বাংলাদেশ অনেক দ্রুত প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ আজ হয়ে উঠেছে প্রযুক্তির এক বিশাল উন্নয়নের হাতিয়ার। আজ বাংলাদেশ সেই ক্ষেত্রে অনেক বেশি সফল। বাংলার কৃষককে এক জায়গায় করার মহান প্রচেষ্টা আজ বাংলাদেশ করতে সক্ষম। “কৃষি কল সেন্টারের” মাধ্যমে কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সহ পরামর্শ দেওয়ার মতো কাজ শুধুমাত্র নাম্বারে ডায়ালের মাধ্যমে জাতীয় কৃষি বাতায়ন করছে। কৃষি বিজ্ঞানীরা কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা মেটাচ্ছেন সাথে সাথে। যেটা কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ। তাছাড়া উন্নত জাতের বীজ তৈরিতেও বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যাপক উৎকর্ষতা আছে। কৃষি তথ্য সেবা পাওয়া যায় এর মাধ্যমে। মৎস্য চাষে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন এবং সাথে সাথে পাট এবং বস্ত্র শিল্পেও আজ প্রযুক্তি নানাভাবে বাংলাদেশকে অবদান রেখে চলেছে। আর টেলিযোগাযোগের উন্নতির আগে কৃষক তার সমাধান যেখানে জানানোরই জায়গা পেতেন না, সেখানে সেই কৃষক মোবাইলের মাধ্যমেই নিমিষেই তার সকল সমস্যার সমাধান নিচ্ছেন টেলিযোগাযোগের উন্নতির ফলে। টেলিযোগাযোগ এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে কৃষকের মুখে আজ হাসি আর বাংলাদেশ বিশ্বে দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে, স্বাবলম্বী হচ্ছে।চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রযুক্তির সাথে সাথে এতো বেশি এগিয়ে গেছে যে এখন অকাল মৃত্যুর হার অনেক বেশি কমে গেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উপকরণ আজ বাংলাদেশেও পাওয়া যাচ্ছে, ফলে আমাদের আর বিদেশী চিকিৎসার উপর নির্ভর করতে হয় না। মোবাইল স্বাস্থ্য সেবা, অনলাইন স্বাস্থ্য সেবা যেটা টেলিযোগাযোগের উৎকর্ষতা ছাড়া সম্ভব ছিল না, আজকে আমরা সেটা হাতের নাগালেই পাচ্ছি। রাত দিন ২৪ ঘণ্টা আমাদের জন্য নিয়োজিত ডাক্তার” বা MyHealth এসব সেবা আমাদের ভোগান্তি এবং অকাল মৃত্যুর হাত থেকে অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে যেখানে এক সময় লাইনের পর লাইনে দাঁড়িয়েও ভর্তি ফর্ম বা ফলাফল নেওয়া যেতো না। আজ সেখানে মোবাইলের মাধ্যমে সারা দেশে এক যোগে মুহূর্তের মধ্যে ফর্ম উঠানো, ফলাফল নেওয়া থেকে শুরু করে আরও সেবা এখন মানুষের হাতের নাগালে। যেটা আমাদের ভোগান্তির সাথে সাথে সময়ও বাঁচিয়ে দিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় আজ আমুল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এই টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সাথে সাথে। যেখানে পরিচিত কারও মৃত্যুর সংবাদ আমাদের ২-৩ দিন পরে নিতে হতো সেখানে আজ সেকেন্ডের ভেতর সবাইকে জানিয়ে দেওয়া যায়। সবাই এখন মোবাইল এবং ইন্টারনেটের সাথে এতো বেশি সম্পৃক্ত হতে পেরেছে যে আজ মানুষ এগুলো ছাড়া নিজেদের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারে না। সমগ্র বিশ্বে আজ যোগাযোগ করা যায় কম খরচে এবং যখনি ইচ্ছা। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তির উন্নয়ন ছাড়া এতো আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার কখনও সম্ভব ছিল না। কর্মক্ষেত্র যেখানে আগে পেপার কাগজে ভর্তি থাকতো। এখন সেটা সম্পূর্ণ কম্পিউটার বেজড। মানুষের চাহিদা এখন মুহূর্তের মধ্যে মানুষকে দেওয়া যায়। সেই সাথে অনেকক্ষন নিজের প্রয়োজনীয় কাজ ফেলে দাঁড়িয়ে থাকার ভোগান্তি নেই। প্রযুক্তি এবং টেলিযোগাযোগে উন্নয়নের ফলে আজ আমাদের জন জীবন হয়ে উঠেছে খুব বেশি প্রোডাক্টিভ। ত্রিশটিরও বেশি দেশে এখন সফটওয়্যার রপ্তানিতে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে। সরকারি সকল সেবা অনলাইন নির্ভর হওয়ায় আপনাকে আর দিনের পর দিন কোন জরুরী কাজ আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সরকার “ই-তথ্য সেবার” মাধ্যমে মানুষের সামনেই উপস্থাপন করে দিচ্ছে সকল তথ্য এবং সেবা। সেখান থেকে আপনার সকল সেবা আপনি সহজে নিতে পারবেন কোন অতিরিক্ত মানুসিক চিন্তা এবং ভোগান্তি ছাড়া। যেটা আমাদের দিচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তি।
↧