এখন আর স্বপ্ন নয়, সত্যি। যশোরে নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পার্কটি জুন মাসেই পুরোপুরি আইটি শিল্পপার্ক হিসেবে চালু হবে। আন্তর্জাতিক মানের এই সফটওয়্যার পার্কে দশ হাজার আইটি প্রফেশনাল তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। পার্কটি ঘিরে যশোর হবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চল। এতে বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট। ইতোমধ্যে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা পার্কে কাজ শুরু করেছে। ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইটি) শিল্প স্থাপনের কাজ বাস্তবায়নের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। যশোরে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী একটি আইটি পার্ক স্থাপনের ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, যশোর।’ প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এরপর অবকাঠামোগত কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। গত আড়াই বছরে স্বপ্নের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক বাস্তবে রূপ লাভ করেছে। আর কদিন পরেই পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হবে। শহরের শংকরপুর এলাকায় ১২ একর ১৩ শতাংশ জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে পার্কটি। এই পার্কে ২ লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১৫ তলা ভবন, ৯৮ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১২তলা আবাসিক ভবন, ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১টি বেজমেন্ট ফ্লোরসহ ৩তলা মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়াও ৩৩ কেভিএ সাব-স্টেশন, ওয়াই-ফাই, ভিডিও কনফারেন্স, ডিজেস্টার রিকভারি ডাটা সেন্টার, জিম, ওয়াকওয়ে, সুপ্রশস্থ ওয়াটারবডি, গ্রিন জোন ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা থাকবে পার্কে। পার্কটি আন্তর্জাতিক মানে করে গড়ে তোলা হয়েছে। ৩টি জাপানী কোম্পানিসহ ১৩টি আইটি কোম্পানিকে পার্ক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আরও ২৪টি কোম্পানি বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে। দেশী-বিদেশী অনেক কোম্পানি ব্যবসা করার জন্য যোগাযোগ করছে। তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হাই-টেক পার্ক তৈরি করছে সরকার। আগামী ৩০ মের মধ্যে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের নির্মাণকাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হবে। পার্কটি চালু হলে দশ হাজার আইটি প্রফেশনাল তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এটি চালু হলে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের আইটি হাব হিসেবে গড়ে উঠবে যশোর।
3 minutes after:
এখন আর স্বপ্ন নয়, সত্যি