ত বন্ধ করতে পারেনি।এখুনি ঢামেকে ট্রান্সফার করার কথা বলে দিয়েছে।দেখার কেউ নেই এই দূর্লভ করুন দৃশ্যপট।দিনমজুর বাবার পক্ষে এত পয়সা খরচ করা সম্ভব না।নির্বোধ হয়ে মেয়ের পৃথীবিবিদায়ঘন পরিবেশ উপলবদ্ধি করছে।চোঁখের কোনায় পানি।
এমনই একটা বিষাদময় ঘটনা ঘটেছে শরীয়তপুর।এসব কুলাঙ্গাররা কি পতিতালয় চেনে না? জনসম্মুখে এসব কয়েকটা কুলাঙ্গার,জারজ,বাঞ্চত চাচা-ভাইপোকে একসাথে লিঙ্গ কেটে দিলে সব ধর্ষনকারী শুওরগুলো শিক্ষা পেয়ে যাবে।হয়ত পুলিশ বলেছে এখনও কোন অভিযোগ অাসেনি।কে করবে? দিনমজুর অভিযোগের কি বোঝে?
সমাজে বেশ কিছু এমন বিশ্রী ঘটনা পড়লাম।প্রায় প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে।এক্ষেত্রে ছেলেদের কিছুই হয়না।ছেলেদের জীবনে কলঙ্ক শব্দটি অর্থহীন।কলঙ্ক শব্দটি তৈরি হয়েছে মেয়েদের জন্য।অাইন থাকলেও ফাঁকদিয়ে বেরিয়ে অাসছে এসব ধর্ষনকারী।কলঙ্কের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে শত শত মেয়ে।অামাদের কি মানসিকতা উন্নত হবে না!